কুড়িগ্রামে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা
কুড়িগ্রামে নানা আনুষ্ঠানিকতা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল ৩টায় জেলা সদরের হরিকেশ ইসকন মন্দির থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের পোস্ট অফিস পাড়া ইসকন মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।
এই উপলক্ষে মন্দির প্রাঙ্গণে দিনভর মেলার আয়োজন করা হয়।
শোভাযাত্রায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৭ সহস্রাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
আগামী ৫ জুলাই উল্টো রথযাত্রার মধ্যে দিয়ে উৎসব শেষ হবে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
পিরোজপুর বিয়ের বাসের সাথে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন ও কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।ছবি-ভোরের আকাশশুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল ৫ টার দিকে সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকাঠী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হান্নান হাওলাদার পিরোজপুর সদর উপজেলার মূলগ্রাম এলাকার আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে।পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত আব্দুল হান্নান হাওলাদার পিরোজপুর সদর উপজেলার মূলগ্রাম এলাকার আব্দুল কাদের হাওলাদারের ছেলে। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায় নাই।প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার একটি বৌভাতের অনুষ্ঠান শেষ মেয়ে পক্ষের স্বজনরা দূর্গাপুর চুঙ্গাপাশায় তাদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকাটি এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের সাথে বাসটির সংঘর্ষে বাসটি রাস্তার উপর উল্টে যায় এবং ইজিবাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে।পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নিজাম উদ্দিন দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ ঘটনায় আমরা ২৪ জনকে চিকিৎসা দিয়েছি। ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৪ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, সদর উপজেলার ব্রাহ্মণকাঠি এলাকায় একটি বিয়ের গাড়ি ও ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজ করছে।এ বিষয়ে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, এ ঘটনায় আশপাশের উপজেলা গুলোর এম্বুলেন্স গুলো জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সিলেট সীমান্ত দিয়ে আবারো বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। সীমান্ত অতিক্রম করে এবার ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশের ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়েছে তারা।শুক্রবার( ২৭ জুন) ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মিনাটিলা কেন্দ্রী গ্রামে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)–এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ নাজমুল হক।তিনি জানান, ৪৮ বিজিবির দায়িত্বাধীন মিনাটিলা বিওপির টহল দল মেইন পিলার ১২৮২/৮ এস থেকে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিএসএফের ৪ ব্যাটালিয়নের পুশইনকৃত ১৭ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন পুরুষ, ৫ জন নারী ও ৭ জন শিশু। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা সকলেই কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা।বিজিবির অধিনায়ক আরও জানান, বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করছেন। আটককৃতদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, দেশের সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি সর্বদা প্রস্তুত এবং সীমান্তে যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে নিয়মিত টহল ও নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, স্বজন প্রীতির মাধ্যমে সুযোগ সন্ধানী কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। ফ্যাসিস্ট সরকারের দলের কোনো লোক যেন বিএনপির সদস্য না হতে পারেন সেদিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে।শুক্রবার (২৭ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা পরিষদের হলরুমে পৌর বিএনপির আয়োজনে নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, সদস্য নেওয়ার সময় মনে রাখতে হবে সুযোগ সন্ধানী কাউকে দলে নেওয়া যাবে না। হিন্দু মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান হোক না কেন ভালো মানুষকেই সদস্য নিতে হবে।তিনি বলেন, আমাদের খেয়াল রাখতে হবে প্রত্যেক ওয়ার্ডে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ নারী যেন থাকেন। নতুন সকল সদস্যদের ডাটাবেজ তৈরি করে প্রত্যেকে আলাদা আলাদা কার্ড সরবরাহ করা হবে। আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। কোনো অবস্থাতেই কেউ যেন অভিযোগ দিতে না পারে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের মা-বোনদের বেশি বেশি করে সম্পৃক্ত করতে হবে।তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ২৫ শতাংশ নারীকে নতুন সদস্য নিতে কর্মসূচি নিয়েছি। আগামী বছর ৩০ শতাংশ নারীকে সদস্য করা হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর লোকদের কীভাবে দলে নেওয়া যায় সেই দিকটা আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।অনুষ্ঠানে বিরামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মিঞা মো. শরিফুল আলম মামুন, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী রুবেল, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মেজর গনি সড়কের পাশে সরকারি খাসজমি ও মধুমতী হাসপাতাল। এ হাসপাতালের উত্তর পাশেই খাসজমিতে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। এগুলো দুর্গন্ধ ছড়িয়ে আশপাশের পরিবেশ দূষিত করছে। আবাসিক এলাকায় এ ধরনের দূষণ স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। লোকজন, পথচারী ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দুর্গন্ধে নাকাল হচ্ছে প্রতিদিন। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্দিষ্ট কোনো বর্জ্য ফেলার স্থান না থাকায় বাধ্য হয়ে লোকজন এখানে ময়লা ফেলছে।সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের দক্ষিণ পাশে অবস্থিত এ জায়গাটি এক সময় সিএনজি স্টেশন হিসেবে ব্যবহৃত হতো। তৎকালীন ইউএনও সোহেল রানা এটি প্রস্তুত করেছিলেন। তবে পরে স্টেশনটি পূর্বের স্থানে স্থানান্তর করা হলে জায়গাটি খালি পড়ে থাকে। এরপর থেকেই এলাকাবাসী এখানে ময়লা ফেলতে শুরু করে। বর্তমানে এটি ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে।স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবুল বলেন, ‘আমার দোকান আলতাফ আলী মার্কেটে। প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে আসা-যাওয়া করি। হাসপাতালের সামনে দিয়ে হাঁটার সময় এত দুর্গন্ধ লাগে যে বমি চলে আসে। মুখ-নাক ঢেকে কোনোরকমে পার হতে হয়।’আরেক ব্যবসায়ী কামাল বলেন, ‘মধুমতী হাসপাতালের পাশেই এ ময়লার ভাগাড় এখন জনদুর্ভোগের কেন্দ্রবিন্দু। দুর্গন্ধে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসবাস করা দিন দিন কষ্টকর হয়ে উঠছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।’বাজারের কাঁচামালের ব্যবসায়ী আবু কালাম বলেন, ‘বিক্রির পর অবশিষ্ট বর্জ্য ফেলার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই এখানে ফেলি।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘জায়গাটি দীর্ঘদিন খালি পড়ে আছে। তাই আমরা এখানে ময়লা ফেলি। বিকল্প কোনো ডাম্পিং জায়গা না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।’উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শেখ মো. হাসিবুর রেজা বলেন, ‘দুর্গন্ধের ফলে মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বাড়তে পারে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যঝুঁকি। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি খুবই ক্ষতিকর। তাই দ্রুত এ বর্জ্য অপসারণ করা প্রয়োজন।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা জাহান বলেন, ‘বাজার পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কথা বলবো যাতে সরকারি খাস জায়গায় কেউ ময়লা না ফেলে। এ জায়গায় ময়লা ফেলার কোনো এখতিয়ার কারো নেই। জনগণকে সচেতন করতে শিগগিরই সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।’ভোরের আকাশ/এসএইচ