অসামাজিক কার্যকলাপ: হোটেলে ৪৮ তরুণ তরুণী আটক
কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় ৪৮ তরুণ-তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩৮ তরুণ এবং ১০ তরুণী। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ‘অসামাজিক কাজে লিপ্ত’ থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (১৪ জুন) দিবাগত রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান চালায় পুলিশ। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে লাইট হাউস এলাকার কটেজ জোনে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচলনা করা হয়। এ সময় ৩৮ জন তরুণ ও ১০ জন তরুণীকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকায় একটি প্রতারকচক্র দীর্ঘদিন ধরে পর্যটকদের বিরক্ত করছে বলে অভিযোগ ছিল।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
রাজশাহীতে আবারও বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। গত ১৯ দিনে ১৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এতে সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যা প্রায় ২৬ শতাংশ। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সবাই নিজ নিজ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।সবশেষ রোববার (১৫ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) পিসিআর ল্যাবে ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. এসএমএম রাজিউল করিম জানান, "রাজশাহীতে সংক্রমণ শুরু হয়েছে ঈদের আগে থেকে। পরিস্থিতি বুঝতে আরও অন্তত ৭ দিন পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। তবে এখন পর্যন্ত আক্রান্তদের কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়নি, যা স্বস্তিদায়ক খবর।"তিনি আরও বলেন, "এখনই রাজশাহীর পরিস্থিতিকে হটজোন বলা যাবে না। কারণ আক্রান্তের সংখ্যা এখনো মেডিকেলের পরীক্ষার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। তবে আমরা জনগণকে সচেতন করছি, স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দিচ্ছি।"এদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রস্তুতি নিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২৫ শয্যার একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি গঠন করা হয়েছে চিকিৎসক ও নার্সদের সমন্বয়ে বিশেষ টিম।রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, “করোনা মোকাবিলায় সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। মাস্ক পরা, হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।”প্রসঙ্গত, চলতি বছর এখনো পর্যন্ত রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি।ভোরের আকাশ//হ.র
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। রোববার (১৫ জুন) ভোর ৬টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে হঠাৎ এই মিছিল বের হয়। মিছিল থেকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেওয়া হয়।মিছিলে নেতৃত্ব দেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম। তাদের সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী অংশ নেন। মিছিলের একটি ভিডিও ছাত্রলীগ নেতা রাজিদুল ইসলামের নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা হয়েছে।রাজিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর ও দৌলতপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দৌলতপুর থানার একটি মামলায় শফিকুল ইসলাম শফিকও এজাহারভুক্ত আসামি।পুলিশ জানিয়েছে, মামলার আসামিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ইতোমধ্যে মানিকগঞ্জের নবগ্রাম এলাকাতেও রাজিদুল ইসলামের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল হয়েছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো প্রকাশ্যে মিছিল করলেন এজাহারভুক্ত এই ছাত্রলীগ নেতা।এছাড়া ঢাকার মিরপুর ও নারায়ণগঞ্জের দুটি মিছিলেও তাকে সামনে দেখা গেছে। এ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতারা।মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এ জিন্নাহ কবির বলেন, “পুলিশের ভেতরে আওয়ামী লীগের দোসররা ঘাপটি মেরে আছে। তারা পলাতকদের ধরছে না।”বিএনপির এই নেতার দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অসংখ্য নেতাকর্মী—যারা বিভিন্ন নাশকতা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি—তারা দিব্যি বাড়িতে ঘুমাচ্ছেন, প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অথচ পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না।তিনি বলেন, “আমরা একাধিকবার পুলিশকে জানিয়েছি, তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। পুলিশ যেন চোখ বুজে আছে। কারণ, এরা সবাই আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নিয়োগপ্রাপ্ত। স্বাভাবিকভাবেই তারা দলীয় আনুগত্যে পরিচালিত হচ্ছে।”নিষিদ্ধ সংগঠনের পলাতক নেতাকর্মীদের মিছিল করার সুযোগ দেওয়ার দায়-দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনের এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তাদের অবস্থান সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেলেই দ্রুত অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
গাজীপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চাপুলিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম শাহরিয়ার রহমান হ্যাভেন (৩৪) ।রোববার (১৫ জুন) সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। নিহত শাহরিয়ার রহমান হ্যাভেন চাপুলিয়া এলাকার হুমায়ূন কবিরের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহরিয়ার রহমান হ্যাভেনের পরিবারের সঙ্গে জমি জমা নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে পূর্ব বিরোধ ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের লোকজন বাড়ি থেকে নিয়ে যায় এবং চুরির অপবাদ দিয়ে হাত পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ভোরে মারা যান হ্যাভেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রোববার সকাল ৭ টার দিকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে।জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, হ্যাভেনের বিরুদ্ধে থানায় চুরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। সকালে তার হাত পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পাসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে, স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলাসহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এদুটি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৮ জন। রবিবার (১৫ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার মগটুলা ও মাইজবাগ ইউনিয়নের মধ্যবর্তী গালাহার নামক এলাকায় পিকাপভ্যান ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের সংঘর্ষ হয়।অপরদিকে একইদিনে ৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৩ টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের শিমরাইল ১ নম্বর মোড়ে ট্রাক ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ দুটি দুর্ঘটনায় আহতদের ফায়ার সার্ভিস-পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা দুটি বাস বেপরোয়া গতিতে ওভারটেক করতে গিয়ে শতাব্দী ট্রান্সপোর্ট নামের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়েমুড়রে যায় এবং ট্রাক চালক গুরুত্বর আহত হন। এছাড়া বাসের আরও তিন যাত্রী আহত হন।পিকাপভ্যান ও ইজিবাইকের সংঘর্ষের ঘটনায় মো. লিটন মিয়া (৫০) নামে এক ইজিবাইক যাত্রী নিহত হয়েছেন। নিহত লিটন মিয়া উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের সাটিহারী গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে। এ-ঘটনায় অন্তত আরও ৪ যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে মাইজবাগ ইউনিয়নের তারাটি গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে মো. রায়হান মিয়া(২৫) ও রওশন আরা(৫৫) নামে এক বৃদ্ধার পরিয়চ মিলেছে। বাকী ২ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।অন্যদিকে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক সাইদুল ইসলাম(৫৩)-কে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ট্রাকচালকের বাড়ি ময়মনসিংহ সদরে। এ নিয়ে পৃথক দুটি সড়ক মোট ৯ যাত্রী আহত হয়েছেন।ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস বলেন,'খবর পেয়ে দুটি দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহের সুরতহাল করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পৃথক দুইটি ঘটনার দুমড়েমুড়রে যাওয়া বাস,ট্রাক-পিকাপভ্যান আটক করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা