বিয়ে করলেন জামিল ও মুন
দীর্ঘদিন চুপিসারে চুটিয়ে প্রেম করার পর অবশেষে বিয়ে করেছেন ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনয়শিল্পী জামিল হোসেন ও মুনমুন আহমেদ মুন। রোববার (৬ এপ্রিল) রাতে দুই পরিবারের উপস্থিতি উত্তরায় তাদের বিয়ে হয়েছে।
জামিল ও মুনমুনের বিয়ের একটি ভিডিও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী মনিরা মিঠু। তিনি লিখেছেন, আমাদের প্রিয় জামিল-মুনমুনের বিয়ে হলো। বর-কনের জন্য সবাই অন্তর থেকে দোয়া করবেন।
ছোট পর্দার পরিচিত মুখ মুনমুন আহমেদ মুন। অল্প সময়ের মধ্যে টিভি নাটকে অভিনয় করে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে নোয়াখালীর ছেলে জামিল হোসেনের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে।
ভারতীয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার-৬’-এর চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগী ছিলেন তিনি। এ প্রতিযোগিতা থেকে দেশে ফিরে জামিল অভিনয়ে মন দেন। বছর জুড়েই নাটক-টেলিফিল্মের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। পাশাপাশি ‘আয়নাবাজি’, ‘ভালোবাসা আজকাল’সহ বেশ কিছু চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
কয়েকমাস ধরেই একের পর এক হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলিউড ভাইজান সালমান খানকে। শুধু তাই নয় তার বাড়ি-গাড়িও উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এসেছে। সালমান খানসহ তার বাড়ি কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুম্বাই পুলিশ ঢেকে দিয়েছে।সম্প্রতি নিরাপত্তা বলয় টপকে সালমান খানের বাংলোয় দুই অনাহূতর প্রবেশ নিয়ে আবারও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই প্রেক্ষিতেই এবার ভাইজানের সাধের বাংলোকে আরও কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলেছে মুম্বাই পুলিশ।সালমান খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে নিরাপত্তা ভাঙার চেষ্টা করায় এক যুবক ও এক নারীকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ।অভিযুক্তরা হলেন-ছত্তিসগড়ের বাসিন্দা জিতেন্দ্র কুমার সিং (২৩) এবং ঈশা ছাবড়া (৩২)। তারা গত মঙ্গলবার ও বুধবার আলাদা আলাদাভাবে সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে প্রবেশের চেষ্টা করেন।পুুলিশ জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে জিতেন্দ্র কুমার সিং সালমান খানের বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক পুলিশকর্মী তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি রেগে গিয়ে নিজের মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন। পরে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিট নাগাদ ওই যুবক ভবনের এক বাসিন্দার গাড়ির পেছন দিয়ে লুকিয়ে সালমানের অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকে পড়েন। তবে পুলিশ কর্মী তাকে ফের ধরে ফেলে এবং তাকে সরাসরি বান্দ্রা থানায় হস্তান্তর করা হয়।এদিকে, বুধবার ভোর ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে একই ধরণের চেষ্টা করেন ঈশা ছাবড়া নামের এক ৩২ বছরের নারী। এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের লিফট পর্যন্ত পৌঁছে যান। তবে লিফটের সামনে দাঁড়াতেই নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে ঘিরে ধরেন।বলিউডের একটি সূত্র বলছে, এবার থেকে ভাইজানের বান্দ্রার গ্যালাক্সিতে ঢুকতে হলে দেখাতে হবে পরিচয়পত্র। এক্ষেত্রে ছাড় পাবেন না বলিউডের তারকারাও।জানা গিয়েছে, আইডি কার্ড দেখালে তবেই সালমানের বাড়িতে ঢুকতে পারবেন অতিথিরা। সোম-মঙ্গলবারের ঘটনার পরই মুম্বাই পুলিশ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।পুলিশের একটি সূত্র বলছে, অভিনেতা লাগাতার যেভাবে খুনের হুমকি পাচ্ছেন এবং যখন-তখন যে কেউ বাড়িতে ঢুকে পড়ছে, তাই পরিস্থিতি সামাল দিতেই আগত অতিথিদের প্রবেশে কড়াকড়ি নিয়ম চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাইভেট বিল্ডিং হওয়ায় প্রত্যেক অতিথির পরিচয়পত্র চেক করা চ্যালেঞ্জের কাজ। তাই ভাবা হয়েছে, সালমানের পরিবারের সদস্যরা নিশ্চিত করলে তবেই কেউ বাগিড়িতে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভোরের আকাশ/এসআই
মাত্র কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। আদালতে হাজিরা, হুলস্থুল পরিস্থিতি, জামিন - সব কিছু পেরিয়ে এখন রয়েছেন একান্ত নীরবতায়। শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক ধাক্কা আর চিকিৎসকের কড়া নির্দেশনায় যোগাযোগবিচ্ছিন্ন নুসরাত ফারিয়া।২৩ মে নুসরাত ফারিয়া ফেসবুকে জানিয়েছেন, ‘আমি জানি, আপনারা অনেকেই আমার খোঁজখবর, ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করছেন। আপনাদের ভালোবাসা ও উদ্বেগ আমাকে সত্যিই ছুঁয়ে যাচ্ছে। তবে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে, বর্তমানে আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি।’তিনি জানান, চিকিৎসার অংশ হিসেবে ফোন ব্যবহারের ওপরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তাই কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি। তবে সবচেয়ে হৃদয়ছোঁয়া ছিল তার এই স্বীকারোক্তি - ‘গত কয়েকদিন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। মানসিক ও শারীরিকভাবে অনেকটাই ভেঙে পড়েছিলাম। কিন্তু আপনাদের ভালোবাসা, সমর্থন ও সাহচর্য আমাকে এগিয়ে চলার শক্তি দিয়েছে।’ গ্রেপ্তারের সেই অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা এবং পরবর্তী শরীরিক ভেঙে পড়া একসঙ্গে যেন তাঁকে ঘিরে ধরে। তবু হতাশা নয়, বার্তার শেষভাগে উঠে এসেছে আশার আলো।তিনি লিখেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এই কঠিন সময়টা দ্রুতই পেরিয়ে আবার সুস্থভাবে আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পারবৃ খুব শিগগিরই আবার দেখা হবে।’