চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ০৮:৫৫ পিএম
কোরবানি ঈদের আগে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার শিয়ালমারী পশুহাট
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জমে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী পশুহাট। সাপ্তাহিক এ পশুহাটে দেখা গেছে ক্রেতা-বিক্রেতারদের উপচে পড়া ভিড়। কোরবানির হাট উপলক্ষে খামারি ও কৃষকেরা তাদের গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন। কোরবানির গরু ক্রয়ের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে পশুহাট।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সাপ্তাহিক শিয়ালমারী পশুহাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সাপ্তাহিক এ হাটে ক্রেতে বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় থাকলেও গরু কেনাবেচা তেমন বাড়েনি। অনেকেই হাট ঘুরে কোরবানির গরু ও ছাগল পছন্দ করে করছেন। কেউ আবার পচ্ছন্দের পশুটির দরদাম করছেন।
অধিকাংশ ক্রেতারা দেশি জাতের মাঝারি সাইজের গরু পছন্দ করছেন। ১ লাখ টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু নিয়ে খামারিদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বিশেষ করে ২ লাখ টাকার উপরে দামের গরুগুলো কম বিক্রি হচ্ছে।
গরু বিক্রি করতে আসা জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের খামারি সামাদ আলী বলেন, নিজের পোষা ৩টি গরু আজ হাটে বিক্রি করতে নিয়ে এসেছি। গরু নিয়ে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে আছি। এখন পর্যন্ত শুধু একজন ছাড়া আর কেউ গরুর দাম জানতে চাইনি। একজন ক্রেতা ৩টি গরু সাড়ে ৫ লাখ টাকা দাম বলেছে। অথচ ২ মাস আগে এই ৩টি গরুর দাম বলেছিলো ৭ লক্ষ টাকা। বর্তমান বাজারে গরুর খাদ্য খুদ, ভূষি ও বিচালির দাম অনেক বেশি। গরু ৩টি লালন-পালন করতে যত টাকা খরচ হয়েছে তাতে করে এই দামে গরু বিক্রি করলে অনেক টাকা লোকসান হবে।
রায়পুর গ্রামের আরেক গরু বিক্রেতা শাহজামাল হোসেন বলেন, একটি দেশি জাতের গরু বাড়িতে পালন করে আজ বিক্রি করতে হাটে এসেছি। আনুমানিক ৪ মন ওজনের গরুটি ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছি।
কোরবানির ছাগল কিনতে আসা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানির জন্য একটা ছাগল কিনতে এসেছি। হাটে অনেক ছাগল এসেছে। দামদরে যদি ভালো মনে হয় তাহলে কিনবো। তা না হলে আগামী সোমবার ডুগডুগি পশুহাট থেকে কিনবো।
পশুহাটে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা মূল্যের অনেক বড় গরু আমদানি হয়েছে। কিন্তু বড় গরু বিক্রি অনেক কম। তবে ১ থেকে দেড় লাখ টাকার মধ্যে গরুগুলো বেশি বিক্রি হচ্ছে। বড় গরু বিক্রেতারা বলেছেন, আর দুই-তিনটা স্থানীয় হাটে গরু বিক্রির জন্য নিয়ে যাবো। বিক্রি না হলে গরুগুলো রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন পশুহাটে বিক্রি করবো।
ভোরের আকাশ/এসআই