আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫ ১২:০৩ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে ইউএনও-ওসিসহ আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে ইউএনও, ওসিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের চানমনি পাড়া ও মোগলটুলা গ্রামের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নারীর দিকে তাকানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়।
সূত্র জানায়, চাঁনমনি পাড়া গ্রামের এলন মিয়ার লোকজন ও পার্শ্ববর্তী মোগলটুলা গ্রামের মহব্বত মিয়ার লোকজনদের মধ্যে রাইস মিলে ধান ভাঙ্গানোকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এর জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনের চার্জার কেনা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় চানমণিপাড়া গ্রামের মৃত হেলাল মিয়ার স্ত্রী হালেমা বেগম তার ছেলে সাইফুল ইসলামকে নিয়ে উপজেলার হালুয়াপাড়া গ্রাম দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
এ সময় মোগলটুলা গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওই নারীর দিকে তাকান। এ নিয়ে হালেমা তৌহিদুলের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে তার ছেলে এগিয়ে গেলে তৌহিদুলের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
এ নিয়ে রাতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চলমান সংঘর্ষ রাত সাড়ে ১০টা দিকে পুলিশ নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আহত হয়েছেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারফ হোসাইন ও সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল হাসান।
আহত ইউএনও এবং ওসি দু'জনকে সরাইল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওসি রফিকুল হাসানের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যপারে সরাইল সার্কেলের এএসপি তপন সরকার বলেন, 'দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরাইল থানার ওসি এবং ইউএনও আহত হওয়ার বিষয়টি খুবই দু:খজনক। দাঙ্গাবাজদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। এ ব্যপারে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।'
ভোরের আকাশ/এসএইচ
আশরাফুল ইসলাম সুমন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৫ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষে ইউএনও-ওসিসহ আহত ২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে তুচ্ছ ঘটনায় দু'পক্ষের সংঘর্ষে ইউএনও, ওসিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতরা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার সদর ইউনিয়নের চানমনি পাড়া ও মোগলটুলা গ্রামের লোকজনদের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণ নিয়ে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নারীর দিকে তাকানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ হয়।
সূত্র জানায়, চাঁনমনি পাড়া গ্রামের এলন মিয়ার লোকজন ও পার্শ্ববর্তী মোগলটুলা গ্রামের মহব্বত মিয়ার লোকজনদের মধ্যে রাইস মিলে ধান ভাঙ্গানোকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে এর জের ধরে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
পুলিশ জানায়, মোবাইল ফোনের চার্জার কেনা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় চানমণিপাড়া গ্রামের মৃত হেলাল মিয়ার স্ত্রী হালেমা বেগম তার ছেলে সাইফুল ইসলামকে নিয়ে উপজেলার হালুয়াপাড়া গ্রাম দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন।
এ সময় মোগলটুলা গ্রামের মহব্বত আলীর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওই নারীর দিকে তাকান। এ নিয়ে হালেমা তৌহিদুলের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এক পর্যায়ে তার ছেলে এগিয়ে গেলে তৌহিদুলের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।
এ নিয়ে রাতে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চলমান সংঘর্ষ রাত সাড়ে ১০টা দিকে পুলিশ নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে গিয়ে আহত হয়েছেন সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোশারফ হোসাইন ও সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল হাসান।
আহত ইউএনও এবং ওসি দু'জনকে সরাইল হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওসি রফিকুল হাসানের আঘাত গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যপারে সরাইল সার্কেলের এএসপি তপন সরকার বলেন, 'দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরাইল থানার ওসি এবং ইউএনও আহত হওয়ার বিষয়টি খুবই দু:খজনক। দাঙ্গাবাজদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। এ ব্যপারে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।'
ভোরের আকাশ/এসএইচ