পাট উৎপাদন বৃদ্ধিতে চাষীদের প্রশিক্ষণ
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাট বীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৭৫জন পাট চাষীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০মে) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস পাল এর সভাপতিত্বে এ সময় প্রশিক্ষণ প্রদান করেন , ড.মনিরুজ্জামান অতিরিক্ত উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি বাগেরহাট, মো. সিফাত আল মারুফ উপজেলা কৃষি অফিসার চিতলমারী, বাসুদেব হালদার পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা খুলনা- বাগেরহাট অঞ্চল, শাপলা খাতুন মুখ্য পরিদর্শক পাট পরিদর্শক খুলনা- মোংলা, মুজিবর রহমান পরিদর্শক পাট খুলনা অঞ্চল, সাথী হালদার উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা চিতলমারীপ্রমুখ।
বাস্তবায়নে ছিলেন উপজেলা প্রশাসন চিতলমারী এবং পাট অধিদপ্তর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর চিতলমারী। প্রশিক্ষণের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাপস পাল প্রশিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে অর্থ ও উপকরণ তুলে দেন।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
"জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, একমাত্র নবায়নযোগ্য জ্বালানিই রুখতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন" প্রতিপাদ্যে বরগুনার পাথরঘাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল দশটায় পাথরঘাটা কলেজ মিলনায়তনে 'ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)' ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের আয়োজনে পাথরঘাটা কলেজের একাদশ শ্রেণি অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা পক্ষ ও বিপক্ষ দলে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করেন।বিষয়ের বিপক্ষ দল বিজয়ী হয় এবং দলের নেতা আফরিন জাহান তন্নী শ্রেষ্ঠ বক্তার সম্মাননা অর্জন করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাথরঘাটা কলেজের উপাধ্যক্ষ চন্দ্র শেখর স্বর্ণকার, প্রধান অতিথি ছিলেন পাথরঘাটা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মহসিন কবীর, প্রভাষক আহসান হাবীব লাকি, আল মামুন, মো. সাব্বির, জামাল হোসেন, সমাজসেবক মেহেদী শিকদার প্রমুখ। প্রধান অতিথি মহসিন কবীর বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার। পাথরঘাটা কলেজে এই প্রথম কোন প্রতিযোগিতা হলো তাও আবার জীবাশ্ম জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে। যা এখন পর্যন্ত মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। ধরার এ আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ রকমের প্রতিযোগিতা বেশি বেশি করা দরকার, নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া দরকার। এ সময় ধরার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) পাথরঘাটার সমন্বয়ক উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন। বিচারক প্যানেল ছিলেন, চন্দ্র শেখর স্বর্ণকার, এরফান আহমেদ সোয়েন, আমিন সোহেল।বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব এবং পরিবেশ সচেতনতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী উভয় দলের শিক্ষার্থীদের হাতে মূল্যবান বই উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক আল মামুন।ভোরের আকাশ/জাআ
শিশুদের সর্বোত্তম সুরক্ষায় জামালপুরে দুইদিনব্যপী শিশু কল্যাণ বিষয়ক পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা সভা শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার (২০ মে) শহরের চালাপাড়ায় সুইড ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকী।উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি বলেন, শিশুকে ভালো রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলকেই নিতে হবে। তাকে শিক্ষার পাশাপাশি বিনোদন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলার মাঠেও সময় ব্যয় করার সুযোগ দিতে হবে।তিনি বলেন, শিশুর প্রতি নেতিবাচক আচরণ ও নির্যাতন তার স্বাভাবিক বিকাশ ও উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শিশুর ভালোলাগা, কষ্ট পাওয়ার বিষয়গুলো আমাদের কাছে যেনো মন খুলে বলতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।পরিকল্পনা সভায় বাল্যবিয়ে, মাদক, অপুষ্টি, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া, নির্যাতনসহ শিশুর বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করে এমন নেতিবাচক দিকগুলো প্রতিরোধে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করার কথা বলেন।উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের ম্যানেজার মিনারা পারভীনরে সঞ্চালনায়।সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার সেবাস্টিয়ান পিউরিফিকেশন, জামালপুর এপির এরিয়া ম্যানেজার বিমল জেমস কস্তা প্রমুখ। পরিকল্পনা পর্যালোচনা সভায় সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুক্তগাছা এপি ম্যানেজার রোলেন্ড গোমেজ ও জামালপুর এসিও এর ফিল্ড টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট দীপা রোজারিও। এতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।সভায় বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম, নারী, শিশু নির্যাতন, ঝরে পড়া শিশু, অপুষ্ট শিশু, স্যানিটেশন, ওয়াস, স্বাস্থ্য, শিক্ষার অভাব, অনিরাপদ খাদ্যসহ শিশু সুরক্ষায় বাধাগ্রস্থ করে এমন সব নেতিবাচক বিষয়গুলো উত্তরণে কারণ বিশ্লেষণসহ অগ্রাধীকার বিষয়গুলো নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নে অংশগ্রহণমূখী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
সাংবাদিকদের কঠোর আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করবেন না বলে হুশিয়ারি করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে বরগুনা প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে দেশব্যাপী কলম বিরতি কর্মসূচি পালনকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রের পক্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মামলা-নির্যাতন-হয়রানিতে সাংবাদিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দেশে মব জাস্টিসের মাধ্যমে সর্বকালের সাংবাদিক নির্যাতনের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে।বক্তারা বলেন, নির্যাতন, হামলা, মামলার নামে সাংবাদিকদের হয়রানি করছে। এ সকল অপতৎপরতা রুখে দিতে সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলা হয়, আপনারা সাংবাদিক নির্যাতনকারী দল হিসেবে নিজেদের দলকে কলঙ্কিত করবেন না। সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন, বিপদে তাদের পাশে থাকুন।কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে রাষ্ট্র কর্তৃক সাংবাদিক সুরক্ষা আইন, সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন এবং সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নসহ ১৪ দফা দাবি মেনে নিতে আহ্বান করা হয়েছে।সংগঠনের বরগুনা জেলা শাখার আয়োজনে কলম বিরতি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বরগুনা জেলা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা, জেলা প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বরগুনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান তাপস, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বরগুনা জেলা কমিটির নেতা শফিকুল ইসলাম স্বপন, ইত্তিজা হাসান মনির, কাশেম হাওলাদার, জয়নাল আবেদীন রাজু, রাসেল সিকদার, সোহাগ হাওলাদার, আব্দুল আলিম, মেজবাহ উদ্দিন মাসুম প্রমূখ।এর আগে, গত ৭ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণমাধ্যম সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০ মে সারাদেশে কলম বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুর ১১-১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ডাকে সারাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কলম বিরতি পালন করা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে অসুস্থ গাভী সিজার করে বাছুর বের করার পর গাভীটি জবাই করে মাংস বিক্রির চেষ্টায় জড়িত ৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও নগদ অর্থদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।মঙ্গরবার (২০ মে) বিকালে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক।ভ্রাম্যমান আদালতে উলিপুর পৌরসভার পল্লী প্রাণি চিকিৎসক মো. আজিমনুর রহমান ও মো. জসিম উদ্দিন, সদরের একতাপাড়ার কসাই শাহ আলম ওরফে নাদু, উলিপুরের তবকপুর এলাকার গরুর মালিক শ্রী সৌরভ কুমার পাল ও সদর উপজেলার মাংসের বাহক মটর সাইকেল চালক নুর ইসলাম।ভ্রাম্যমান আদালত জানায়, গতকাল সোমবার বিকালে উলিপুরের তবকপুর এলাকার সৌরভ কুমার পালের একটি গাভী প্রসব বেদনায় অসুস্থ হয়। এ সময় গরুর মালিক পল্লী চিকিৎসকে খবর দিলে দুই চিকিৎসক এসে গাভিটিকে সিজার করে বাছুর বের করে।পরে গাভিটি আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে মঙ্গরবার সকালে গরুর মালিক পল্লী চিকিৎসকের সহায়তায় কসাই ডেকে জবাই করে মাংস বিক্রি করে। কসাই বস্তায় মাংস ভরে মোটর সাইকেলে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে তুলে দেয়।জেলা প্রশাসনের এক্রিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, অপরাধ অনুযায়ী পল্লী প্রাণি চিকিৎসক আজিমনুর রহমানের ৩ মাসের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, আরেক পল্লী পশু চিকিৎসক জসিম উদ্দিনের ২ মাসের কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, কসাই শাহ আলমের ১ মাসের কারাদন্ড ও ১০০ টাকা জরিমানা, গরুর মালিক সৌরভ কুমার পালের ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও মাংসের বাহক নুর ইসলামকে মুচলেকা প্রদানের শর্ত দেয়া হয়েছে। ভোরের আকাশ/জাআ