সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫ ১০:২৪ পিএম
বিশ্বম্ভরপুরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা
সুনামগঞ্জের বিশম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মফিজুর রহমানের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে ও অপসারণের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়াসহ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
রোববার (৪ মে) সকালে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা চত্বর ও কারেন্টের বাজারে বিশ্বম্ভরপুর এলাকাবাসীর ব্যানারে পৃথক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় মানববন্ধন আয়োজকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মফিজুর রহমান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সীমান্তের চোরাচালানসহ হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। পটপরিবর্তনের পরে একই ধরণের কাজ করে যাচ্ছেন। তার ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাবে বিপুল অর্থ রয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অযৌক্তিক প্রকল্প গ্রহণসহ স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে।
বিক্ষুব্ধ জনতা বলেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মফিজুর রমানের অপসারণ দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন চলাকালে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মানববন্ধন আয়োজকদের ওপর হামলা চালায়। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মো. শফিকুল ইসলাম জনি, নুরুল আলম, আব্দুর রবসহ অনেকে।
ইউএনও মো. মফিজুর রহমান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সময় আমি জেলা সদরে ছিলাম। শুনেছি আমার বিরুদ্ধে কিছু মানুষ মানববন্ধন করেছেন। আবার কিছু লোক তাদের উপর হামলা করেছে।
এদিকে, মানববন্ধনে হামলার সাথে জড়িতদের বিচারের পাশাপাশি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অপসারণ করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
ভোরের আকাশ/আমর