ছবি প্রতীকী
রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৩৪ জন। এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি।
সোমবার (১৬ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন এমন রোগী বরিশাল বিভাগে ১১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৩২ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৫ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৬ হাজার ২২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।
এদিকে গত একদিনে সারা দেশে ১৯০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৯ জন।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন একলাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয় এবং হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো লিভার। এটি শরীরের ভেতরে নানা ধরনের বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে ফেলে, হজমে সহায়তা করে এবং শরীরের রসায়ন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে দুঃখজনকভাবে, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের ফলে লিভারে ধীরে ধীরে ক্ষতি হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে ফ্যাটি লিভার কিংবা সিরোসিসের মতো রোগ প্রাণঘাতী পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।লিভারে সমস্যা দেখা দিলে আমাদের শরীর অনেক আগে থেকেই সংকেত দিতে শুরু করে—আর এই সংকেতগুলোর অন্যতম বাহক হতে পারে ত্বক। তাই এসব লক্ষণকে অবহেলা না করে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।চলুন জেনে নেওয়া যাক, লিভারের সমস্যায় ত্বকে দেখা দিতে পারে এমন ৪টি লক্ষণ—১. জন্ডিসলিভারের সমস্যার সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া। লিভার যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তবে বিলিরুবিন নামক পদার্থ শরীরে জমা হতে থাকে। এর প্রভাব পড়ে সরাসরি ত্বক ও চোখে। এই অবস্থাকে জন্ডিস বলা হয় এবং এটি লিভারের গুরুতর বিপর্যয়ের ইঙ্গিত হতে পারে।কী করবেন: ত্বক বা চোখে হলুদ ভাব দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।২. ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাপোড়ালিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে টক্সিন জমে যেতে থাকে। সেইসঙ্গে পিত্ত রস সঠিকভাবে নির্গত না হলে ত্বকে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। এটি অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং স্বাভাবিক মলম বা ওষুধে সারে না।কী করবেন: এ ধরনের সমস্যা অবহেলা না করে লিভার পরীক্ষা করান।৩. ফুসকুড়ি, ফোঁড়া বা ব্রণলিভারের দুর্বলতার কারণে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যার সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি, ফোঁড়া বা ব্রণের মাধ্যমে। এসব সমস্যা সাধারণ ওষুধে না সারলে লিভারের দিকেই নজর দিতে হবে।কী করবেন: বারবার ত্বকে সমস্যা দেখা দিলে একবার লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভালো।৪. চোখ ও মুখ ফুলে যাওয়ালিভার ভালোভাবে কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে যেতে পারে। এর প্রথম প্রভাব পড়ে মুখমণ্ডল ও চোখে। অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ও চোখ ফুলে থাকার অভিযোগ করেন—এটি হতে পারে লিভারের দুর্বলতার প্রাথমিক লক্ষণ।কী করবেন: এই লক্ষণ যদি নিয়মিত দেখা দেয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।উপসংহারলিভারের সমস্যা কখনো হঠাৎ করে দেখা দেয় না, বরং শরীর অনেক আগেই ইঙ্গিত দিতে শুরু করে। বিশেষ করে ত্বকে হঠাৎ পরিবর্তন, অস্বাভাবিক চুলকানি, কিংবা হলুদাভ ভাব দেখলেই সচেতন হওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা নিলে বড় বিপদ সহজেই এড়ানো সম্ভব।সূত্র: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ মতামত, ঢাকা পোস্টভোরের আকাশ//হ.র
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সময়ে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন। চলতি বছরের ২৯ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৮৬৭ জন। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ শতাংশ নারী রয়েছেন। রোববার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট আট হাজার ৭২৯ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে ৪২ জন মারা গিয়েছেন। মৃত একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন।এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও দেশে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও শনাক্তকরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার। সীমিত ব্যবস্থাপনায় দেশের করোনা পরিস্থিতির সার্বিক চিত্র ফুটে উঠছে না। দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কারো মৃত্যু হয়নি।রোববার (২৯ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩০৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এক কোটি ৫৭ লাখ ৩১ হাজার ৭৩০টি। নতুন ১৩ জনসহ চলতি বছর মোট ৫৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার ৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৪ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪১ শতাংশ। চলতি বছর করোনাভাইরাসে ২২ জনের প্রাণ গেছে। আর দেশে এ পর্যন্ত মোট ২৯ হাজার ৫২১ জন করোনাভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন। মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।২০২০ সালের ৮ মার্চ মাসে দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর, অর্থাৎ ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
দাদ একটি পরিচিত এবং অস্বস্তিকর ত্বকের সমস্যা, যা তীব্র চুলকানি এবং মানসিক অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে গোলাকার আকারে দেখা দেওয়া এই সংক্রমণ অনেক সময় জনসমক্ষে বিব্রতকর পরিস্থিতিও তৈরি করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দাদ এক ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ এবং এটি খুব সহজেই একজন থেকে অন্যজনে ছড়িয়ে পড়তে পারে।চিকিৎসকদের মতে, প্রায় ৪০ রকমের ছত্রাক দাদের সংক্রমণের জন্য দায়ী হতে পারে। উরু, ঘাড়, কুঁচকি, নিতম্বসহ শরীরের যেকোনো অংশেই এই সংক্রমণ দেখা দিতে পারে। তাই দাদের সমস্যা হলে যত দ্রুত সম্ভব সঠিক পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, দাদ অত্যন্ত সংক্রামক। কারো ব্যবহৃত পোশাক, কম্বল বা তোয়ালে ব্যবহার করলেও দাদ সংক্রমিত হতে পারে। তাই দাদে আক্রান্ত ব্যক্তির জিনিসপত্র আলাদা রাখা এবং যথাযথভাবে পরিষ্কার করা অত্যন্ত জরুরি।বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বেশ কিছু প্রতিকার ও সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন:✅ আক্রান্ত ব্যক্তির পোশাক ও ব্যবহার্য সামগ্রী আলাদা করে ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করুন✅ শরীর ও ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখুন✅ দেহে ঘষে লাগাতে হয় এমন প্রসাধনী ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন✅ অপরের কম্বল বা কাপড় ব্যবহার এড়িয়ে চলুন✅ তীব্র সুগন্ধযুক্ত পণ্য ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ এতে সংক্রমণ বাড়তে পারেঘরোয়া চিকিৎসা: রসুন ও তেলেই মিলতে পারে উপশমবিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ঘরোয়া উপায়েও দাদের চিকিৎসা সম্ভব। এজন্য রসুন কুচিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিতে হবে। এরপর ২ ফোঁটা রসুনের রসের সঙ্গে এক চামচ নারিকেল তেল অথবা জলপাই তেল মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত লাগাতে হবে। তিন থেকে চার দিনের ব্যবহারে উপশম পাওয়া যেতে পারে।দাদ কোনো সাধারণ সমস্যা নয়, অবহেলা করলে এটি বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই শুরুতেই সঠিক পরিচর্যা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।ভোরের আকাশ//হ.র