গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫ ০৫:২৪ পিএম
গাইবান্ধায় কোরবানিতে প্রস্তুত হিরো ও ভিলেন, দাম ১৪ লক্ষ
আসন্ন কোরবানির ঈদে এবার গাইবান্ধায় হাট কাঁপাতে প্রস্তুত হিরো ও ভিলেন। জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার মাওয়াগারিতে নিবিড় যত্ন এবং পরিচর্যায় বেড়ে ওঠা হিরোর ওজন প্রায় ২৩ মণ এবং ভিলেনের ওজন ২৫ মণ। তাদের দাম হাকানো হচ্ছে ১৪ লাখ টাকা। ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি করলে খরচের টাকা উঠবে বলে জানান হিরো ভিলেনের মালিক অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম।
সরেজমিনে শনিবার (৩১ মে) দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলার মাওয়াগারিতে গিয়ে দেখা যায়, বিশাল দেহের সাদা ও হালকা কালো রঙের হিরো প্রায় সাড়ে ৮ ফুট লম্বা এবং উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। দেহের ওজন প্রায় ২৩ মন। আর গারো কালো রঙের ভিলেন প্রায় ৯ ফুট লম্বা এবং উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। আর দেহের ওজন প্রায় ২৫ মন। এই হিরো ও ভিলেন জেলার অন্যতম বড় গরু হিসাবে কোরবানির জন্য ক্রেতার নজর কাড়বে।
শহিদুল ইসলাম জানান, প্রায় আড়াই বছর আগে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে ভিলেনকে ও ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে হিরোকে স্থানীয় দুটি খামার থেকে সংগ্রহ করেছিলাম। তখন থেকে তাদের নিজ সন্তানের মতো লালনপালন করে আসছি। কোনো ফিড বা অন্য কিছু খাওয়াইনি।
তিনি আরও বলেন, দানাদার খাবারের পাশাপাশি খাদ্য তালিকায় রয়েছে ধানের কুড়া, আলু, ভুষি, ছোলা বুট ও সবুজ ঘাসহ সকল দেশীয় খাদ্য। প্রতিদিন হিরো ও ভিলেনের খাবারের পেছনে ব্যয় হয় প্রায় ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। পছন্দের হিরো ও ভিলেনকে ভালোবাসেন পরিবারের সবাই।
শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সাহেলা বেগম জানান, শান্ত স্বভাবে হওয়ায় সাদা হালকা কালো রঙের গরুটির নাম রাখা হয় হিরো। তবে রাগি হওয়ায় কালো রঙের গরুটির নাম রাখা ভিলেন। বিশাল আকৃতির গরু ২টি দেখতে খামারে প্রতিদিন স্থানীয় উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছেন।
সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতা ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় হিরো ও ভিলেনের চিকিৎসা ও খাবার ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে। ঈদকে কেন্দ্র করে এ ধরনের বড় গরু বিক্রিতে মালিকরা প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতা নিতে পারেন।
ভোরের আকাশ/জাআ