সম্প্রতি পুরনো একটি মামলার জেরে ১৯ মে সকালে গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এমন পদক্ষেপ অনেককে বিস্মিত করে। যদিও পরদিনই তিনি জামিনে মুক্তি পান, তবে তার গ্রেপ্তার ও জামিনের প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। সংস্কৃতি অঙ্গনের কেউ কেউ এই ঘটনাকে ‘বিব্রতকর’ বলেও আখ্যায়িত করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিশ্বজুড়ে অগণিত ভক্ত-দর্শকদের কাঙ্খিত দিনটি চলে এসেছে। ২৩ মে বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে পর্দায় আসছে ‘মিশন ইম্পসিবল: ফাইনাল রেকনিং’। মার্ভেল স্টুডিওর নতুন সিনেমা ‘থান্ডারবোল্টস’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশের ভক্ত অনুরাগীদের মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে এই সিনেমা নিয়ে। ইতোমধ্যে অগ্রিম টিকিটের জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন অনেকে।হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজের আইকনিক সিনেমা ‘মিশন ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা বরাবরই তুঙ্গে থাকে। এ যাবৎ ফ্র্যাঞ্চাইজির সাতটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এবার ভক্তরা মুখিয়ে রয়েছেন সিরিজের অষ্টম ছবিটি দেখার জন্য। সম্প্রতি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী হয়েছে। যেখানে অংশ নিয়েছেন টম ক্রুজসহ ছবির কলাকুশলীরা। হাই ভোল্টেজ এই সিনেমার পাশাপাশি একই দিনে স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পাবে মার্ভেল স্টুডিওর নতুন সিনেমা ‘থান্ডারবোল্টস’। এই সিনেমাটি নিয়েও দর্শকদের যথেষ্ট কৌতুহল লক্ষ্য করা যাচ্ছে।ছবিটি স্ক্রিনিংয়ের পর কানে পাঁচ মিনিট দাঁড়িয়ে করতালি দেন দর্শক। আবেগঘন বক্তব্যে টম ক্রুজ বলেন, ‘ছোটবেলায় এমন কিছু কল্পনাও করিনি। আজ ৩০ বছর ধরে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে আপনাদের বিনোদন দিতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।’আর এদিকে মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের পঞ্চম ধাপের শেষ চলচ্চিত্র ‘থান্ডারবোল্টস’। গত ২ মে আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাওয়া ছবিটি দর্শক সমালোচকদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহান্তে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ৭৬ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে এই ছবি, যা গ্রীষ্মকালীন সিনেমা মৌসুমের জন্য একটি শক্তিশালী সূচনা। আন্তর্জাতিকভাবে এটি ৮৬.১ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে, ফলে মোট বিশ্বব্যাপী আয় দাঁড়িয়েছে ১৬২ মিলিয়ন ডলার। সমালোচকরা এই সিনেমার প্রশংসা করেছেন এর গভীর চরিত্র বিশ্লেষণ এবং অভিনয়ের জন্য। বিশেষ করে ফ্লোরেন্স পিউ এবং সেবাস্টিয়ান স্ট্যানের অভিনয় উল্লেখযোগ্য। ভেরের আকাশ/এসআই
সৎ মা নিশি ইসলামের করা মামলায় অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১২ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (২২ মে) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহের আদালত এ আদেশ দেন।নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, মেহের আফরোজ শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মো. আলী, বোন মাহিন আফরোজ শিঞ্জন, সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপ-পরিদর্শক শাহ আলম ও মোখলেছুর রহমান মিল্টন।এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও শাহ আলম জামিনে আছেন। অপর ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. পিন্টু তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামী ১ জুলাই এ মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ মার্চ শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শরিয়া মোতাবেক ৫০ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া ৫০ হাজার টাকা উসুল করে আসামি ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী তার পূর্বের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারনা করে, প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে ফাসলিয়ে নিয়ে বাদীকে বিয়ে করে।তিনি পরবর্তীতে জানতে পারেন মো. আলী পূর্বেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন যা তিনি গোপন করেন। তার পূর্বের ১টি পুত্র ও ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের বিষয়টি জানতে চাইলে সে তার প্রথম বিয়ে সম্পর্কে জানাতে বিভিন্ন রকমের ছলনা ও প্রতারণাব আশ্রয় নেয় এবং তার সকল প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।পরবর্তীতে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের সম্পর্ক গোপন রাখার জন্য হুমকি দেয়। এরপর ৪ মার্চ আসামি মো. আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন।তখন তার পূর্বের স্ত্রীকে দেখে আসামির প্রতারণার বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পান। এ সময় অন্যান্য আসামিরা তাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন।পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগযে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করে। স্বাক্ষর দিতে অস্বীকৃতি জানানোতে শাওন তাকে বেধড়ক মারধর করে।এর ফলে তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যায়। এরপর ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন ডিবি পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানেও শাওনসহ অন্যান্য আসামিরা মারধর করেন। এসময় ডিবি প্রধান হারুন বাড্ডা থানার ওসিকে বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নিতে বলেন। পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে এবং মাদক ব্যবসায়ী সাজায়।ভোরের আকাশ/জাআ