ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫ ১১:০৯ এএম
ভান্ডারিয়ায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা করেছে এক চা বিক্রেতা। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত মো. ওবায়দুল হক বাদল খান (৪৫) পলাতক রয়েছেন। তবে কী কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারেনি নিহতের স্বজন কিংবা স্থানীয়রা। সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার ধাওয়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ভান্ডারিয়া উপজেলার ধাওয়া গ্রামের নূর মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ফরিদা বেগম (৬৫) এবং তার মেয়ে চম্পা বেগম (৩২)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খান এর আগে তিনবার বিয়ে করেছিলেন। সর্বশেষ গত ১৬ এপ্রিল প্রতিবেশী চাচাতো বোন চম্পাকে বিয়ে করেন তিনি। এরপর থেকেই সে স্ত্রী চম্পা, শাশুড়ি ফরিদা বেগম এবং প্রথম স্ত্রীর ছেলে ইয়াসিনকে (১০) নিয়ে একটি ফাঁকা বাড়িতে বাসবাস করতেন।
সোমবার রাত ১১টার দিকে ইয়াছিন ঘর থেকে পালিয়ে এক প্রতিবেশীকে জানায় যে, তার বাবা সৎ মা চম্পা এবং সৎনানী অর্থাৎ চম্পার মাকে হত্যা করেছেন। এ খবর জানিয়ে ছেলে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে চম্পার মামাতো বোন ও প্রতিবেশী নাছিমা বেগমের ঘরের মধ্যে গিয়ে দুজনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তাদের শরীরে আগুন জ্বলছিল। তখন তিনি টয়লেটের পানি দিয়ে অগুন নিয়ন্ত্রণ করে এবং এলাকাবাসী ও পুলিশকে খবর দেন। কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে কেউই কিছু বলতে পারেনি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে অবুঝ শিশু পুত্র ইয়াসিনকে পাওয়া যাচ্ছে না। সন্তানকে পাওয়া গেলে হয়তো হত্যার কোনো রহস্য পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ, ডিবি পুলিশ এবং সিআইডি পুলিশের একধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। ধাওয়া বাজারে অভিযুক্ত ওবায়দুল হক বাদল খানের একটি চায়ের দোকান আছে। ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমদ আনওয়ার জানান, পারিবারিক কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ধারণা করা যাচ্ছে। ওবায়দুলের ২০ দিন আগে ৪র্থ বিবাহ করেন এখানে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা