× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

এবার কোরবানির জন্য সিরাজগঞ্জে প্রস্তুত সাড়ে ৬ লাখ পশু

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫ ০৫:৫৬ পিএম

এবার কোরবানির জন্য সিরাজগঞ্জে প্রস্তুত সাড়ে ৬ লাখ পশু

এবার কোরবানির জন্য সিরাজগঞ্জে প্রস্তুত সাড়ে ৬ লাখ পশু

আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল আজহা উপলক্ষে দিনরাত পরিশ্রম করে দেশীয় পদ্ধতিতে ষাড় মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত হয়ে পরেছে খামারীরা। গো-খামারিরা কাঁচা ঘাস, খড়, ভুষি, খৈলসহ বিভিন্ন দানাদার খাদ্য খাইয়ে মোটা তাজা করা হয়। এবার সিরাজগঞ্জ জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯০৪টি কোরবানির উপযোগী গবাদিপশু। জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবছরেই এ জেলায় মোটাতাজা করা কোরবানির পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার হাট বাজারে বিক্রি করা হয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ একে এম আনোয়ারুল হক সবুজ এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় এবার প্রস্তুত গবাদিপশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ ও গাভী রয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০টি, ছাগল প্রায় ৪ লাখ, মহিষ ৩ হাজার ৮৭৫ এবং ভেড়া ৬৭ হাজার ৩০৩টি। এবার এ জেলায় কোরবানির জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫৯ হাজার ২৪১টি। বাকি ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৩টি পশু দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে। চরাঞ্চলে ঘাসের প্রাচুর্যের কারণে সেখানে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু-ছাগল পালন করায় এই এলাকার পশুর চাহিদা অন্যান্য অঞ্চলে বেশি-বলেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

১৯৭৩ সালে সমবায় ভিত্তিক রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটার একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত করন কারাখানা সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখানে গড়ে ওঠে শত শত গরুর খামার। গরুর খামার একসময় ছড়িয়ে পড়ে সারা জেলাতেই। বিশেষ করে উল্লাপাড়া, কামারখন্দ, তাড়াশ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলেও খামার ও পারিবারিকভাবে এসব গরু খামারে বেশি লালন পালন করা হয়ে থাকে। এ সকল গো-খামারে প্রতি বছরই ঈদ-উল-আযহা সামনে রেখে ব্যাপকভাবে ষাড় মোটাতাজাকরণ করা হয়। এ বছরেও প্রানী সম্পদ বিভাগের দেয়া প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রাকৃতিক উপায়ে ধানের খর, সবুজ ঘাস, বিভিন্ন প্রকারের ভুষি, খোল ও কিছু ভিটামিন খাইয়ে ষাড় মোটা তাজাকরণ করছে খামারিরা। তবে খাদ্য, ওষুধসহ সব উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। এ বছর পশু খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনের খরচ বেড়েছে। তারপরও ভালো দাম পাবার আশায় শ্রম ও অর্থ দুটোই ব্যয় করছেন।

অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছরে গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় পশুপালনে ব্যয় বেড়েছে অনেকটাই। এর উপর যদি ভারত থেকে আসা গরু কোরবানির হাট-বাজারে অবাধে বিক্রি হয় তার জন্য লোকসানের আশঙ্কা করছেন গো-খামারিরা।  

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সড়ক-মহাসড়ক ও নৌপথে পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও হয়রানির আশঙ্কা রয়েই গেছে।

প্রতি বছরের তুলনায় এবার গো-খাদ্যের দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় তিন থেকে চারশো টাকা। ফলে ষাড় মোটাতাজাকরণের ব্যয় বেড়েছে খামারিদের। এ বছরে উচ্চমুল্যের গো-খাদ্য খাইয়ে মোটাতাজা করা ষাড় সঠিকমুল্যে বিক্রি করতে পারলে লাভের আশা করছেন তারা। কিন্তু কোরবানির পশুর হাটে যদি ভারতীয় গরু অবাধে বিক্রির সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দেশীয় কোরবানির পশুর নায্য দাম না পাওয়ার আশংকা করছেন প্রান্তিক খামারিরা। এমনকি এসব পশু পরিবহনে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

কামারখন্দ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, রায়গঞ্জ ও বেলকুচি উপজেলার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, সড়ক পথে ট্রাক ও নছিমন-করিমনে পশু নিতে গেলে পথে পথে হয়রানি ও চাঁদা দিতে হয়। একইভাবে নৌপথেও কিছু এলাকায় অস্থায়ী পশুর হাট বসিয়ে বাধ্যতামূলকভাবে পশু নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

শাহজাদপুরের গরু ব্যবসায়ী মুন্সী আবুল কালাম আজাদ বলেন, যমুনা নদী পথে পশু নিতে গেলে মাঝপথে জোর করে নৌকা থামিয়ে পশু নামাতে বলা হয়। এতে আর্থিক ক্ষতির শিকার হন অনেক ব্যবসায়ীরা।

