সংগৃহীত ছবি
তারকাদের ব্যবহৃত নানা জিনিস নিলামে ওঠা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি এক ব্রিটিশ অভিনেত্রীর ব্যবহৃত একটি ব্যাগ নিলামে বিক্রি হয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এই নজিরবিহীন দামের ব্যাগটি বিক্রির খবর আন্তর্জাতিক নিলাম বাজারে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
ব্যাগটির মালিক ছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেন বার্কিন, যিনি ‘ব্লো-আপ’ ও ‘ডেথ অন দ্য নাইল’-এর মতো ছবির জন্য খ্যাত। ফ্যাশন দুনিয়ায় বহুল জনপ্রিয় ‘বার্কিন ব্যাগ’ নামটি তার নাম থেকেই এসেছে। ১৯৮৪ সালে একটি বিমানে সফরকালে হার্মেসের ডিজাইনার জঁ লুই দ্যুমাকে স্টাইলিশ ও ব্যবহারযোগ্য একটি ব্যাগ তৈরির অনুরোধ করেছিলেন জেন বার্কিন। বিমানে বসেই দ্যুমা ব্যাগটির নকশা তৈরি করেন। সেখান থেকেই ‘বার্কিন ব্যাগ’-এর জন্ম।
নিলামে বিক্রি হওয়া ব্যাগটি ছিল জেন বার্কিনের ব্যবহার করা প্রথম বার্কিন ব্যাগ। চামড়ার তৈরি ব্যাগটির ফ্ল্যাপে খোদাই করা রয়েছে তার নামের আদ্যক্ষর ‘জেবি’। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ব্যবহারের পরও ব্যাগটি এখনো দারুণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম কর্তৃপক্ষ। প্রথমবার ১৯৯৪ সালে ক্যান্সার রোগীদের সহায়তা করতে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্দেশে ব্যাগটি নিলামে তুলেছিলেন জেন বার্কিন। পরে ২০০০ সালে এক ফরাসি সংগ্রাহক তা কিনে নেন। সর্বশেষ, ২০২৫ সালে ফোনের মাধ্যমে এক জাপানি ক্রেতা ব্যাগটি ১০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেন।
নিলাম সংস্থা জানিয়েছে, ফ্যাশনসংক্রান্ত কোনো শৌখিন জিনিসের বিক্রিতে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম। উল্লেখ্য, হার্মেস এখনো বার্কিন ব্যাগ তৈরি করে, যার দাম শুরু হয় প্রায় ১০ হাজার ডলার থেকে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ফ্রান্সে মৃত্যু হয় অভিনেত্রী জেন বার্কিনের। তার নামের সঙ্গে যুক্ত এই ব্যাগ আজও বিশ্ব ফ্যাশন জগতে এক অনন্য প্রতীক হয়ে রয়ে গেছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
তারকাদের ব্যবহৃত নানা জিনিস নিলামে ওঠা নতুন কিছু নয়। তবে সম্প্রতি এক ব্রিটিশ অভিনেত্রীর ব্যবহৃত একটি ব্যাগ নিলামে বিক্রি হয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। এই নজিরবিহীন দামের ব্যাগটি বিক্রির খবর আন্তর্জাতিক নিলাম বাজারে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।ব্যাগটির মালিক ছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী জেন বার্কিন, যিনি ‘ব্লো-আপ’ ও ‘ডেথ অন দ্য নাইল’-এর মতো ছবির জন্য খ্যাত। ফ্যাশন দুনিয়ায় বহুল জনপ্রিয় ‘বার্কিন ব্যাগ’ নামটি তার নাম থেকেই এসেছে। ১৯৮৪ সালে একটি বিমানে সফরকালে হার্মেসের ডিজাইনার জঁ লুই দ্যুমাকে স্টাইলিশ ও ব্যবহারযোগ্য একটি ব্যাগ তৈরির অনুরোধ করেছিলেন জেন বার্কিন। বিমানে বসেই দ্যুমা ব্যাগটির নকশা তৈরি করেন। সেখান থেকেই ‘বার্কিন ব্যাগ’-এর জন্ম।নিলামে বিক্রি হওয়া ব্যাগটি ছিল জেন বার্কিনের ব্যবহার করা প্রথম বার্কিন ব্যাগ। চামড়ার তৈরি ব্যাগটির ফ্ল্যাপে খোদাই করা রয়েছে তার নামের আদ্যক্ষর ‘জেবি’। