মাটিরাঙ্গায় প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প সেমিনার
খাগড়াছড়িতে সমাজসেবা অধিদফতর কর্তৃক পরিচালিত প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (২য় ফেইজ) অবহিতকরণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক
আবু আবদুল্লাহ মো. ওয়ালী উল্লাহ।
এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা টিটু চন্দ্র ধর। সেমিনারে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোকেয়া বেগম, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা খাদিজা তাহিরাসহ প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রান্তিক পেশাজীবী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সরকার নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বংশীয় পরম্পরায় চলমান এসব পেশাজীবীদের আরো আধুনিকায়ন ও সহজীকরণের লক্ষ্যে সর্বদা সব ধরনের সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
তদবির বা ঘুষ ছাড়াই সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে বরগুনা জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন ১২ জন তরুণ। মাত্র ১২০ টাকার সরকারি আবেদন ফিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বরগুনার পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল।বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল বরগুনা পুলিশ লাইন্সের ড্রিল সেডে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নিয়োগপ্রাপ্তদের পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে বরগুনা জেলায় ১২টি পদের বিপরীতে মোট ৭৩২ জন প্রার্থী আবেদন করেন।প্রাথমিকভাবে শারীরিক মাপ ও সক্ষমতা যাচাই শেষে ২৪৯ জনকে লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত করা হয়। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪৮ জন, যার মধ্যে ২০ জন উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে ১২ জনকে নির্বাচিত করা হয়।নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারের সন্তান। স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রক্রিয়ায় চাকরি পেয়ে খুশি প্রার্থীরা।একজন নবনিয়োগপ্রাপ্ত বলেন, “বর্তমানে টাকা ছাড়া চাকরি পাওয়া যেন অসম্ভব। সেখানে আমরা মাত্র ১২০ টাকা সরকারি ফি দিয়ে চাকরি পেয়েছি। এটি আমাদের জন্য এক বিশাল প্রাপ্তি।”এ বিষয়ে পুলিশ সুপার ইব্রাহিম খলিল বলেন, “শতভাগ স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। মাত্র ১২০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট ফি দিয়েই প্রার্থীরা চাকরি পেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, তারা ভবিষ্যতে পুলিশের গর্বিত সদস্য হয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।”ভোরের আকাশ/জাআ
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী পশুহাট। সাপ্তাহিক এ পশুহাটে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতারদের উপচে পড়া ভিড়। কোরবানির হাট উপলক্ষে খামারি ও কৃষকেরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। কোরবানির গরু ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাট।বৃহস্পতিবার (২২ মে) সাপ্তাহিক শিয়ালমারী পশুহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাপ্তাহিক এ হাটে ক্রেতে বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও গরু কেনাবেচা তেমন বাড়েনি। অনেকেই হাট ঘুরে কোরবানির গরু ও ছাগল পছন্দ করে করছেন। কেউ আবার পচ্ছন্দের পশুটির দরদাম করছেন।অধিকাংশ ক্রেতারা দেশি জাতের মাঝারি সাইজের গরু পছন্দ করছেন। ১ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু নিয়ে খামারিদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ২ লাখ টাকার উপরে দামের গরুগুলো কম বিক্রি হচ্ছে।গরু বিক্রি করতে আসা জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের খামারি সামাদ আলী বলেন, নিজের পোষা ৩টি গরু আজ হাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। গরু নিয়ে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন পর্যন্ত শুধু একজন ছাড়া আর কেউ গরুর দাম জানতে চাইনি। একজন ক্রেতা ৩টি গরু সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম বলেছে। অথচ ২ মাস আগে এই ৩টি গরুর দাম বলেছিলো ৭ লক্ষ টাকা। বর্তমান বাজারে গরুর খাদ্য খুদ, ভূষি ও বিচালির দাম অনেক বেশি। গরু ৩টি লালন-পালন করতে যত টাকা খরচ হয়েছে তাতে করে এই দামে গরু বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান হবে।রায়পুর গ্রামের আরেক গরু বিক্রেতা শাহজামাল হোসেন বলেন, একটি দেশি জাতের গরু বাড়িতে পালন করে আজ বিক্রি করতে হাটে এসেছি। আনুমানিক ৪ মন ওজনের গরুটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।কোরবানির ছাগল কিনতে আসা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানির জন্য একটা ছাগল কিনতে এসেছি। হাটে অনেক ছাগল এসেছে। দামদরে যদি ভালো মনে হয় তাহলে কিনবো। তা না হলে আগামী সোমবার ডুগডুগি পশুহাট থেকে কিনবো।পশুহাটে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা মূল্যের অনেক বড় গরু আমদানি হয়েছে। কিন্তু বড় গরু বিক্রি অনেক কম। তবে ১ থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু বিক্রেতারা বলেছেন, আর দুই-তিনটা স্থানীয় হাটে গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাবো। বিক্রি না হলে গরুগুলো রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পশুহাটে বিক্রি করবো।ভোরের আকাশ/এসআই
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ ও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) বেলা ১১টায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে চরফ্যাশন অফিসার্স ক্লাবে ও উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়। প্রশিক্ষণে উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের ইউপি সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম, আইন-শৃঙ্খলা, নারী ও শিশু অধিকার, ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলাগুলোর মধ্যে চুরি, ঝগড়া-বিবাদ, মারামারি, সম্পত্তি দখল পুনরুদ্ধারসহ পাওনা টাকা আদায়, স্ত্রী কর্তৃক বকেয়া ভরণপোষণ, গ্রাম আদালতে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা ফৌজদারী ও দেওয়ানী বিরোধ মামলার নিষ্পত্তি করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।জানা যায়, চরফ্যাশন উপজেলার ২১ ইউনিয়নের ইউপি সদস্যদের গ্রাম আদালত বিষয়ে ধারনা ও বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিনে ও ইউরোপিয় ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপির অর্থায়ানে ও কারিগরি সহযোগিতায় চরফ্যাশন অফিসার্স ক্লাবে ও উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে ইউপি সদস্যদের নিয়ে দু’দিন ব্যাপি কর্মশালার আয়োজন করা হয়।প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসনা শারমিন মিথি।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজ সেবা অফিসার মো. মামুন হোসাইন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. টি এস এম ফিদা হাসান প্রমুখ। এছাড়াও গ্রাম আদালতের উপজেলা সম্বনয়কারী রিয়াজ মোর্শেদ।প্রশিক্ষণ শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসনা শারমিন মিথি বলেন, “গ্রাম আদালতের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে স্বল্প সময় ও খরচ বাঁচিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব। তবে বিচারকদের নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভূমিকা পালন জরুরি। ইউপি সদস্যদের সক্রিয় অংশগ্রহণই গ্রাম আদালতের সাফল্য নিশ্চিত করবে।”প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ইউপি সদস্যরা গ্রাম আদালত সম্পর্কে গভীর ধারণা অর্জন করেন এবং স্থানীয় পর্যায়ে এর বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন।ভোরের আকাশ/জাআ
জামালপুরের মাদারগঞ্জে জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়।মাদারগঞ্জ পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নে মোট ১৬ টি বকনা বাছুর ১৬ জন জেলের মাঝে বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা মৎস্য অফিসার আ ন ম আশরাফুল কবীর। এতে সভাপতিত্ব করেন মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাদির শাহ।বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ মোহাইমিনুল ইসলাম তুষার। সঞ্চালনায় উপজেলা মৎস্য অফিসার তাহমিনা খাতুন।এ সময় প্রকল্প প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা সহ মৎস্য অফিসের কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ভোরের আকাশ/জাআ