বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৫ ০২:০৫ এএম
কারাগারে নোবেলের বিয়ে, প্রতিবাদে সরব পারশা মাহজাবীন
ধর্ষণের মামলায় কারাবন্দি অবস্থায় আলোচিত সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল বিয়ে করলেন মামলার বাদী এক কলেজছাত্রীকে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন উভয়পক্ষের ঘনিষ্ঠজন, যাদের মধ্যে ছিলেন নাজমা হোসেন, সাবিহা তারিন, খলিলুর রহমান ও সাদেক উল্লাহ ভূঁইয়া।
নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইলা মণি জানান, উভয়পক্ষের সম্মতিতেই এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এবং দেনমোহর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
তবে এই ঘটনাকে ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে সংগীতশিল্পী ও অভিনেত্রী পারশা মাহজাবীন পূর্ণি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্য প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই বিয়েকে আখ্যায়িত করেন ‘প্রাতিষ্ঠানিক নিষ্ঠুরতার নগ্ন উদাহরণ’ হিসেবে।
পারশা লিখেছেন, "ধর্ষণের শিকার নারীকে তার ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য করা কখনোই ন্যায়বিচার হতে পারে না। এটি আমাদের নৈতিকতা ও বিচারব্যবস্থার ভগ্নদশার প্রতিচ্ছবি।"
তিনি আরও বলেন, "একজন বেঁচে থাকা নারীকে তার নির্যাতকের সঙ্গে তথাকথিত ‘পারস্পরিক সম্মতি’র মাধ্যমে জুড়ে দেওয়া সুস্থতা বা পুনরুদ্ধারের কোনো পথ নয়। বরং এটা আমাদের বিচারব্যবস্থার পিতৃতান্ত্রিক ও দুর্নীতিপরায়ণ অবস্থানকে উন্মোচন করে।"
পারশা মনে করেন, এ ধরনের ঘটনা শুধু একটি নির্দিষ্ট ভুক্তভোগীকেই নয়, বরং সব ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকারকে একটি ভয়ঙ্কর বার্তা দেয়, যেখানে ট্রমা হয়ে ওঠে দরকষাকষির বিষয়বস্তু।
উল্লেখ্য, গত মে মাসে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী। মামলায় অভিযোগ করা হয়, নোবেল সাত মাস ধরে ভুক্তভোগীকে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করেন। এ মামলায় ২০ মে গ্রেপ্তার হন নোবেল এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
এই মামলার প্রেক্ষিতে ১৯ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট নাজমিন আক্তার বাদী ও আসামির বিয়ের অনুমতি দেন। আদালতের নির্দেশনার ভিত্তিতেই পরদিন কারাগারে এই বিয়ের আয়োজন করা হয়।
ভোরের আকাশ//হ.র