ছবি : ভোরের আকাশ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনআনি বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক তিনবারের এমপি মাহমুদুল হক রুবেল।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) গভীর রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনানী বাজারের ব্রিজ পারে আগুন লেগে ৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
খবর পেয়ে সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনানী বাজারে আসেন এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো পরিদর্শন করে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে সার্বিক খোঁজ খবর নেন। তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। এ সময় হাতিবান্ধা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।
পরিদর্শন শেষে সাবেক এমপি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অন্যরা অপকর্ম করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। কেউ যদি চাঁদাবাজি বা অন্যকোন অপকর্ম করতে আসে তাকে আটক করে পুলিশে দেন, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমিসহ আমার দল বিএনপি আপনাদের পাশে আছি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করছেন। রোববার (২০ জুলাই) সকালে রাঙামাটি যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে স্টেশন রোড এলাকায় একটি মোটেলে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা সারাদেশে পদযাত্রা করছি, সব শহীদ পরিবারের সঙ্গে বসছি। তাদের সবারই কমবেশি একই সমস্যা। কিছু জায়গায় সমস্যাগুলো কম, সুযোগ-সুবিধাগুলো পৌঁছেছে বা খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। আমরা সবসময় সব অবস্থাতেই শহীদ পরিবারের পাশে আছি। শহীদ পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা আপনাদের কাছে কোনো দল হিসেবে আসিনি। আমরা এসেছি অভ্যুত্থানে আমরা ছিলাম, আপনাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে ছিল, সে জায়গা থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে একটি পরিবার মনে করি। অবশ্যই শহীদ পরিবারদের- শহীদদের কোনো দল হয়নি, এটা আমরা মনে করি। তারা পুরো বাংলাদেশের, দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।তিনি আরও বলেন, আমি যখন সরকারে ছিলাম তখন আমরা তাদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম চাপ তৈরি করেছি। দেখা যাচ্ছে, উদ্যোগগুলো মাঠ পর্যায়ে পৌঁছায়নি বা পৌঁছাতে দেরি করছে এবং সেখানে অনেক ধরনের ঝামেলা এখনও হয়। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা আছে। শহীদ পরিবারগুলো যে সম্মান পাওয়ার কথা, আমরা বিভিন্ন জায়গায় সে অভিযোগগুলো শুনি।এ সময় চট্টগ্রামের শহীদদের পরিবার ও এনসিপি’র কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে এনসিপি নেতৃবৃন্দ রাঙ্গামাটির উদ্দেশে যাত্রা করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে ঘিরে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নাম উল্লেখসহ মোট ৩ হাজার ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ৩০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচজন।গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাতপাড়ায় গাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগানো ও রাস্তায় গাছ ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সদর থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে।শুক্রবার রাতে থানার উপপরিদর্শক শামীম আল মামুন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এতে ৫৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫০ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।এ নিয়ে জেলায় মোট চারটি মামলায় ৩৫৮ জনের নাম উল্লেখ করে তিন হাজার ৮ জনকে আসামি করা হলো। গত ১৬ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ৩০৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জেলার পাঁচটি থানার তথ্য অনুযায়ী, সদর থানায় নতুন ৪৪ জনসহ মোট ৯২, কাশিয়ানীতে ৩৩ জনসহ ৭৭, মুকসুদপুরে ২২ জনসহ ৮৮, টুঙ্গিপাড়ায় ১০ জনসহ ২৭ এবং কোটালীপাড়ায় ১০ জনসহ ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে কার্যক্রমে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এনসিপি নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচজন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গোপালগঞ্জে উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে জারি করা কারফিউ রোববার (২০ জুলাই) ভোর ৬টা থেকে শিথিল করা হয়েছে। তবে একই সময় থেকে জেলায় জারি করা হয়েছে দণ্ডবিধির ১৪৪ ধারা, যা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।জেলা প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা অনুযায়ী এই আদেশ বলবৎ থাকবে। এ সময় জেলার যেকোনো স্থানে সভা, মিছিল বা জনসমাবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। তবে পরীক্ষার্থী, শিক্ষার্থী, সরকারি অফিস ও জরুরি পরিষেবাগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাসেল মুন্সি বলেন, শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার ভোর ৬টা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে কারফিউ বলবৎ ছিল। সেই কারফিউ শেষে এখন ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে, যা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।এর আগে, গত ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিকে ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায়। ঘটনার পর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রথমে জারি করেন ১৪৪ ধারা। পরিস্থিতির অবনতিতে পরদিন রাত ৮টা থেকে পুরো জেলায় কারফিউ জারি করা হয়।এ পর্যন্ত এনসিপি সংশ্লিষ্ট ঘটনায় চারটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনআনি বাজারে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক তিনবারের এমপি মাহমুদুল হক রুবেল।শুক্রবার (১৮ জুলাই) গভীর রাতে ঝিনাইগাতী উপজেলার তিনানী বাজারের ব্রিজ পারে আগুন লেগে ৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।ছবি : ভোরের আকাশখবর পেয়ে সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেল শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনানী বাজারে আসেন এবং অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো পরিদর্শন করে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের সাথে কথা বলে সার্বিক খোঁজ খবর নেন। তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন। এ সময় হাতিবান্ধা ও মালিঝিকান্দা ইউনিয়ন বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাঁর সঙ্গে ছিলেন।পরিদর্শন শেষে সাবেক এমপি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। অন্যরা অপকর্ম করে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে। কেউ যদি চাঁদাবাজি বা অন্যকোন অপকর্ম করতে আসে তাকে আটক করে পুলিশে দেন, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমিসহ আমার দল বিএনপি আপনাদের পাশে আছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