কান চলচ্চিত্র উৎসবের রেড কার্পেটে অ্যাঞ্জেলিনা জেলি
কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও দেখা গেল অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। গতকাল পরিচালক আরি অ্যাস্টার-এর নতুন চলচ্চিত্র ‘এডিংটন’ এর প্রিমিয়ার উপলক্ষে কান উৎসবে শুভ্র পোশাকে তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই নজরকাড়া।
এবার উৎসবের ৭৮তম এই আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের ছবি ‘এডিংটন’ এ জোলি অভিনয় করছেন সম্মানজনক ভূমিকা শপার্ড ট্রফির মেরিন বা শুভেচ্ছাদূত হিসেবে।
লাল গালিচায় জোলি হাজির হন এক অপূর্ব চ্যাম্পেইন রঙের অফ-শোল্ডার বাস্টিয়ার গাউনে, যার কাট ছিল হালকা ঘেরযুক্ত ও সূক্ষ্ম সূচিকর্মে সজ্জিত। তার লুকটি পরিপূর্ণ করেন শপার্ডের হীরার গয়নায় সাজানো এক রাজকীয় সেট, যা তাঁর সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির এই প্রত্যাবর্তন শুধু গ্ল্যামারেই নয়, ইতিহাসেও অনন্য। কারণ, ২০০৮ সালে তিনি শেষবারের মতো এই লাল গালিচায় হেঁটেছিলেন—তাও ছিলেন তাঁর যমজ সন্তান নক্স ও ভিভিয়েনকে গর্ভে ধারণ করে। তখন তাঁর পাশে ছিলেন ব্র্যাড পিট, আর পরেছিলেন তিনি ফরাসি ব্র্যান্ড জেরার দারে-র ডিজাইন করা একটি পিস্টাচিও-সবুজ গাউন।
তার এবারের উপস্থিতি যেন সেই স্মরণীয় মুহূর্তেরই এক গৌরবময় পুনরাবৃত্তি—যেখানে গ্ল্যামার, ইতিহাস আর চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা একত্রিত হয়ে তৈরি করেছে এক অসাধারণ আবহ।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর আবারও দেখা গেল অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে। গতকাল পরিচালক আরি অ্যাস্টার-এর নতুন চলচ্চিত্র ‘এডিংটন’ এর প্রিমিয়ার উপলক্ষে কান উৎসবে শুভ্র পোশাকে তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই নজরকাড়া।এবার উৎসবের ৭৮তম এই আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগের ছবি ‘এডিংটন’ এ জোলি অভিনয় করছেন সম্মানজনক ভূমিকা শপার্ড ট্রফির মেরিন বা শুভেচ্ছাদূত হিসেবে।লাল গালিচায় জোলি হাজির হন এক অপূর্ব চ্যাম্পেইন রঙের অফ-শোল্ডার বাস্টিয়ার গাউনে, যার কাট ছিল হালকা ঘেরযুক্ত ও সূক্ষ্ম সূচিকর্মে সজ্জিত। তার লুকটি পরিপূর্ণ করেন শপার্ডের হীরার গয়নায় সাজানো এক রাজকীয় সেট, যা তাঁর সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।অ্যাঞ্জেলিনা জোলির এই প্রত্যাবর্তন শুধু গ্ল্যামারেই নয়, ইতিহাসেও অনন্য। কারণ, ২০০৮ সালে তিনি শেষবারের মতো এই লাল গালিচায় হেঁটেছিলেন—তাও ছিলেন তাঁর যমজ সন্তান নক্স ও ভিভিয়েনকে গর্ভে ধারণ করে। তখন তাঁর পাশে ছিলেন ব্র্যাড পিট, আর পরেছিলেন তিনি ফরাসি ব্র্যান্ড জেরার দারে-র ডিজাইন করা একটি পিস্টাচিও-সবুজ গাউন।তার এবারের উপস্থিতি যেন সেই স্মরণীয় মুহূর্তেরই এক গৌরবময় পুনরাবৃত্তি—যেখানে গ্ল্যামার, ইতিহাস আর চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা একত্রিত হয়ে তৈরি করেছে এক অসাধারণ আবহ।ভোরের আকাশ/আজাসা
