সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকিরের পিএস রাশেদ গ্রেফতার
ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেনের রাজনৈতিক পিএস ও তার চাচাত ভাই রাশেদুল ইসলাম রাশেদ (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত রাশেদ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার মন্ডলপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পিটিআই এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে রাশেদকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশের একটি টিম।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ওসি ডিবি মোঃ বজলার রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকিরের রাজনৈতিক পিএস রাশেদকে গ্রেফতার করেছে ডিবি কুড়িগ্রামের একটি চৌকস টিম। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়কালে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাকিরের সাথে থেকে বিভিন্ন দূর্নীতি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ আছে গ্রেফতারকৃত রাশেদের বিরুদ্ধে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে উন্নতমানের হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে, ১৫ জনের মাঝে এই হুইল চেয়ার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নুরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, অটিষ্টিক শিশুদের প্রতি অনুগ্রহ কিংবা করুনা নয়, তাদের জন্য প্রয়োজন আন্তরিকতা ও সঠিক পরিচর্যা। কারণ তাদের মাঝেও লুকিয়ে আছে সম্ভাবনা। প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়, সম্পদ। সহযোগীতা পেলে তারাও দেশের সম্পদ হয়ে উঠতে পারে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবন্ধীরা বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। অনেকে আবার উদ্যোক্তাও হচ্ছেন। আজ দেশের প্রতিটি এলাকার প্রতিবন্ধীরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। প্রতিমাসে তারা পাচ্ছেন ভাতা। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আজহারুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা কাঞ্চন কুমার দাস ও উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবদুল অহাবসহ অন্যরা। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) এর আওতায় এই হুইল চেয়ারগুলো বিতরণ করা হয়।ভোরের আকাশ/আজাসা
নগরীর টাউন হল চত্বরে,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার জুলাই সনদ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সভাপতি গাজী মুহাম্মাদ রেদোয়ান বলেন, জুলাই সনদ ঘোষণার দাবি মেনে নেওয়া জরুরী। আমরা চাই সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন”।যারা জুলাই সনদ প্রদানের কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছেন,তারা জুলাই যোদ্ধাদের সাথে বেইমানী করছেন । জুলাই আমাদের প্রেরনা।আমরা জুলাই সনদ প্রদানের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সোচ্চার থাকবো মাঠে ময়দানে, ইনশাআল্লাহ ।আমরা জুলাই মাসের মধ্যেই জুলাই সনদ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সভাপতি গাজী মুহাম্মাদ রেদোয়ানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম সুজন এর সঞ্চালনায় জুলাই সনদ ঘোষনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুর রহমান,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বিএম কলেজ সভাপতি জিয়াউর রহমান নাঈম।আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম,সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ গাজী ত্বলহা হাসান, প্রশিক্ষন সম্পাদক মুহাম্মাদ রিফাত লস্কর, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ মুমিনুল ইসলাম ইমন, প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মাদ ইমরান মীর,কওমী মাদ্রাসা সম্পাদক মুহাম্মাদ আবুল বশার,স্কুল ও কলেজ সম্পাদক মুহাম্মাদ ওহিদুল ইসলাম শাওন,সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুহাম্মাদ নাঈমুল ইসলাম, কার্যনিবাহী সদস্য মুহাম্মাদ জিহাদুল ইসলাম।ভোরের আকাশ/আজাসা