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ব্যবহারের পরও ব্যাগটি এখনো দারুণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম কর্তৃপক্ষ। প্রথমবার ১৯৯৪ সালে ক্যান্সার রোগীদের সহায়তা করতে একটি সেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্দেশে ব্যাগটি নিলামে তুলেছিলেন জেন বার্কিন। পরে ২০০০ সালে এক ফরাসি সংগ্রাহক তা কিনে নেন। সর্বশেষ, ২০২৫ সালে ফোনের মাধ্যমে এক জাপানি ক্রেতা ব্যাগটি ১০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেন।নিলাম সংস্থা জানিয়েছে, ফ্যাশনসংক্রান্ত কোনো শৌখিন জিনিসের বিক্রিতে এটিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম। উল্লেখ্য, হার্মেস এখনো বার্কিন ব্যাগ তৈরি করে, যার দাম শুরু হয় প্রায় ১০ হাজার ডলার থেকে।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে ফ্রান্সে মৃত্যু হয় অভিনেত্রী জেন বার্কিনের। তার নামের সঙ্গে যুক্ত এই ব্যাগ আজও বিশ্ব ফ্যাশন জগতে এক অনন্য প্রতীক হয়ে রয়ে গেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ঢালিউডের প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা আজ (১১ জুলাই) জন্মদিন পালন করছেন। ১৯৯৮ সালে ‘এই জীবন তোমার আমার’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন তিনি। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্ম নেওয়া পূর্ণিমা মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনয়ে হাত দেন, যা ছিল মায়ের উৎসাহ ও সমর্থনের ফল।প্রথম সিনেমায় রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছিলেন পূর্ণিমা। তারপর থেকে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে তিনি অসংখ্য সিনেমায় কাজ করেছেন। নায়ক রিয়াজের সঙ্গে তার জুটিই সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল, পাশাপাশি মান্না, রুবেল, ফেরদৌস, শাকিব খান, আরিফিন শুভ ও আমিন খানসহ ঢালিউডের প্রায় সকল জনপ্রিয় নায়কের সঙ্গে কাজ করেছেন।শুধু বড় পর্দাতেই নয়, ছোট পর্দাতেও পূর্ণিমা খ্যাতি অর্জন করেছেন। জাহিদ হাসানের ‘লাল নীল বেগুনী’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেন তিনি। রিয়্যালিটি শো’র বিচারক হিসেবেও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, পাশাপাশি নিয়মিত মডেলিং ও বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাকে।২৭ বছর অভিনয় জীবনে তার অন্যতম সুপারহিট ছবি ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার ‘মনের মাঝে তুমি’ (২০০৩), যা মুক্তির পর ব্যাপক সাড়া ফেলে। সর্বশেষ তাকে দেখা গেছে ছটকু আহমেদের পরিচালিত ‘আহারে জীবন’ সিনেমায়। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামূলের ‘জ্যাম’ ও ‘গাঙচিল’ চলচ্চিত্রগুলো।ব্যক্তিগত জীবনে পূর্ণিমার প্রথম বিয়ে হয়েছিল ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর, আহমেদ জামাল ফাহাদের সঙ্গে। ২০১৪ সালে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। পরে ২০২২ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছেন।জন্মদিন উপলক্ষে পূর্ণিমা বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান করেননি, তবে সহকর্মী ও অনুরাগীদের শুভেচ্ছায় তিনি ভাসছেন। এই দিনে মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “আমি আজীবন আমার মায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকব। তিনি না থাকলে আমি কখনো অভিনয়ে আসতাম না, পূর্ণিমা হইতাম না।”ভোরের আকাশ//হ.র
