স্কাউটসের ট্রাফিক সাইনবোর্ড বিতরণ
ঠাকুরগাঁওয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে কাজ করছে জেলা স্কাউটসের সদস্যরা। এছাড়া সড়কে যান চলাচলে ট্রাফিক কন্ট্রোল মানতে ট্রাফিক বিভাগের হাতে যান চলাচলের বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক ট্রাফিক সাইনবোর্ড (চিহ্ন) ব্যবহার করে কিছু স্ট্যান্ড দিয়েছে স্কাউটস। সোমবার দুপুরে শহরের চৌরাস্তা মোড়ে জেলা স্কাউটসের পক্ষ থেকে জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামের হাতে এসব উপকরণ তুলে দেন জেলা স্কাউটস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা স্কাউটসের কমিশনার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন নাহার, জেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠুসহ স্কাউটসের সদস্যরা। পরে পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে জেলা স্কাউটসের সদস্যরা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করেন।
জেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রেসক্লাবের সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু বলেন, গত কিছুদিন ধরেই আমাদের এই জেলায় অতিরিক্ত যানজট বেড়ে গেছে। আমরা আমাদের স্কাউটসের পক্ষ থেকে জেলা ট্রাফিক বিভাগকে কিছু উপকরণ দিয়েছি। কোথায় গাড়ি দাঁড়াবে, কোথায় দাঁড়াবে না, কোন দিক দিয়ে যাবে — সব বিষয় উল্লেখ করে কিছু স্ট্যান্ড বানিয়ে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমাদের স্কাউটসের একটি টিম করা হয়েছে, যারা ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা আশা করি, আমাদের জেলার মানুষ নিয়মের মধ্যে চলবে।
জেলা পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, সামনে ঈদ, এই সময়ে ট্রাফিক জ্যাম বেড়ে যায়। ঠিক এ সময় স্কাউটস আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। ট্রাফিক সাইন বোর্ডগুলো সকলে মানবে এই আশা করছি।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ছদাহা ইউনিয়নের জিলানীনগর এলাকায় গরু লুটে ব্যর্থ হয়ে মো. এহেসান (৩২) নামে এক প্রহরীকে ছুরিকাঘাত করেছে মুখোশধারী একদল ডাকাত। এ ঘটনায় স্থানীয় খামারিদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাত ২টার দিকে ছদাহা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সন্দিপ্যা পাড়ার জিলানীনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।আহত প্রহরী মো. এহেসান একই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বনামুড়া এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গভীর রাতে প্রায় ৬-৭ জনের একটি মুখোশধারী ডাকাত দল খামারে গরু লুটের উদ্দেশ্যে প্রবেশ করে। প্রহরী এহেসান ডাকাতদের উপস্থিতি টের পেয়ে খামারের মালিককে ফোন করলে, ডাকাতরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গলা ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় এহেসানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ছদাহা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্য হামিদা বেগম বলেন, “খবর পেয়ে আমি এলাকাবাসী নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।”খামারের মালিক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “প্রহরী এহেসান সাহসিকতার সঙ্গে ডাকাতদের মুখোমুখি হয়েছিল। তার সতর্কতায় বড় ক্ষতি থেকে বেঁচে গেছি। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।”সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মাহমুদ বলেন, “ঘটনার বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।”ভোরের আকাশ/তা.কা
পিরোজপুরের নেছারাবাদে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে ঘরের পাশে বাঁশবাগানে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে মো: রনি (২৬) নামে এক যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তার বাবা মো. হারুন-অর-রশিদ (৫০)।মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাতে উপজেলার সোহাগদল ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রনি ওই গ্রামের মো. হারুন-অর-রশিদের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রেন্ট-এ-কার চালক ছিলেন। এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।নিহতের চাচাতো ভাই মো. রাজু জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে রনি দেখতে পান ঘরের পাশে বাঁশঝাড়ে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে। তারা দ্রুত নেছারাবাদ বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলেও কেউ রিসিভ করেনি। আশপাশের আরও কয়েকজনও ফোন দিলেও কোনো সাড়া মেলেনি। কিছুক্ষণ পর এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গেলে রনি ও তার বাবা একত্র হয়ে আগুন ধরা বাঁশটি কাটতে যান।