সিরাজগঞ্জ সদরের গরু ব্যবসায়ী শিশির আহমেদ, আনোয়ার হোসেন ও মজিবর শেখসহ কয়েকজন বলেন, আমাদের কড্ডা মোড় দিয়ে মহাসড়ক ছাড়া পরিবহনের বিকল্প পথ নাই। আমাদের এই মহাসড়কে অনেক ডাকাতি হয়। প্রশাসনের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন। আমরা সারা বছর কষ্ট করে গরু লালন-পালন করেছি, ডাকাতির কবলে পড়তে চাই না। ডাকাতের কবলে পড়লে সর্বশান্ত হয়ে যাবো। এজন্য মহাসড়কে প্রশাসনের কঠোর নজরদারী প্রয়োজন।

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, গত রোজার ঈদে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সামনে কোরবানির ঈদে যেনো কোনো ডাকাতি বা চাঁদাবাজি না হয়, সে ব্যাপারে জেলা পুলিশের সাথে সমন্বয় রাখব আমরা। আমাদের একাধিক টিম থাকবে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।

এই প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ বলে জানালেন সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন। 

তিনি আরও জানান, পশুবাহী যানবাহন এবং হাট কেন্দ্রিক যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জোরদার নিরাপত্তা থাকবে।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গণপতি রায় জানান, অনুমোদিত পশুর হাট ছাড়া অন্য কোথাও অস্থায়ী হাট বসালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

প্রশাসনের এমন উদ্যোগে আশাবাদী হলেও ব্যবসায়ীরা চান, মাঠপর্যায়ে এসব ব্যবস্থার কঠোর বাস্তবায়ন হোক যেন তারা নির্বিঘ্নে পশু বিক্রি করতে পারেন। দিতে যেন না হয় মহাসড়কে চাঁদা। বৈধ-অবৈধ পথে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ করাসহ মোটাতাজাকরা ষাড়ের নায্যমূল্য নিশ্চিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার এমনটাই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের গো-খামারিদের। 

ভোরের আকাশ/এসআই

  • শেয়ার করুন-
 ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের শঙ্কায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের শঙ্কায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে

 রায় পক্ষে এলেও উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবি ইশরাকের

রায় পক্ষে এলেও উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবি ইশরাকের

 বিএনপি আজ জনগণবিরোধী এক পরিণতির পথে হাঁটছে: নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী

বিএনপি আজ জনগণবিরোধী এক পরিণতির পথে হাঁটছে: নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী

 আমিরাতের কাছে টি–টোয়েন্টি সিরিজ হারের লজ্জা বাংলাদেশের

আমিরাতের কাছে টি–টোয়েন্টি সিরিজ হারের লজ্জা বাংলাদেশের

 পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আসাদ আলম সিয়াম

পররাষ্ট্রসচিব হচ্ছেন আসাদ আলম সিয়াম

 গাজায় পানির তীব্র সংকট, সমুদ্রের পানি পানে বাধ্য মানুষ

গাজায় পানির তীব্র সংকট, সমুদ্রের পানি পানে বাধ্য মানুষ

 শ্রীলঙ্কায় লবণের তীব্র সংকট, দ্বিগুণ দামেও মিলছে না পণ্য

শ্রীলঙ্কায় লবণের তীব্র সংকট, দ্বিগুণ দামেও মিলছে না পণ্য

 ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমে ৪২ শতাংশে: রয়টার্স-ইপসোস জরিপ

ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমে ৪২ শতাংশে: রয়টার্স-ইপসোস জরিপ

 শাহরিয়ার সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

শাহরিয়ার সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার শাহবাগে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি

 ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হওয়া উচিত: সেনাপ্রধান

 ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন হামজাদের কোচ ক্যাবরেরা

ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন হামজাদের কোচ ক্যাবরেরা

 আরও বাড়ালো সোনার দাম

আরও বাড়ালো সোনার দাম

 বেনাপোলে কাস্টমসে আবারো কলম বিরতিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকরা

বেনাপোলে কাস্টমসে আবারো কলম বিরতিতে আমদানি-রফতানি বন্ধ, ক্ষতিগ্রস্ত আমদানিকারকরা

 আন্তর্জাতিক উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন মেহজাবীন

আন্তর্জাতিক উৎসবে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন মেহজাবীন

 বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূঁইয়ার প্রথম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূঁইয়ার প্রথম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 নাজিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: তিনজনকে ছয় মাসের জেল

নাজিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: তিনজনকে ছয় মাসের জেল

 মায়ের লাশের পাশে কাঁদছিলো ছয় মাসের শিশু,  হত্যাকারী বাবা পলাতক!

মায়ের লাশের পাশে কাঁদছিলো ছয় মাসের শিশু, হত্যাকারী বাবা পলাতক!

 প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

 ফুলছড়িতে ছয় ইউপি চেয়ারম্যান আটক

ফুলছড়িতে ছয় ইউপি চেয়ারম্যান আটক

সংশ্লিষ্ট

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূঁইয়ার প্রথম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আতাউর রহমান ভূঁইয়ার প্রথম মৃতুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নাজিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: তিনজনকে ছয় মাসের জেল

নাজিরপুরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন: তিনজনকে ছয় মাসের জেল

মায়ের লাশের পাশে কাঁদছিলো ছয় মাসের শিশু,  হত্যাকারী বাবা পলাতক!

মায়ের লাশের পাশে কাঁদছিলো ছয় মাসের শিশু, হত্যাকারী বাবা পলাতক!

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