বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ : ০৪ মে ২০২৫ ০৪:০১ পিএম
বরিশাল সিটি করর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ!
ফ্যাসিবাদের তিন দোষরদের নিয়ন্ত্রণে বরিশাল নগরভবন। আগস্ট বিপ্লবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মেয়র সেনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ পালিয়ে গেলেও তাদের দোষররা বর্তমানে বরিশাল সিটি করর্পোরেশনের (বিসিসি) প্রধান প্রধান দায়িত্ব পালন করছেন।
সিটি করর্পোরেশনের ভোটচুরির হোতা সাদিক আব্দুল্লাহর প্রধান হাতিয়ার হিসাবে পরিচিত স্বপন কুমার রোহান বর্তমান নগরভবনে আর.আই. শাখার প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো নগরভবন নিয়ন্ত্রন করছেন তিনি। মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সময় স্বপন কুমার তিনটি প্রধান প্রধান দায়িত্ব পালন করেন। তার আস্থাভাজন হওয়ায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, আর.আই. শাখার প্রধান, পি.আর.ও হিসাবে নগরভবনে কর্মরত ছিলেন। ৫ আগস্টের বিপ্লবের পরে দেশ যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিয়ন্ত্রণ করছে, সেই সময়েও আ.লীগের দোষররাই নগরভবন (সিটি করপোরেশন) নিয়ন্ত্রণ করছে।
এই স্বপন কুমার বরিশাল সদর উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় হামলা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। সাবেক মেয়র সাদিকের ক্ষমতা দেখিয়ে বাবুগঞ্জ পূজা কমিটির সাধারন সম্পাদক হন। তিনি বরিশাল সিটি করর্পোরেশনের বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন।
অপরদিকে, আ.লীগের দোষর হিসাবে পরিচিত জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, বিসিসির বর্তমান রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার, সাদিক আব্দুল্লাহর আস্থাভাজন হিসাবে পরিচিত। সাদিক আব্দুল্লাহ তার সময়ে বর্তমান রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদারকে চাকরি প্রদান করেন। এরপর ঘুষ-দুর্নীতির কারণে ২০২৩ সালে বাবুল হালদার চাকরিচ্যুত হন। সাদিক আবদুল্লাহ তার মেয়রের মেয়াদ উর্ত্তীণের ১৫ দিন আগে অবৈধ পন্থায় পুনরায় তাকে চাকরি প্রদান করেন। বাবুল হালদার ট্রেডলাইসেন্স শাখা, কর ধার্য্য শাখা, কর আদায় শাখা, হাটবাজার শাখা সহ আরো কয়েকটি শাখা (প্রধান) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরো এক আ.লীগের দোষর হিসাবে পরিচিত শহীদুল ইসলাম। বর্তমানে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারীর পি,এ হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি বর্তমান বরিশাল সদর উপজেলার চাঁনপুরা ইউনিয়ন আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বিসিসির বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সহ. সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। শহীদুল ইসলামও সাবেক মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর আস্থাভাজন হিসাবে পরিচিত। সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়র থাকা অবস্থায় বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পি.এ শহীদুল ইসলামকে ট্রেড লাইসেন্স সুপারেনটেন্ড হিসাবে দায়িত্ব প্রদান করেন। এরপর ঘুষ-দুর্নীতির কারণে ২০২৩ সালে শহীদুল ইসলাম চাকরিচ্যুত হন। সাদিক আবদুল্লাহ তার মেয়রের মেয়াদ উর্ত্তিনের ১৫ দিন আগে অবৈধপন্থায় পুনরায় তাকে চাকরি প্রদান করেন।
তিন দোষরের ব্যাপারে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারীর সঙ্গে একাধিক বার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলেও তিনি কল রিসিভ করেনি।
ভোরের আকশ/এসআই