আবুল কাশেম, জামালপুর
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:৪৭ পিএম
ইসলামপুরে বিদ্যালয়ে যায় না তিন শতাধিক শিশু
‘স্যার, স্যার আন্নেরা আঙ্গরে স্কুল আঙ্গরে ফিরিয়ে দিন, আমরা পড়তে চাই’-এমন আকুতি জানাচ্ছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের উত্তর জোরডোবা গ্রামের তিন শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে যমুনা নদীভাঙনের সময় উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যায় এবং পরে বিদ্যালয়টি পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ চিনাডুলি গ্রামে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ সময় পর নদীর গর্ভে নতুন চর জেগে উঠলে উত্তর জোরডোবা গ্রামের ভূমি পুরনো অবস্থায় ফিরে আসে। বর্তমানে সেখানে পাঁচ শতাধিক পরিবার নতুন করে বসতি স্থাপন করেছে।
তবে, এত পরিবার গড়ে ওঠার পরও এলাকায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রায় ৩০০ শিশু প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কারণে এলাকাবাসী তাদের পুরনো বিদ্যালয়টি উত্তর জোরডোবায় পুনঃস্থাপনের দাবি তুলেছেন।
এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন উত্তর জোরডোবা ও দক্ষিণ চিনাডুলি এলাকায় বিদ্যালয়টির বর্তমান ও পূর্বের অবস্থান পরিদর্শন করেন। সফরসঙ্গী ছিলেন ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কান্দারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান চৌধুরী, কুমিরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজম আলী এবং উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম শামীম।
বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে উত্তর জোরডোবা গ্রামে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগী নায়েব আলী নবাব। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম মণ্ডল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান ও সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য দেন মো. মুসলিম উদ্দিন আকন্দ, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
সভায় জাহানারা খাতুন বলেন, উত্তর জোরডোবা গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া রোধে উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দক্ষিণ চিনাডুলি থেকে সরিয়ে আবার উত্তর জোরডোবায় ফিরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।
ভোরের আকাশ/এসআই
আবুল কাশেম, জামালপুর
প্রকাশ : ২১ ঘন্টা আগে
আপডেট : ২১ ঘন্টা আগে
ইসলামপুরে বিদ্যালয়ে যায় না তিন শতাধিক শিশু
‘স্যার, স্যার আন্নেরা আঙ্গরে স্কুল আঙ্গরে ফিরিয়ে দিন, আমরা পড়তে চাই’-এমন আকুতি জানাচ্ছে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের উত্তর জোরডোবা গ্রামের তিন শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
জানা গেছে, আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে যমুনা নদীভাঙনের সময় উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি বিলীন হয়ে যায় এবং পরে বিদ্যালয়টি পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ চিনাডুলি গ্রামে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ সময় পর নদীর গর্ভে নতুন চর জেগে উঠলে উত্তর জোরডোবা গ্রামের ভূমি পুরনো অবস্থায় ফিরে আসে। বর্তমানে সেখানে পাঁচ শতাধিক পরিবার নতুন করে বসতি স্থাপন করেছে।
তবে, এত পরিবার গড়ে ওঠার পরও এলাকায় কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় প্রায় ৩০০ শিশু প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং ঝরে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ কারণে এলাকাবাসী তাদের পুরনো বিদ্যালয়টি উত্তর জোরডোবায় পুনঃস্থাপনের দাবি তুলেছেন।
এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন উত্তর জোরডোবা ও দক্ষিণ চিনাডুলি এলাকায় বিদ্যালয়টির বর্তমান ও পূর্বের অবস্থান পরিদর্শন করেন। সফরসঙ্গী ছিলেন ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও কান্দারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান চৌধুরী, কুমিরদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আজম আলী এবং উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামিউল ইসলাম শামীম।
বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে উত্তর জোরডোবা গ্রামে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় শিক্ষানুরাগী নায়েব আলী নবাব। প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাহানারা খাতুন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাপধরী ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম মণ্ডল, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিল্লুর রহমান ও সাবেক সভাপতি সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য দেন মো. মুসলিম উদ্দিন আকন্দ, আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
সভায় জাহানারা খাতুন বলেন, উত্তর জোরডোবা গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া রোধে উত্তর জোরডোবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দক্ষিণ চিনাডুলি থেকে সরিয়ে আবার উত্তর জোরডোবায় ফিরিয়ে আনার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।
ভোরের আকাশ/এসআই