ভারত ও পাকিস্তান সংঘাত আবহে সরাসরি পাকিস্তানকে সমর্থন করছে তুরস্ক। এই পরিস্থিতিতে তাই তুরস্কে যাওয়া থেকে বিরত থাকছেন ভারতীয়রা।তুরস্ক ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করছেন তারা। বাতিল হচ্ছে বুকিং। এমনকি বিনোদনের ক্ষেত্রেও এই দেশকে এড়িয়ে চলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ‘অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (এআইসিডব্লিউএ) সম্পূর্ণভাবে তুরস্ককে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।‘আনন্দবাজার’ সূত্রের খবরে জানা গেছে, অভিনেতা, শিল্পী, পরিচালক, কলাকুশলীদের তৈরি এই সংগঠনের সিদ্ধান্ত, ভারতের কোনও ছবির শুটিং আর এই দেশে করা হবে না। শুধু ছবি নয়, কোনও রকম শুটিং বা বিনোদন সংক্রান্ত কোনও কাজই তুরস্কে আর করা হবে না। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে সমর্থন করার জন্য এবং ভারতীয়দের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এআইসিডব্লিউএ।এআইসিডব্লিউএ-র আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তুরস্কের প্রযোজক, প্রযোজনা সংস্থা, শিল্পী ও কলাকুশলীদেরও এই দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তুরস্কের সঙ্গে যে চুক্তিগুলি হয়ে রয়েছে সেগুলি নতুন করে পর্যালোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।প্রয়োজনে সেগুলি বাতিল করা হবে। কোনও ভারতীয় পরিচালক বা অভিনেতা তুরস্কের সঙ্গে কাজ করছেন কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হবে। যারা কাজ করবেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।উল্লেখ্য, গত ৮ মে, তুরস্ক ও আজারবাইজান এই দুই দেশ ঘোষণা করে, তারা এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানকে সমর্থন করছে। ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এরও সমালোচনা করে তারা। ভোরের আকাশ/আজাসা
জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে আলোচনায় এসেছিলেন মডেল ও অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি। পরবর্তীতে বিয়ে করেন মুফতি মোহাম্মদ তালহা নামক একজন মাদরাসা শিক্ষককে। সম্প্রতি এই স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার বিষয়টি চাউর হয় গণমাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি আরও একটি ফেসবুকে পোস্ট দেন হ্যাপী। এতে তিনি লেখেন, ‘আমি যতগুলো পোস্ট করেছি সবগুলো প্রমাণসহ কথা বলেছি। ভিডিও দিয়েছি।আর ভন্ড তালহা প্রমাণ ছাড়া আমার পরিবার সম্পর্কে এবং আমার সম্পর্কে যে সমস্ত কথাবার্তাগুলো বলেছে তার জন্য মানহানি মামলার জন্য প্রস্তুত থাকুন ইনশাআল্লাহ। লাইভটি সেভ করে রাখা হয়েছে যত্ন সহকারে। সমস্যা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে, এখানে থার্ড পারসনের কোনো জায়গা নেই। অথচ নিজের দোষ ঢাকার জন্য মিথ্যা একটা ভিডিও স্টেটমেন্ট দেওয়া হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ, এটা আমার জন্য খুব ভালো হয়েছে। কারণ, প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে এরকম অভিযোগ করা দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য আপনি মানহানি মামলার জন্য প্রস্তুত থাকেন। দেখি কত টাকার গরম আপনার! আমার এবং আমার পরিবার সম্পর্কে যে সমস্ত মিথ্যা বলা হয়েছে এগুলোর প্রমাণ সে দেখাক। যদি সে সত্যিকার হয় মুখের কথা গ্রহণযোগ্য না প্রমাণ হচ্ছে আসল।