কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২৫ ১২:৩৯ পিএম
ফাইল ছবি
নিখোঁজের একদিন পর কক্সবাজারের নাজিরারটেক সমুদ্রসৈকতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসিফ আহমদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় জেলেরা সৈকতে মরদেহটি ভাসতে দেখেন। পরে ফায়ার সার্ভিস, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বিচকর্মী ও সী সেফ লাইফ গার্ড সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে। এটি নিখোঁজ শিক্ষার্থী আসিফ আহমদের বলে শনাক্ত করা হয়। মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মরদেহটি প্রথমে নিখোঁজ হওয়া স্থান পেচারদ্বীপ সৈকত থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরের নাজিরারটেক এলাকায় পাওয়া যায়।
এ নিয়ে সমুদ্রে গোসলে নেমে নিখোঁজ হওয়া তিন শিক্ষার্থীর মধ্যে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার হলো। এর আগে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকালে পেচারদ্বীপ সৈকতে ভেসে উঠলে কে এম সাদমান রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেন জেলেরা। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন চবির আরেক শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান। তাকে উদ্ধারে টানা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থাগুলো।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. তানহারুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানকে উদ্ধারে জেট স্কি ব্যবহার করে সমুদ্রে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টেও টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে পেচারদ্বীপ এলাকায় সাগরে গোসল করতে নামেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী অরিত্র হাসান (২২), আসিফ আহমেদ (২২) ও কে এম সাদমান রহমান।
নিহত সাদমান ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা কে এম আনিছুর রহমানের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সি সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ৫ বন্ধু মিলে কক্সবাজার ঘুরতে আসে। তারা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩-২৪ সেশনের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের বিভাগের শিক্ষার্থী। তারা সকালে হিমছড়ি সৈকতে যায়। তাদের মধ্যে দুজন বাঁধের উপরে বসে ছিল আর বাকি ৩ জন বাঁধের নিচে নেমে গোসল নামে। এ সময় ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে ভেসে যায়। যার মধ্য সাদমান রহমান সাবাবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, নিখোঁজ আরেক শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানকে উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা