বরিশালে ভূমি কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘব
বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের গণপাড়া গ্রামে একটি চলাচলের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘ বিরোধের সমাধান হয়েছে।
বুধবার সকালে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি), এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ, ছাত্র প্রতিনিধি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রচেষ্টায় এই বিরোধ নিরসন হয়। এতে এলাকাবাসী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, গণপাড়া এলাকায় প্রায় দুই যুগ আগে থেকে বসবাস করছেন ইতালী প্রবাসী মহিদুল ইসলাম মামুনের পরিবার। কিন্তু তাদের বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে আপত্তি ছিল প্রতিবেশী কয়েক পরিবারের। এ নিয়ে একাধিক মামলা চলমান আছে। অবশেষে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে রাস্তাটি সরকারী বরাদ্দে পাকা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এটি বাস্তবায়নে গিয়েও তারা বাঁধার মুখে পড়েন।
বুধবার সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষের সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলার পরে তাদের রাজী করাতে সক্ষম হন। উভয় পক্ষ মামলা প্রত্যাহারসহ বিরোধ মিমাংসা করে মিলে মিশে রাস্তা ব্যবহারের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এ সময় ছাত্র প্রতিনিধি লাবন্য, শিফা, গাজী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এসিল্যান্ড আজহারুল ইসলামের সুদক্ষ তৎপরতায় এটি সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। এর আগে অনেকে চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারেনি। উভয় পক্ষের এই সমঝোতা এলাকার জন্য একটি শান্তির বার্তা।
বরিশাল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে পিআইও, থানা পুলিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দীর্ঘ আলোচনায় সমাধান হয়েছে এবং বর্তমানে রাস্তাটির কাজ চলমান আছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক এর দুটি দল অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে। সড়ক বিভাগের রক্ষণাবেক্ষণ কাজসহ রাস্তা নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাটের অভিযোগ আমলে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুর্নীতি দমন কমিশন এর প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশেক্রমে দুদক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয় এ অভিযান শুরু করে। দুদকের গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায়ের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক মোঃ সোহরাব হোসেন সোহেল ও উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আল-আমিন হোসেন।গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বিজন কুমার রায় জানান, প্রথমে বৃহস্পতিবার দিনভর গোপালগঞ্জ সড়ক বিভাগ হতে তথ্য সংগ্রহ করা হয় পরে টেকেরহাট-ঘোনাপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক সড়কের ৩৯ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের সরেজমিন তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এ সময় গোপালগঞ্জ সদর হতে টেকেরহাট আঞ্চলিক মহাসড়কের কিছু অংশের কাজ কয়েক বছরেও শেষ হয়নি। কিছু ব্রিজের উপর পিচ না থাকায় সমতল রাস্তা হতে ৫-১০ ইঞ্চি নিচু হওয়ায় ও সতর্কতা সাইন না থাকায় হঠাৎ গাড়ি ব্রেক করায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে ও গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। রাস্তার কাজ শেষ না হতেই বিভিন্ন স্থানে ফাটল এবং ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ২০২২ সালে কাজ শুরু হলেও অদ্যাবধি কাজ শেষ না হওয়ায় জনদুর্ভোগ হচ্ছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দলটি।তিনি জানান, গোপালগঞ্জ শহরের প্রবেশ পথে পুলিশ লাইন্সের আগে হরিদাসপুর সেতুতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে নিম্নমানের লাইট স্থাপন করা হয়। তাই সেই লাইট গুলি কিছুদিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে উক্ত সড়কে সন্ধ্যার পর থেকে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে এতে চুরি ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী। সড়ক ও সেতুর মেরামত খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার না করায় সাধারণ জনগণ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।বিজন কুমার রায় আরও বলেন, গোপালগঞ্জ থেকে নড়াইল যাওয়ার পথে চাপাইল সেতুর নিম্নমাণের লাইটসমূহ দীর্ঘদিন নষ্ট হলেও মেরামত না করায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। মেরামত খাতের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার না করায় লাইটগুলো ঠিক হচ্ছে না। