কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৪ জুন ২০২৫ ০৯:১১ পিএম
চান্দিনায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা বহিষ্কার
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কানন-কে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাজহারুল হক (মাছুম) পাঠান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যম কর্মীদের হাতে পৌঁছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কুমিল্লা (উত্তর) এর সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মো. আনোয়ার হোসেন আনন্দ ও সদস্য সচিব মো. অহিদুজ্জামান মোল্লা'র সিদ্ধান্ত অনুমোদনে চান্দিনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কানন-কে দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সকল পর্যায়ের নেতা কর্মীদের তার সাথে কোনরূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এবিষয়ে চান্দিনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কানন বলেন- স্থানীয় কতিপয় দু¯ৃ‹তিকারী আমার আপন ভাগিনাকে আটক করে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে চাঁদাদাবী করে এবং তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি তাদের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করি। তাদের মধ্যে একজন একটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। কিন্তু আমার ভাগিনাকে কোন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আটক করেনি যে আমি তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছি। দল থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও জানান- দলীয় কোন সাবেক নেতার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারে না। স্বেচ্ছাসেবকদলে বর্তমানে আমার সদস্য পদও নেই। উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল আমাকে বহিস্কার করেছে তা আমার জানাও নেই।
কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মাজহারুল হক (মাছুম) পাঠান জানান- গিয়াস উদ্দিন কানন আমাদের সংগঠনের চান্দিনা উপজেলা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। যেহেতু চান্দিনা উপজেলায় আমাদের পুর্ণাঙ্গ কমিটি নেই তাই তাকে সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। কোন অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান- একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যদিও তার পদটি সাবেক তারপরও এমন গুরুত্বপূর্ণ পদের নেতা জনসম্মুখে কিভাবে কি বলতে হবে সেই সেন্স তার থাকা উচিত ছিল। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে দেখে উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার জোয়াগ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আরমান হোসেন রনি নামের এক নেতাকে আটক করেছিল ছাত্র-জনতা। এসময় খবর পেয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান চান্দিনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কানন। এঘটনার গত ১০ জুন (মঙ্গলবার) একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুহুর্তেই ভারাইল হয়। পরে ওই ঘটনা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
ভোরের আকাশ/আজাসা