চুলার ধোঁয়া নিয়ে তর্কে ভাইয়ের হাতে ভাই খুন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাটির চুলায় রান্না করার সময় ধোঁয়া নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে বড় ভাই ও ভাতিজার মারধরে মনির হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৫ জুন) রাতে শহরের সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত মনির সদর উপজেলার উড়শিউড়া এলাকার মোল্লাবাড়ির মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। তার ৭ ও দেড় বছর বয়সী দুই ছেলে রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, 'বসতঘরের সামনে মাটির চুলা এনে রান্না শুরু করেন বাবুল ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বকাঝকা করছিলেন, আমার স্বামী পাল্টা কথা বলেন। এতে ভাতিজা শাওন দা নিয়ে আমার স্বামীকে মারতে এগিয়ে আসে। স্বামীর বড় ভাই বাবুল ছেলেরে বলে, বেশি করে মারতে। তখন বাকিরা লাঠি, কাঠ ও ইট দিয়ে মারধর করে।'
জানা যায়, এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হলে বিকেলে পার্শ্ববর্তী সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম. এম রকিবুর রেজা জানান, প্রাথমিক তথ্যমতে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
নাটোরের লালপুরে পদ্মার চরে চাষ করা পুষ্টিকর চিনাবাদাম যেন এখন কৃষকদের ‘গোপন রত্ন’। বাদাম ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বুনছেন পদ্মার চরাঞ্চলের কৃষকরা, পদ্মার বালুচরে দিগন্তজোড়া সারিবদ্ধ সবুজ বাদাম ক্ষেত দেখে যেন নয়ন জুড়িয়ে যায়। এবছর ফলন ভালো হওয়ার কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠছে আশার প্রদীপ।কৃষি বিশভাগের তথ্যমতে এবছর লালপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে ৪৬০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদামের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য জাত বিনা চিনাবাদাম ৬, বিনা চিনা বাদাম ৮, এবং বারি চিনাবাদাম ৮ আবাদ বেশি হয়েছে। চিনাবাদামের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রবি ২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় কৃষি বিভাগ হতে ২০০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রীতম কুমার হোড় বলেন, এবছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে যা হেক্টর প্রতি প্রায় ১.৯ মেট্রিক টন। এবছর ভালো ফলন হওয়ায় আগামী মৌসুমে চিনাবাদামের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করছি।সরেজমিনে উপজেলার বিলমাড়ীয়া, লালপুর ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পদ্মার চর ঘুরে দেখা যায় তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাদম তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। বিশাল অঞ্চল জুড়ে সারি সারি চিনাবাদাম ক্ষেত দেখে মন জুড়িয়ে যায়।কথা হয় বিলমাড়িয়া মোহরকয়া গ্রামের বাদাম চাষী আফজাল হোসেনের সাথে, তিনি বলেন বাদাম চাষে বাড়তি কোন কীটনাষক বা যত্নের প্রয়োজন হয়না, আমি এবার ৩বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি ফলনও ভালো হয়েছে আাশা করি এবার বাজার দর ভালো পাবো।একই এলাকার বাদাম চাষি মতিউর রহমান বলেন, আমাদের পদ্মার চরের বেলে মাটিতে রবি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামের ফলন ভালো হয়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। তাছাড়া বাদাম এমন একটি ফসল যার চাহিদা থাকে প্রায় সারা বছরই। ভোরের আকাশ/আজাসা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের রক্তদানকারী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন উই ফর ইউর ১৬তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষ্যে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) সকালে উপজেলার পরিষদ মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য আয়োজনে স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইব্রাহীম মো. সায়েমের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহসভাপতি মো.জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন, বসুরহাট পৌরসভা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোশাররফ হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান রাজন, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ফয়সাল মাহমুদ, উই ফর ইউর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ হোসেন ও উই ফর ইউর বার্ষিক স্মরণিকার সম্পাদক নোমান শিবলু ।অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রক্তদানে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা অন্য কিছুতে নেই। দল যার যার উই ফর ইউ সবার। ফেনী-নোয়াখালীর ভয়াবহ বন্যাকালীন সময় পানি বন্দী পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করেছে সংগঠনটি। রক্তদানে মানুষ বাঁচানোর এই আনন্দ হাজার বছর ছুঁয়ে যাবে এমনটাই প্রত্যাশা করেন সবাই। উল্লেখ্য, স্বেচ্ছাসেবী রক্তদানকারী সামাজিক সংগঠন উই ফর ইউ ২০১০ সালের ৫ মে প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর থেকে ১৯ হাজার ব্যাগ রক্তাদানের মধ্যদিয়ে ১৬তম বর্ষে পদার্পণ করে। রক্তদান ছাড়াও সমাজের অসহায় হতদরিদ্রের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি। মানুষের পাশে দাঁড়ানো এ সংগঠনটি একাধিকবার সম্মাননা পেয়েছে। নোয়াখালী ছাড়াও ঢাকা,চট্রগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংগঠনটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। ভোরের আকাশ/জাআ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেললাইনে বসে মাদক সেবনের অপরাধে ৬ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (১৫জুন) উপজেলার খড়মপুর এলাকায় এ অভিযান পরিচালনাকরেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটমো. ফয়সল উদ্দিন। ঢাকা-সিলেট রেললাইনের পাশ ঘেঁষে গাঁজাসেবনের সময় তাদের আটককরে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে প্রত্যেককে ৭ দিনের বিনাশ্রমকারাদণ্ড ও ১০০ টাকাকরে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরাহলেন- মো: হোসেন আলীওরফে শেখ সাদী (৬৫), মো. ভুট্টু মিয়া (২৫), পিন্টু মিয়া (২৮), মো: রুবেল মিয়া (২৫) মো. জিয়াউর রহমান (৪০)ও মো: নাছিরউদ্দিন (৪০)। উপজেলাসহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: ফয়সল উদ্দিনবলেন, "খড়মপুর মাজারের পশ্চিম পাশে রেললাইনের ওপরমাদক সেবনের সময় ৬ জনকেহাতেনাতে আটক করা হয়।পরে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দণ্ডাদেশ দেওয়াহয়।" তিনিআরও জানান, মাদকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযান পরিচালনার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলামাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো: নজরুল ইসলামউপস্থিত ছিলেন।ভোরেরআকাশ/আজাসা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাটির চুলায় রান্না করার সময় ধোঁয়া নিয়ে তর্কাতর্কির জেরে বড় ভাই ও ভাতিজার মারধরে মনির হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।রোববার (১৫ জুন) রাতে শহরের সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।নিহত মনির সদর উপজেলার উড়শিউড়া এলাকার মোল্লাবাড়ির মৃত খুরশিদ মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। তার ৭ ও দেড় বছর বয়সী দুই ছেলে রয়েছে।নিহতের স্ত্রী জুলেখা বেগম অভিযোগ করে বলেন, 'বসতঘরের সামনে মাটির চুলা এনে রান্না শুরু করেন বাবুল ভাইয়ের স্ত্রী। তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বকাঝকা করছিলেন, আমার স্বামী পাল্টা কথা বলেন। এতে ভাতিজা শাওন দা নিয়ে আমার স্বামীকে মারতে এগিয়ে আসে। স্বামীর বড় ভাই বাবুল ছেলেরে বলে, বেশি করে মারতে। তখন বাকিরা লাঠি, কাঠ ও ইট দিয়ে মারধর করে।'জানা যায়, এতে সে গুরুতর আহত হয়। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হলে বিকেলে পার্শ্ববর্তী সেন্ট্রাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তিনি মারা যান।তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম. এম রকিবুর রেজা জানান, প্রাথমিক তথ্যমতে পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে।নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/জাআ