ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৫ ০৫:৪৯ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার রাংরাপাড়া ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমির পরিচালক হলেন ইঞ্জিনিয়ার প্রলয় স্নাল।
গত ১৭ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবু সালেহ মো. মাহফুজুল আলম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ এর ধারা- ১১(২) অনুযায়ী প্রলয় স্নাল-কে অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সাথে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে ০১ (দুই) বছর মেয়াদে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি, হালুয়াঘাট, ময়মনসিংহের-এর পরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হলো। তা এই নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে।’
ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার বণিক্যপাড়া গ্রামে প্রলয় স্নালের বাড়ি। তিনি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার নলছাপ্রা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা-পিতার নাম সুবিলা স্নাল ও পরিমল দারিং।
প্রলয় স্নাল রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রিন ইউনিভার্সিটি’ থেকে ‘বিএসসি ইন ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক ইর্ঞ্জিনিয়ারিং’-এ স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এলাকাসমূহের বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত আছেন।
প্রলয় স্নাল ভোরের আকাশকে বলেন, বৃহত্তর ময়মনসিংহে হাজং, গারো, কোচ, বানায়, হদি, ডালু ও বর্মণ নৃগোষ্ঠীর বসবাস। তাদের নিজস্ব বর্ণিল সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য আছে। পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীর ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা এবং বিকাশে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। এটা আমার শেকড়। আমি এখানে বেড়ে উঠেছি। এখানকার মানুষের জীবনবোধ, জীবনাচার ও জীবন সংগ্রাম আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাই সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