ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০২৫ ০৬:৩৮ পিএম
ফাইল ছবি
সিন্ডিকেট ভেঙে এবং অদক্ষ জনবল কমিয়ে ৩৩টি প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামাদ মৃধা। আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও কিছু ওষুধের দাম কমাতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ইডিসিএল এর প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে সক্ষমতার চেয়েও প্রায় ২ হাজার কর্মী বেশি ছিল, যাদের বেশিরভাগই ছিল অদক্ষ। তাদের মধ্যে ৭২২ জনকে ছাটাই করা হয়েছে, অতিরিক্ত ওভারটাইমও বন্ধ করা হয়েছে। ট্রল ম্যানুফ্যাকচার কমানোর মাধ্যমে ব্যায় সংকোচন করার কথাও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সিন্ডিকেট ভেঙে ম্যাটেরিয়াল যৌক্তিক মূল্যে কেনার ব্যবস্থা করায় ব্যয় কমেছে। এর ফলে ৩৩টি ওষুধের দাম ১০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো গেছে। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে সব ধরনের ওষুধের দাম কমানো সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি। দাম কমেছে এমন ওষুধগুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, নিউমোনিয়া, সর্দি-জ্বর, উচ্চরক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, কৃমিনাশক, ব্যথানাশক, হাঁপানি ও ভিটামিন সংক্রান্ত ওষুধ।
ইডিসিএল জানায়, ওমিপ্রাজল ক্যাপসুল, কেটোরোলাক ইনজেকশন, অনডানসেট্রন ইনজেকশন, সেফট্রিয়াক্সোন ও সেফটাজিডিম ইনজেকশনের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে। মেরোপেন ওমিপ্রাজল ইনজেকশনের দামও হ্রাস পেয়েছে। এ ছাড়া মনটিলুকাস্ট ট্যাবলেটের দাম ১০ টাকা ৬৭ পয়সা থেকে পাঁচ টাকা করা হয়েছে। গ্রামীণ ক্লিনিকে তালিকাভুক্ত ৩২টি ওষুধের মধ্যে ২২টির দামও কমানো হয়েছে। গ্যাস্ট্রিকের অ্যান্টাসিড, প্যারাসিটামল, সালবিউটামল, অ্যালবেনডাজল, ক্লোরামফেনিকল আই ড্রপ ও মেটফর্মিনসহ বিভিন্ন ওষুধের দাম কমানো হয়েছে।
সামাদ মৃধা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ৩৩টি অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম কমানো হয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এতে সরকারের ওষুধ ক্রয়ে ১১৬ কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হবে।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন দুটি প্ল্যান্ট হচ্ছে। এর মধ্যে একটি ভ্যাকসিন উৎপাদনমুখী বায়োটেক প্ল্যান্ট। এই প্ল্যান্টের আওতায় সানতনী পদ্ধতির ওষুধ উৎপাদনের বাইরে গিয়ে ইনসুলিনসহ বায়োলজিক্যাল পণ্যের উৎপাদন বাড়ানো হবে।
প্রতিষ্ঠানের খরচ কমানোর পাশাপাশি লাভজনক অবস্থা দাঁড় করাতে কাজ চলছে জানিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, কাঁচামাল কেনায় দরপত্রপ্রক্রিয়া উন্মুক্ত করায় কম খরচে কাঁচামাল কেনা সম্ভব হয়েছে, যা প্রতি মাসে প্রায় ১৮ কোটি টাকা সাশ্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।
সরকারি ওষুধ উৎপাদন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা জানিয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, নিজেদের কারখানায় উৎপাদন বাড়িয়ে টোল ম্যানুফ্যাকচারিং বন্ধ করা হবে এবং সরকারি চাহিদার ৭০ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