গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫৮ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
গাইবান্ধার সাঘাটায় থানার সামনের পুকুর থেকে সিজু মিয়া (২৫) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ তদন্তে প্রধান হিসেবে মাঠে নেমেছেন এডিশনাল ডিআইজি।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে সাঘাটা থানা এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন কালে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
এদিন সকাল সাড়ে ১০ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শুরু হয়ে দুপুর ৩ টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য ইতোমধ্যে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণই আমাদের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে গাইবান্ধার সাঘাটা থানায় ঢুকে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মহসিন আলীকে ছুরিকাঘাত করে পুকুরে লাফিয়ে পড়ে সিজু মিয়া। পরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাঘাটা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরের কচুরিপানার মধ্য থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অজ্ঞাতনামা হিসেবে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। পরের দিন শনিবার পুকুরে সিজুকে পুলিশ কতৃক পেটানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হয়। পরে সেই দিনই গাইবান্ধা পুলিশ সুপারের কর্যালয় ঘেরাও করে এলাকাবাসি। পরের দিন সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে সচেতন নাগরিক ও স্থানীয়রা।
এ ঘটনাটি তদন্তে রংপুর রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রংপুর ডিআইজি রেঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম ম্যানেজম্যান্ট রুনা লায়না ও গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরিফুল আলমকে রাখা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ-সার্কেল) বিদ্রোহ কুমার কুন্ডু।
নিহত সিজু মিয়া গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুরিয়া গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং গিদারি ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সভাপতি ও স্থানীয় এক কলেজের ডিগ্রী ২য় বর্ষের ছাত্র।
ভোরের আকাশ/জাআ