টাঙ্গাইলে ৯ ডাকাত গ্রেফতার
টাঙ্গাইলের মধুপুরে আনাম গ্রিন ফুয়েল এনার্জি রিসোর্স ফ্যাক্টরিতে ক্লুলেস দুর্ধর্ষ ডাকাতির মামলায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মধুপুর থানা পুলিশ। এ সময় ডাকাতিকৃত ১৫ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ মে) দুপুরে টাঙ্গাইল পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতার হওয়া ডাকাতরা হলেনÑমামুন মেকার, মাসুদ, সুরুজ আলী, নাঈম, রাসেল, কাজল ড্রাইভার, রাশেদুল, নান্নু, বেল্লাল হোসেন।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ৩ মে মধুপুরের মহিষমারা এলাকায় অবস্থিত আনাম গ্রীণ ফুয়েল এনার্জি রিসোর্সে ফ্যাক্টরীতে একটি ডাকাতীর ঘটনা ঘটে। পরে কর্তপক্ষ মামলা দায়ের করলে মধুপুর থানা পুলিশ আসামী আটক করার জন্য অভিযান চালায়। পরে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল আশুলিয়ার বলিভদ্র এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিকআপ গাড়ি, ২৫০ কেজি ট্রান্সমিটার, ৮০ কেজি তামার তার, মেইন তামার তার ১৬ ফিট, জেনারেটর তামার তার ২০ ফিট, ১২ ভোল্টের ব্যাটারি ও ১৪৮ কেজি সিসা উদ্ধার করা হয়। বাকী আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলমান রয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে যৌতুকের টাকার দাবিতে মারধর করে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করায় তা দিতে অস্বীকৃতি জানানোর ফলে মারধর করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে বলে চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।বুধবার (১৪ মে) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রোজারঘোনা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।নিহত লুলুয়ান মরজান হিরা টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়ার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে।নিহতের বোন আফরোজা আক্তার জানান, হ্নীলার মৌলভীবাজারের রোজারঘোনা এলাকার নুর আহাম্মদের ছেলে আব্বাস উদ্দিনের (২২) সঙ্গে একই ইউনিয়নের পূর্ব সিকদারপাড়ার মাস্টার মীর কাশেমের মেয়ে লুলুয়ান মরজান হিরা (১৭) প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে পরিবারের অজান্তে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি তারা দুইজন পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই স্ত্রীর কাছে যৌতুক হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন আব্বাস। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়। এর জেরে মঙ্গলবার রাতেই স্বামী আব্বাস মরজানকে মারধর করেন। এতে তার মৃত্যু হয়েছে।তিনি বলেন, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন ও মারধর করে মরজানকে হত্যা করেছে। এখন তারা বাঁচার জন্য আত্মহত্যা করেছে বলে গুজব ছড়াচ্ছে। এ ঘটনায় মামলায় প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।মরজানের বোনের স্বামী নুরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার গভীর রাতে আব্বাসের বড় ভাই আমাকে ফোন দেয়। সে জানায় আমার শ্যালিকা আত্মহত্যা করেছেন। এরপর বুধবার ভোররাতে নিহতের শ্বশুরবাড়ি থেকে মরজানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, বুধবার ভোররাতে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যান। এরপর শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষ থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি। ভোরের আকাশ/এসআই
কোন ধরণের তদবির ও ঘুষ ছাড়া কেবল শারীরিক ও মেধার যোগ্যতা ভিত্তিতে মাত্র ১২০ টাকা খরচে মাদারীপুরে ১৬জন চাকরি প্রার্থী পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। বুধবার (১৪) মৌখিক পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যায় পুলিশে নবাগত পুলিশ সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন মাদারীপুর পুলিশ সুপার।মাদারীপুর পুলিশ লাইন্সের ড্রিল শেডে আয়োজিত এ ‘ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল আবেদন পরে ২৭০ টি (টিআরসি)/কনস্টেবল’ পদে। লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন ১৪৫জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে ভাইবায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৫ জন। পরে যাচাই-বাছাই শেষে তাদের মধ্য থেকে ১৯জন উত্তীর্ণ হয়। আপেক্ষামান রয়েছে ৩জন। উত্তীর্ণদের ১৫ জন সাধারণ কোঠায় এবং একজন মেয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় নিয়োগ পেয়েছেন। ১৬ জনই দিন মজুর ও অটো চালক ও তাদের ছেলেমেয়ে বলে জানা গেছে।ফলাফল ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন, মুন্সিগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশিদ, গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সরোয়ার হোসেনসহ মাদারীপুর জেলার পুলিশের সকল কর্মকর্তাগণ।নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের অভিনন্দন ও তাদের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে ব্রিফিং সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান বলেন, শারীরিক ও মেধার যোগ্যতার ভিত্তিতে আপনারা সকলে আজ এই জায়গায় এসেছেন। আপনারা সততা ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবেন। এতে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ। নিয়োগ প্রাপ্তদেরকে পুলিশ সুপার ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় প্রতিক্রিয়া জানাতে কয়েকজন নবাগত পুলিশ সদস্য আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। ভোরের আকাশ/এসআই
মেহেরপুরের বুড়িপোতা সীমান্তে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিশেষ অভিযান চালিয়ে চারটি স্বর্ণ বার (৭০৪ গ্রাম)সহ কালাম (৪৪) ও আরজ আলী (৭০) কে আটক করেছে। বুধবার (১৪ মে) বিকালে ৬ বিজিবি চুয়াডাঙ্গা সেক্টরের বুড়িপোঁতা ক্যাম্পের টহল দল মেহেরপুর- বুড়িপোঁতা সড়কের শ্যানের মোড় নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করেন।আটক কালাম বুড়িপোঁতা গ্রামের বর্ডারপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে ও আরজ আলী একই গ্রামের ঝড়ু মন্ডলের ছেলে।বুধবার চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ নাজমুল হাসান স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রেসবিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জব্দকৃত স্বর্ণের মূল্য ৯৪ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা প্রায়।তিনি জানান, ভারতে পাচারের উদ্যেশ্যে মেহেরপুর থেকে স্বর্ণের বার নিয়ে সীমান্ত এলাকায় যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদ পেয়ে বুড়িপোঁতা ক্যাম্পের বুড়িপোঁতা বিওপি ক্যাম্পের টহল কমান্ডার নায়েক মাসুদ হাওলাদার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ওই স্থানে অবস্থান নেন। বাইসাইকেল যোগে দুজনকে যেতে দেখে তাদের সিগন্যাল দেন বিজিবি সদস্যরা। এসময় তারা বাইসাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাঁদের আটক করে শরীর তল্লাশি করে। একপর্যায়ে কালামের লুঙ্গির সাথে বাধা লাল কসটেপ মোড়ানো চারটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। তাদের দুজনকে আটকের পাশাপাশি দুটি বাটন মোবাইল ফোন, তাদের ব্যবহৃত বাইসাইকেল ও ৭০৪ গ্রাম ওজনের চারটি স্বর্ণবার জব্দ করা হয়।এঘটনায় বুড়িপোঁতা বিওপি ক্যাম্পের নায়েক মাসুদ হাওলাদার বাদি হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা দিয়ে আসামিদের সোপর্দ করেছে। ভোরের আকাশ/এসআই
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ভেঙে দুই ভাগে বিভক্ত করার প্রতিবাদে দেশের অন্যান্য কাস্টমস হাউসের ন্যায় বেনাপোল কাস্টমস হাউসেও তিনদিনের কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। তবে এ সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক যাত্রী সেবা, আমদানি-রপ্তানি ও বাজেট কার্যক্রম চলমান থাকবে।বুধবার (১৪ মে) সকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের গেটে কর্মবিরতির ব্যানার ঝুলিয়ে এনবিআর ঐক্য পরিষদ এ কর্মসূচি শুরু করেছে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলবে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এবং শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত কলম বিরতি কর্মসূচি পালন করবেন তারা।কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০ টা থেকে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কর্মকর্তারা কর্মবিরতি পালন করছেন। বেনাপোল কাস্টম হাউসে কলম বিরতি চলাকালীন সময়ে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে দেখা যায়নি। দু একজন উপস্থিত থাকলেও তারা কোন কাজ করছেন না। কাস্টম হাউসের প্রধান ফটকে কলম বিরতির ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। লক করা আছে কাস্টমস হাউসের অনলাইন সার্ভার। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন সার্ভার বন্ধ থাকার কারণে আমদানি রপ্তানি সংক্রান্ত কোন বিল অব এন্টি দাখিল করা সম্ভব হচ্ছে না। বেনাপোল কাস্টমস হাউজে শুল্ক আদায় সংক্রান্ত সকল ধরনের কাজ বন্ধ রয়েছে। তবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা চালু আছে।বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বেনাপোল কাস্টম হাউসে কর্তকর্তা-কর্মচারীরা কলম বিরতি শুরু করলেও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার মো. রাজন হোসেন জানান, আমরা কলম বিরতি শুরু করেছি। আজ সকাল ১০টা থেকে আগামী শনিবার বিকাল ৩ টা পর্যন্ত চলবে এ কলম বিরতি। এ সময় মধ্যে দাবি আদায় না হলে আমরা নতুন করে কর্মসূচি দেব। ভোরের আকাশ/এসআই