পিরোজপুরে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রক্তদান ও ব্লাড গ্রুপিং কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে পিরোজপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) পিরোজপুর জেলা শাখার আয়োজনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে দলীয় নেতাকর্মীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। একইসাথে ব্লাড গ্রুপিং ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ গ্রহণ করেন উপস্থিত মানুষজন।কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. ইমরান খান নাঈম, অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) পিরোজপুর জেলা শাখারা আহবায়ক ডা.শিকদার মাহমুদ, পিরোজপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন তালুকদার কুমার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রিয়াজ মাতুব্বর সহ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।এ সময় বক্তারা বলেন, বিএনপি শুধু রাজনৈতিক দল নয়, এই দল জনগণের সংকটে পাশে থাকে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ড্যাব-এর এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। শহীদ জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্রের বীজ বপন করেছিলেন, তা পুনরুদ্ধারে বিএনপির এই কর্মসূচি জনগণের হৃদয়ে আশার আলো জ্বালাবে।এ ধরনের জনকল্যাণমুখী কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান আয়োজকরা।ভোরের আকাশ/আজাসা
"শ্রীপুরে প্রতারণার ফাঁদ হাউজিং কম্পানির" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর ওই অবৈধ কোম্পানিতে পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।এসময় কার্যালয়ে কাউকে না পেয়ে খুলে ফেলা হয় সাইনবোর্ড। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রশাসনের গঠিত ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান চালায়।অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট আতাহার শাকিল।খুলে ফেলা হয় অবৈধ জেদ্দা হাউজিং কোম্পানির সাইনবোর্ড। উপর্যুক্ত কাগজপত্র ছাড়া কম্পানীর কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জানা যায় গত ২৪ জুন দৈনিক ভোরের আকাশ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। হাউজিং কোম্পানির লোকজনকে নোটিশ করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়। উপযুক্ত কাগজপত্র ও প্রমানাদি দেখাতে ব্যার্থ হয় তারা।তারপরও চালিয়ে যায় অবৈধ কার্যক্রম। যার পরিপ্রেক্ষিতে চালানো হয় অভিযান।খুলে ফেলা হয় সাইনবোর্ড। জানা যায়, আবাসন প্রকল্প গ্রহণে হাউজিং কোম্পানিকে সাতটি শর্ত পূরণ করতে হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির নামে ১০ একর জমি, স্থানীয় সরকার /ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের তিন ধাপের ছাড়পত্র, জেলা প্রশাসনের দায়মুক্তি সনদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন। কিন্তু জেদ্দা হাউজিং লিমিটেডের নামে ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া এই শর্তের একটিও পূরণ করেননি।কিন্তু বিভিন্ন আকারের প্লট করে বিক্রি করা সহ প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে দেদারসে।আইন ও বিধিবিধান না মেনে ৯০০ বিঘা জমির লে-আউটে তৈরির মাধ্যমে ৩ কাঠা, ৫ কাঠা ও ১০ কাঠা আয়তনের প্লট দেখিয়ে বুকিং বাণিজ্য করছে প্রতিষ্ঠানটি। একই প্রকল্পে ডুপ্লেক্স, ট্রিপ্লেক্স, ভিলা এবং কন্ডোমিনিয়ামের বুকিংও নেয়া হয়। যেখানে আবাসন প্রকল্প করতে গেলে যে শর্ত মানতে হয়- তার কোনটিই নাই এ হাউজিং কোম্পানির।যেখানে কোম্পানীর নামে ১০ একর জমি থাকতে হবে, সেখানে এই কোম্পানীর ১০ শতাংশ জমিও নিজেদের নামে সাফ কাবলা কেনা নেই। অথচ লে-আউটে কৃষিজমির উপর সাইনবোর্ড টাঙিয়ে ৫০/৬০ ফুট জায়গা বালু ভরাট করে গ্রাহকের কাছ থেকে বুকিংমানি নিয়ে প্লট বিক্রি করে যাচ্ছে দেদারসে ।জেদ্দা হাউজিংয়ের চটকদার বিজ্ঞাপনে বলতে শুনা যায় ৩ কাঠার প্লট মাত্র ২০ হাজার টাকায় জমির মালিক হোন, প্রতি কাঠার দাম ৬ লাখ, বুকিং করলেই ১৫% ছাড়, ৫০% ডাউন পেমেন্টে সাফ কাবলা রেজিস্ট্রেশন, ৬০ কিস্তিতে মুল্য পরিশোধ,। জেদ্দা হাউজিং লিমিটেড এর এমন আরো অনেক চটকদার বিজ্ঞাপনেই ভাসঁছে নেট-দুনিয়া। ফেসবুক, ইউটিউব, সহ রাস্তার মোড়ে মোড়ে টাঙ্গানো হয়েছে কোম্পানির বড় বড় বিলবোর্ড বিজ্ঞাপন। এরই প্রেক্ষিতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।ভোরের আকাশ/আজাসা