এসব কথা লাইভে বলে নিজের দোষ ঢাকার চেষ্টা তালহার মতো অসভ্যের জন্য জন্য ঠিক আছে। আল্লাহপাক ছাড় দেন, কিন্তু ছেড়ে দেন না। নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য মূল অভিযোগ থেকে সরে গিয়ে নানান মিথ্যা কাহিনী বেশিদিন রপ্ত করে রাখা যায় না। আল্লাহপাক যখন ধরবেন তখন কোনো কূল কিনারা পাওয়া যাবে না। অনেক করেছেন এবার অপেক্ষা করুন আল্লাহ পাকের আজাবের জন্য। মানুষকে বলে বেড়ান যে বাচ্চার জন্য আমার মতো খারাপ মহিলাকে আপনি সংসারে রেখে দিয়েছেন। খুলনায় হাফসার ঘরে যে আপনার কন্যা সন্তান সেটাও তো আপনার সন্তান, তাহলে তাকে কেন তালাক দিয়েছেন বা তালাক দেওয়ার পরেও তাকে কেন ফিরিয়ে আনেননি? সন্তানটাই আপনার কাছে ইমপরটেন্ট হয়? নিজের বিষয়টা খোলাসা করুন সাহস থাকলে। কত বড় মিথ্যাবাদী হলে আপনি নয়টা বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। আর যারা আপনার মতো মিথ্যাবাদীকে বিশ্বাস করে আমার চরিত্রের উপরে তহমত দিচ্ছে এটার দায়ভার সম্পূর্ণ আপনার। এর জন্য আমি আপনাকে মাফ করব না, আপনি হিসাব দিবেন ইনশাআল্লাহ। আমি অসংখ্যবার পোস্ট করে আপনাকে উল্লেখ করে বলছি যে, আপনি আমাকে সুন্দর করে তালাক দিয়ে দিন। আমি সংসার করতে চাই না, আপনি পেঁচিয়ে তালগাছটা আমার করে রেখে দেন। মানুষের সামনে বলেন তালাক দিব, এরপর এক একটা কাহিনী করে তাল একটা ঝুলিয়ে রাখেন তালাক দেন না আপনি। যদি এরকমই হয় তাহলে আপনি আমাকে সরাসরি তালাক দিয়ে দিন। জোর করে কি মানুষকে আটকে রাখা যায়?আর আপনার কথা অনুযায়ী যদি আমি বিয়ে ব্যবসায়ী হতাম তাহলে আট বছর আপনার সঙ্গে কেন কাটালাম। আপনাকে সব ভরণপোষণ দিয়ে ৮ বছরে কমপক্ষে আটটা বিয়ে করতে পারতাম। আপনার নির্যাতন সহ্য, সবর করে দেখি আপনি ভালো হন কিনা এটা ভেবে, বাচ্চার কথা ভেবে আমার জীবনের এতগুলো বছর নষ্ট করা ভুল হয়েছে।’ভোরের আকাশ/আজাসা
ঢালিউডের জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর হাঁটুর লিগামেন্ট সমস্যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন ছিলেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ডালাসের একটি হাসপাতালে তার হাঁটুর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন এবং হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন নিজেই।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মিশা লেখেন, “আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া। বৃহস্পতিবার আমার লিগামেন্ট অপারেশন ডালাসে সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমি বাসায় অবস্থান করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই দেশ-বিদেশের সকল শুভাকাঙ্ক্ষী, চলচ্চিত্র পরিবার, শিল্পী সমিতি এবং গণমাধ্যমকর্মীদের।”এদিকে, অস্ত্রোপচারের দিনই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দাবি করা হয় যে, মিশা সওদাগরকে একদল উত্তেজিত জনতা মারধর করেছে।ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি রাস্তায় মার খাচ্ছেন এবং দাবি করা হয় সেটি মিশা সওদাগর। এরপরই মিশার হাসপাতালের একটি ছবিও ভাইরাল হয়, যা দেখে অনেকে ভুলবশত ধরে নেন, ভিডিওর ঘটনার কারণেই তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।তবে বাস্তবতা ভিন্ন। মিশার ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, ভাইরাল ভিডিওটি ভুয়া এবং সেটির সঙ্গে অভিনেতার কোনো সম্পর্ক নেই। ভিডিওতে যে ব্যক্তি মারধরের শিকার হয়েছেন, তিনি মিশা নন। আর হাসপাতালের ছবিটি সত্য হলেও সেটি ছিল হাঁটুর পুরোনো চোটের জন্য অস্ত্রোপচারের সময় তোলা।প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ‘মিসড কল’ সিনেমার শুটিংয়ে একটি নৃত্যদৃশ্যে অংশ নিতে গিয়ে পড়ে গিয়ে হাঁটুতে চোট পান মিশা সওদাগর। পরবর্তী পরীক্ষায় জানা যায়, তার লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অস্ত্রোপচার করান তিনি।ভোরের আকাশ//হ.র