এসময় হঠাৎ বিদ্যুৎ ফিরে এলে দু’জনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। বাবা হারুন ছিটকে পড়ে প্রাণে বাঁচলেও ছেলে রনি বাঁশ ধরে বিদ্যুতায়িত অবস্থায় মারা যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক লিমা আক্তার বলেন, “তাকে হাসপাতালে আনার পূর্বেই মৃত্যু হয়েছিল।”এ বিষয়ে নেছারাবাদ উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম চন্দ্রশেখর গাইন বলেন, “আমাদের সঙ্গে কথা না বলেই বাঁশ কাটতে যাওয়া ঠিক হয়নি। আমরা হয়তো অন্য কারো অনুরোধে শাটডাউন দিয়েছিলাম, পরে কাজ শেষে লাইন চালু করেছি। ওই গ্রামের কারও সঙ্গে সরাসরি আমাদের কথা হয়নি।”নেছারাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.বনি আমিন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/তা.কা
"একদিন তুমি পৃথিবী গড়েছো,আজ আমি স্বপ্ন গড়বো, তোমায় রাখবো আগলে" এই প্রতিবাদ্য বিষয় কে সামনে রেখে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় -১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০২৫ উপলক্ষ্যে র্যালি, আলোচনা সভা ও শ্রেষ্ঠ প্রবীণ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চরবানিয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে র্যালি হয়। র্যালি শেষে ইউ'পি সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা সমন্বয়কারী সমৃদ্ধি কর্মসুচির প্রকল্প কোডেক এর আজগর হায়দারের সভাপতিত্বে এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসে অফিসার শেখ রাসেল মাহমুদ ফিল্ড সুপারভাইজার।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউপি সচিব রতন কুমার বালা। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান শ্রীমতি অর্চনা রানী বড়াল (ঝর্না)। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ইউ'পি সদস্য গোরাচাঁদ ঘোষ, ইউপি সদস্য শচীন্দ্রনাথ সিকদার, কোডেক এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিউটন দাশ প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে সমাজের প্রবীনদের মধ্যে বিভিন্ন কাজে অবদানের জন্য জওহরলাল সরকার, শান্তি রঞ্জন বাড়ৈ, যশোদা মজুমদার, নিরোধ মধু,রসময় মন্ডল, হরিদাস রায়সহ ৬ জনকে সম্মাননা বাবদ ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা সহকারী সমন্বয়কারী সমৃদ্ধি কর্মসূচি প্রকল্প কোডেক'র মোঃ মাহিদুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় বাস্তবায়নে ছিলেন কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার কোডেক সহযোগিতায় ছিলেন পল্লী কর্ম -সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। ভোরের আকাশ/তা.কা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে মনোমুগ্ধকর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিকালে জেলার সরাইল উপজেলার নোঁয়াগাও ইউনিয়নের কুচনী-বুড্ডা উদ্যোগে বুড্ডা এলাকায় তিতাস নদীতে এ নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়।ক্ষমতাপুর উত্তরপ্রান্ত থেকে বুড্ডা সোনালী ব্রিকস পর্যন্ত প্রায় ২ কি.মি. এলাকায় এই বাইচ অনুষ্ঠিত হয়। নদীর তীরে হাজারো দর্শকের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে তিতাসপাড়ের এই জনপদ।স্থানীয়রা ছাড়াও অন্যান্য এলাকা হতে আগত মানুষের সমাগমে উৎসবমুখর পরিবেশে সৃষ্টি হয়। নদীতে ভাড়া করা নৌকা নিয়ে দর্শকদের ঢল নামে। নারীদের বিপুল উপস্থিতি নতুনমাত্রা যোগ করেছে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা।নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসাইন।বিশেষ অতিথি ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনিছুল ইসলাম ঠাকুর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক ডিএম দুলাল, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: জব্বার, সরাইল প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোহম্মদ আলী মাস্টার, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আবু সুফিয়ান সিদ্দিকী, যুগ্ম সদস্য সচিব নুরুল আমিন মাস্টার, নোঁয়াগাও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাহার উদ্দিন মৃধা বকুল, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন ঠাকুর, উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সালাহউদ্দিন বিপ্লব।এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন যুব দলের সাধারণ সম্পাদক সফিক মৈশান, যুগ্ম সদস্য সচিব সাব্বির হোসেন, শাহবাজপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারন সম্পাদক সাইমন মিয়া, ইউপি সদস্য মো. আরিজ মিয়া ও অলি আহাদ মৃধা, ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক জালাল মিয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাজ্জাক মিয়া, সহসভাপতি আওয়াল মিয়া,সাধারণ সম্পাদক জীবন মৃধাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।ভোরের আকাশ/মো.আ.