কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৪ মে ২০২৫ ০৯:২২ পিএম
কুড়িগ্রামের সেই অজ্ঞাত নবজাতকের অভিভাবকের সন্ধান মিলেছে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কুড়িয়ে পাওয়া ৮ দিন বয়সী কন্যা শিশুটির বাবা মায়ের পরিচয় পাওয়া গেছে। শিশুটি জাহানারা বেগম ও নুর মোহাম্মদ দম্পতির সন্তান। তাদের বাড়ি নাগেশ্বরী উপজেলার বাঁশেরতল বকশির খামার এলাকায়।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরের শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২ দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন থাকার পর প্রশাসনের সহায়তায় শিশুটিকে তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার সকালে উপজেলা সদরের একটি মোবাইল ফোন টাওয়ার সংলগ্ন মিলন মিয়া ও আসমাউল হোসনা দম্পতি তাদের বাড়ির ওয়াশরুমের পাশে একটি নবজাতকের কান্নার শব্দ শুনে শিশুটিকে উদ্ধার করে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশুটির অভিভাবক না পেয়ে ভুরুঙ্গামারী থানায় হস্তান্তর করে। পরে পুলিশ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে শিশুটিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ হলে ওই শিশুটির ভাই শুক্রবার রাতে শিশুটির মাকে ফোন করে এ তথ্য জানায়। রাত দুইটার দিকে অভিভাবক শিশুটির মা ভূরুঙ্গামারী থানায় যোগাযোগ করে।
পুলিশ জানায়, আসমাউল হোসেন ও জাহানারা বেগম সম্পর্কে খালাতো বোন। গত ১৭ মে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে নুরজাহান বেগম একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।
নুরজাহানের স্বামী কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় গত শুক্রবার সকালে ঘর থেকে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে কাউকে কিছু না বলে ভূরুঙ্গামারীতে আসমাউল হোসনার বাড়ির পাশে গোপনে রেখে চলে যায়। পরে শিশুটির কান্নার শব্দ শুনে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী থানার সহযোগিতায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসক ও নার্সের সহযোগিতায় শিশুটি এখন সুস্থ আছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, শিশুটি সুস্থ আছে এবং তার অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউএনও, ওসি ও সমাজসেবা কর্মকর্তার উপস্থিততে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মাহমুদ জানান, শিশুটির অভিভাবকের সন্ধান পাওয়া গেছে। পরিচয় যাছাই বাছাই ও আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে শিশুটিকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