মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ মে ২০২৫ ১১:৪৭ এএম
তালতলা-গৌরগঞ্জ খালে বাল্কহেড চলাচলে নদী ভাঙনের শঙ্কা
মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের তালতলা-গৌরগঞ্জ খালে অবাধে চলছে নৌযান ‘বাল্কহেড’। নদীতে পানি কম থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন শত শত বাল্কহেড এই খাল হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। বল্কহেড চলাচলের সময় ঢেউয়ের তোড়ে খালের দু-পারে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বাল্কহেড বালিগাওঁ বাজারের একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বাজারের দক্ষিণ পাশের খালের পশ্চিম পাড়ের একটি বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়লে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট ওই খালে বাল্কহেডের ধাক্কায় একটি ট্রলার ডুবে নারী ও শিশুসহ ১০ জন নিহত হওয়ার জেওে এই খালে বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। কিন্তু একটি মহল বাল্কহেড মালিকদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে ওইখালে বাল্কহেড পারাপারে সহায়তা করে আসছে। এতে ওই খালের দুপাশে ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়া আবারও বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও করছে স্থানীয়রা।
এদিকে সরকার পরিবর্তনের সুযোগে এই খাল দিয়ে এখনো শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে। বাড়ছে চাঁদার পরিমাণও। আগে লৌহজং উপজেলার শামুরবাড়ি গ্রামের একটি চক্র দীর্ঘদিন যাবত এই চাঁদাবাজির সাথে সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু সরকারের পালাবদলের কারণে ওই চাঁদাবাজি সিন্ডিকেটকে হাতে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে আরেকটি গ্রুপ।
আগের সামুরবাড়ি এলাকার একটি গ্রুপ চাঁদাবাজি করলেও এখন সরকারের পালাবদলের সাথে সাথে সামুর বাড়ির নতুন সিন্ডিকেট বালি গাঁওয়ের গ্রামের রাজন মুন্সী সিন্ডিকেটসহ খিদিরপাড়ার ইউনিয়নের দেওয়ান বাড়ির শাকিল সজল সিন্ডিকেট নদীর পাড়ে বসে বাল্ব হেড যাওয়ার সময় নগদ টাকা ঢিল মেরে ফেলে যায়। আবার অনেকে নাম বলে চলে যায়। বাল্ব হেড নাম জিজ্ঞেস করে কার নামে বাল্ব হেড চলে তার লিখে রাখে। তারপর যোগাযোগের করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়।
জানা যায়, বাল্ব হেড প্রতি ১০০০থেকে ১৫০০ টাকা দিতে হয়। টাকার বিনিময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত খাল দিয়ে বাল্ব হেড পারাপারের সহযোগিতা করেন। নিষিদ্ধ ঘোষিত খাল দিয়ে চাঁদার বিনিময়ে বাল্ব হেড পারাপারের বিষয়ে রাজন মুন্সি, রুবেল মাদবর, রিপন ওস্তাগার, ফরিদা ভাবিসহ আরো কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা টাকার বিনিময় বাল্ব হেড পারাপারের কথা স্বীকার করেন। চাঁদাবাজির বিষয়ে লৌহজং থানা অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি অভিযোগ পেলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ভোরের আকাশ/আজাসা