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জের হরিদাসপুর সেতু ও চাপাইল সেতুর লাইট দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হলেও মেইনটেইনেন্স না করায় জনদুর্ভোগের বিষয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।অন্যদিকে, গোপালগঞ্জের ঘোনাপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া সড়কে ৬০০টি ৩০ ওয়াটের স্ট্রিট লাইটের পরিবর্তে ২০ ওয়াট লাইট দেয়ায় আলো কম হয়ে জনদুর্ভোগ ও ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ বিষয়ে সরেজমিনে লাইট পরিদর্শন করা হয়। এসব অনিয়ম ও অভিযোগ তদন্ত করে দুদকের টিম সত্যতা পেয়েছেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ঢাকা-খুলনা মহাসড়েকের গোপালগঞ্জ অংশে মেরামতের বাজেটের বেশিরভাগ অর্থ যথাযথ ব্যয় হচ্ছেনা মর্মে জানা গেছে। বিগত ৪-৫ বছরে ব্যায়ের তালিকা যাচাই করলে কোটি কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আরো ব্যাপক তদন্ত শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন দুদক প্রধান কার্যালয়ে দাখিল করা হবে। ভোরের আকাশ/এসআই
সাবিহা আক্তার বিথি। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার তরফপুর এলাকার স্কুল দপ্তরী মর্জিনা আক্তারের এক মাত্র মেয়ে। ১২০ টাকায় পুলিশে চাকুরী পাওয়ায় বিথির দু চোখে আনন্দ অশ্রু যেন থামছে না।টাঙ্গাইলে ১২০ টাকায় আবেদন করে ৫০ জন পুলিশের চাকুরীতে প্রাথমিক নিশ্চিত হয়েছে। বুধবার (১৪ মে) রাতে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনের গ্রীলশেডে ফলাফল প্রকাশ করে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এসময় চাকুরী পাওয়া প্রার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের তরফপুর এলাকার আদর্শ নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী মর্জিনা বেগমের মেয়ে সাবিহা আক্তার বিথি। স্বপ্ন বড় হয়ে পুলিশে জয়েন করবে। সেই স্বপ্ন নিয়ে ১২০ টাকা দিয়ে আবেদন করেছিলো পুলিশের রিক্রুট কনেস্টবলে। এরপর পর পর কয়েকটি ধাপ পার করে চুড়ান্ত তালিকায় উঠে আসে বিথি। বুধবার টাঙ্গাইলের পুলিশ লাইনের গ্রীল শেডে তার নাম চুড়ান্ত তালিকায় দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বিথি। বিথির মতো রাখী সূত্রধর ও অনান্য চাকুরী পাওয়ারাও আনন্দে আত্মহারা।পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, একদম সচ্ছ ভাবে এবার পুলিশে নিয়োগ হয়েছে।এবার কোন কোঠা দ্বারা নিয়োগ হয়নি। সবাই বিনা কোঠায় নিয়োগ পেলো। এবার টাঙ্গাইলে ২৭ হাজার ৭১ জন আবেদন করেছিলো। এরপর ৫০ জনকে চুড়ান্ত করা হয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
নওগাঁর মান্দায় বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেছে পল্লী শিশু ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ (পিএসএফ)।এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সংস্থার সতীহাট কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।সংস্থার পরিচালক মনসুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এইচআর এডমিন খালেদুর রহমান, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কর্মকর্তা আইয়ুব আলী, প্রোগ্রাম অফিসার মোল্লা আজাদুল হক, নওগাঁর আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক কামাল হোসেন, সতীহাট শাখাা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ, মান্দা উপজেলা কর্মসূচি সমন্বয়কারী আশরাফুল আলম, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুস সামাদ প্রমূখ।উল্লেখ্য, ‘পল্লী শিশু ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’ এর শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার মৈনম ইউনিয়নে শিশুদের নিয়ে ১৮টি স্কুল পরিচালিত হয়ে আসছে। এসব স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে আজ বৃহস্পতিবার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ভোরের আকাশ/এসআই
বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।বুধবার (১৪ মে) বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর বাগেরহাট জেলা শাখা থেকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।১৩ সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটির আহবায়ক হলো অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক জহরলাল সরকার, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সন্দীপ বিশ্বাস ও সদস্য সচিব মানবেন্দ্র মজুমদারকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে।কমিটির বাকি যুগ্ম আহবায়ক সদস্যরা হলেন শাওন মজুমদার, কালীদাস রায়, কৃষ্ণ চন্দ্র মালাকার, মনি মোহন সরকার, শ্যামল বালা, বিধান গাইন, বিনয় কৃষ্ণ মন্ডল, নিউটন রানা, বাদল সাহা ও সুশান্ত বৈদ্য।ভোরের আকাশ/এসএইচ