জাফর ইকবাল অপু, খুলনা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৪:১৩ এএম
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গল্লামারী মৎস্য খামার দ্রুত হস্তান্তরের দাবি, না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ, আবাসন সংকট নিরসন ও গবেষণার পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে গল্লামারী মৎস্য খামারটি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে হস্তান্তরের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠন “আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসী”।
বর্তমানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি ডিসিপ্লিনে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তবে জমির অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসন, গবেষণা ও ক্রীড়া কার্যক্রমে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে গল্লামারী মৎস্য খামারটি তাদের অনুকূলে বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবিটি আরও জোরালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে “আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসী” নেতৃবৃন্দ বলেন, “খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্ব। এটি শুধু খুলনার নয়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উচ্চশিক্ষার অন্যতম প্রধান প্রতিষ্ঠান। এর উন্নয়ন মানেই এই অঞ্চলের সামগ্রিক অগ্রগতি। অথচ জায়গার অভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গল্লামারী মৎস্য খামারটি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকট হস্তান্তর করলে এ সংকট অনেকাংশেই নিরসন হবে।”
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে ছিলেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ, সহ-সভাপতি সরদার আবু তাহের, সিরাজুল ইসলাম লিটন, মো. আতিয়ার রহমান, এস.এম. মিজানুর রহমান, শাহজাহান জমাদ্দার, ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হুদা এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওমর ফারুক কচি।
এছাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, মো. নাজমুল হক মুকুল, এস.এম. মনোয়ার হোসেন লাভলু, রুহুল আমিন মিঠু, ইঞ্জি. মো. শফিকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক এস. ওয়াহিদুল রহমান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর কাউসার মিজু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জি.এম. ফারুক, অর্থ সম্পাদক মো. ফিরোজ আহমেদ, শিক্ষা সম্পাদক মিজানুর রহমান কচি, সমাজকল্যাণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জিনারুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক খান ইমরান আহমেদ, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবির আহমেদ, প্রচার সম্পাদক নাজমুল তারেক তুষার এবং নির্বাহী সদস্য অ্যাড. শামীমা সুলতানা শিলু, মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, হাসান মোল্লা, সাঈদা পারভীন, এম.এম. হাসান, আফরিদুল ইসলাম ও মো. ফারুক খান প্রমুখ স্বাক্ষর করেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “গল্লামারী মৎস্য খামারটি অবিলম্বে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর খুলনার জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দুর্বার গণআন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
ভোরের আকাশ//হ.র