নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ০৮:২১ পিএম
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশে গাছ কাটা’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ
রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি), পরিবেশবিষয়ক সংগঠন গ্রীন ভয়েস-এর সহযোগিতায়, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে "বাংলাদেশে গাছ কাটা (২০২৪-২০২৫)" শীর্ষক সর্বশেষ প্রতিবেদন বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন’ বাপার সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জহির ইকবাল, উপ বন সংরক্ষক, বাংলাদেশ বন অধিদপ্তর; আলমগীর কবির, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা); আমিনুর রসুল, যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা); আহসান রনি, প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, গ্রীন সেভার্স; হুমায়ুন কবির সুমন, গ্রীন ভয়েস; গোলাম ইফতেখার মাহমুদ, প্রধান সম্পাদক, ঢাকা স্ট্রিম; আল ফাতাহ মামুন, সাংবাদিক, বণিক বার্তা; পরিবেশ আন্দোলনকর্মী, বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং পরিবেশ সংরক্ষণে নিবেদিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদাররা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম-সম্পাদক এবং রিভার এন্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের ফেলো মো. আমিনুর রসুল।
অনুষ্ঠানে গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন তার সূচনা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তিনি গাছের পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক উপকারীতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিল ২০২৪ থেকে এপ্রিল ২০২৫ সময়কালে বাংলাদেশ জুড়ে ১,৮১,৮১৮টি গাছ কাটা হয়েছে- যা গতবারের প্রতিবেদন অনুযায়ী কাটা ১১,৪৬,৪৬৫টি গাছের তুলনায় প্রায় ৮৪.১% কম।
ঢাকায় কাটা গাছের সংখ্যা ছিল ৪,২৯৬টি, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অধীনে কাটা ধানমন্ডিতে ২ হাজার গাছ, এবং ধানমন্ডি লেকে অতিরিক্ত ৩০টি গাছ।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীনে পান্থকুঞ্জ পার্কে ২ হাজার গাছ।
প্রতিবেদনটিতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দখলকৃত বনভূমি পুনরুদ্ধার কার্যক্রমের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে: সুফল প্রকল্পের মাধ্যমে পুনরুদ্ধার: ২,৫৬,৮৯০ একর, সোনাদিয়া দ্বীপে হস্তান্তরিত: ৯,৪৬৭ একর, কক্সবাজারে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াধীন: ১২,০০০ একর।
স্থানীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধার: উখিয়ায় ১৫ একর, মৌলভীবাজারে: ৩০ একর, গাজীপুরে ৪-৬ একর জমি, চুনতি (লোহাগাড়া) ১.৫ একর। মোট পুনরুদ্ধারকৃত বনভূমি আনুমানিক ২,৮০,৪৩৮ একর।
অনুষ্ঠানে ঢাকা স্ট্রিমের প্রধান সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদের বক্তব্যে উঠে আসে নীতিমালা কঠোর করার পরামর্শ। তিনি আরও বলেন, গাছকে পার্সোনাল এসেট না ভেবে, প্লানেট এসেট হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। তাহলে গাছ রক্ষা সম্ভব হবে।
গ্রীন সেভার্সের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আহসান রনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সঠিকভাবে গাছ রোপন করার এবং তাদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের সময় বাড়ানোর পরামর্শ জানান।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক, আলমগীর কবির বলেছেন, গাছ শুধু অক্সিজেন দেয় না, গাছ কার্বন-ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন বস্তুকণা শোষণ করে। গাছ কাটার আইন প্রয়োগ জোরালো করা প্রয়োজন।
ভোরের আকাশ/আজাসা