দাম্পত্য জীবনের ইতি টানলেও দীর্ঘ ১৬ বছর পেরিয়ে এখনও আমির খান ও কিরণ রাওর সম্পর্কের উষ্ণতা, শ্রদ্ধা ও ঘনিষ্ঠতা বজায় রয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কিরণ নিজেই এই কথা জানিয়েছেন।আমির খান ইতোমধ্যে প্রেমিকা গৌরীর সঙ্গে ‘মনে বিয়ে’ করেছেন বলে জানান। তবে প্রাক্তন দুই স্ত্রী—কিরণ রাও ও রিনা দত্ত—সঙ্গে তার সম্পর্ক খুবই সুসম্পর্কপূর্ণ। কিরণ জানিয়েছেন, ‘আমাদের সম্পর্কের ধরন বদলেও বন্ধুত্ব আগের মতোই অটুট রয়েছে।’তিন সন্তানের কারণে আমির ও প্রাক্তন স্ত্রীরা একসঙ্গে বিভিন্ন উৎসব উদযাপন করেন, যদিও সাম্প্রতিক সময়ে রিনা এবং কিরণকে একসঙ্গে কম দেখা যাচ্ছে। কিরণ আরও বলেন, ‘আমরা এখনো নিজেদের এক পরিবার মনে করি, একে অপরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে, এমনকি শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও বজায় রয়েছে।’এক সাক্ষাৎকারে কিরণ উল্লেখ করেন, মেয়ে ইরার বিয়েতে আমির তার গালে সম্মানসূচক চুমু দেন, যা তাদের আন্তরিক সম্পর্কেরই প্রতিফলন।তবে আমির নিজেও একবার বলেছিলেন, ‘বিয়েতে নয়, আমি বিচ্ছেদে সফল।’ সত্ত্বেও তাদের বন্ধুত্ব ও পারিবারিক বন্ধন এখনো অটুট রয়েছে।ভোরের আকাশ//হ.র
বলিউডের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া। তার সঙ্গে অভিনেতা অঙ্গদ বেদীর প্রেম, বিয়ে আর সন্তান নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। ২০১৮ সালের ১০ মে তারা যখন হঠাৎ করে বিয়ে করেন, তখন থেকেই শুরু হয় নানা গুঞ্জন। সেই গুঞ্জন আরও তীব্র হয় যখন বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের প্রথম সন্তান মেহরের জন্ম হয়। তখন অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, তবে কি বিয়ের আগেই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন নেহা? এই বিতর্ক নিয়ে এতদিন মুখ খোলেননি অভিনেত্রী। অবশেষে নেহা নিজেই ফাঁস করলেন সেই গোপন খবর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেহা ধুপিয়া জানিয়েছেন, বিয়ের আগেই তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। আর এই খবরটি প্রথম জেনেছিলেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু সোহা আলি খান। নেহা বলেন, আমার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ওরাই (সোহা আলি খান ও কুণাল খেমু) প্রথম জানতে পারে। আমরা সবাই একবার রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। হঠাৎই আমি কুণাল খেমুর গায়ে অচৈতন্য হয়ে পড়ি। পরের দিন সকালে আবার ওদের সঙ্গে দেখা হয়। তখনই ওদের জানাই যে আমি অন্তঃসত্ত্বা।নেহা আরও জানান, সেই সময় তিনি সোহাকে বলেছিলেন, আমাদের তো এখনো বিয়ে হয়নি। কিছুদিন হলো সম্পর্কে আমরা। যতই রক্ষণশীল বা উদার হই না কেন, এই খবর কাছের বন্ধুদের সঙ্গেই ভাগ করে নেওয়া সহজ। বিশেষ করে যে বন্ধুর সদ্য সন্তান হয়েছে তাকে এগুলো বলা যায়।তবে, এত গভীর বন্ধুত্ব থাকা সত্ত্বেও নিজের বিয়েতে সোহাকে আমন্ত্রণ জানাননি নেহা। এর কারণ হিসেবে অভিনেত্রী বলেন, আসলে সেই সময়ে খুব ব্যস্ততা ছিল। আর আমি অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম বলে এক ধরনের হইচই ছিল।ভোরের আকাশ/জাআ