ভালোবেসে বিয়ে, গার্মেন্টসকর্মীর মরদেহ উদ্ধার
ভালোবেসে বিয়ের মাত্র কয়েক মাসের মাথায় গার্মেন্টসকর্মীর গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী এলাকা থেকে নুসরাত বেগম (১৯) নামে ওই গার্মেন্টসকর্মী গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. আবদুল হালিম। তার পরিবারের কারো কোন তথ্য এখন পর্যন্ত জানতে পারেনি পুলিশ। নুসরাতের মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নুসরাত বেগম চান্দখালী এলাকার মো. বাবু খানের স্ত্রী। বাবু খান চান্দখালী এলাকার শামীম খানের ছেলে। নুসরাতের বাবার বাড়ি জামালপুর জেলায়।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালী এলাকার একটি ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকার একটি গার্মেন্টসে কর্মরত অবস্থায় নুসরাতের সাথে গত বছরের ৩ আগস্ট পরিচয় হয় ‘এসি মেকানিক’ মো. বাবু খানের। এরপর তারা গত গত বছরের ১৮ আগস্ট বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে নুসরাতের সাথে তার বাবা মায়ের যোগাযোগ ছিল না। বৃহস্পতিবার বিকেল নুসরাত গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে তার শ্বশুর বাড়ির স্বজনরা পুলিশকে অবগত করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে চান্দখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে নুসরাতের মরদেহ উদ্ধার করেছি আমরা। তার মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে। নুসরাতের বাবার বাড়ির স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
বর্ষা মৌসুম আসার আগেই কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধিতে শুরু হয়েছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন। অপর দিকে কৃষকের তলিয়ে যাওয়া ফসল নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষা শুরুর আগেই ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তার ভাঙনে বিলিন হচ্ছে উলিপুর উপজেলার বেগমগন্জ ইউনিয়নের মোল্লার হাট, রসুলপুর, কড্ডার মোড় এলাকাসহ কুড়িগ্রাম সদর , চিলমারী,রাজারহাট, রৌমারী ও রাজিপপুর উপজেলার বেশ কিছু এলাকা। গত কয়েক দিনে এসব এলাকায় নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে শতাধিক বাড়ি ঘর, আবাদি জমিসহ গাছপালা। ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা কমিউনিটি ক্লিনিকসহ বিভিন্ন স্থাপনা।এসব ভাঙন থেকে নদীর পাড় রক্ষা করা গেলে মানুষের সম্পদের ক্ষতি যেমন কমবে, তেমনি সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনাও রক্ষা পাবে। এমন কাথাই বলছেন, নদী পাড়ের মানুষজন।অন্যদিকে কুড়িগ্রামে গত এক সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। ফলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে নদী তীরবর্তী এলাকায়। যার কারণে নিম্নাঞ্চলের অনেক ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে বৃষ্টির পানিতে প্রায় ৩শ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।উলিপুর উপজেলার গড়াই পিয়ার এলাকার তিস্তার অববাহিকার কৃষক খালেক বলেন, আমার তিন বিঘা জমির বাদাম পানিতে তলিয়ে গেছে। লোকজন নিয়ে পানির নিজ থেকে বাদাম তুলছি। হঠাৎ পানি বাড়ার কারনে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো।উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের নুর আলম বলেন, এখানকার ভাঙ্গন কবলিত মানুষজন তাদরে ঘড় বাড়ী সরিয়ে নিচ্ছে। অনেকের জায়গা না থাকায় অন্যের বাড়ীতে কিংবা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। ভাঙন আতঙ্কে থাকা মানুষজন মানববন্ধন সভা-সমাবেশ করেও কোন প্রতিকার মিলছে না।বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া বলেন, বন্যার আগেই ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে বন্যার ক্ষতির পাশাপাশি ভাঙনের কারণে নিঃস্ব হয়ে পড়বে এখানকার মানুষজন। এছাড়াও গত ১৫ বছর ধরে ভাঙতে ভাঙতে আমার ইউনিয়নের ৮০ ভাগ নদীতে বিলীন হয়েছে।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, কুড়িগ্রামের ১০-১২টি পয়েন্টে নদ-নদীর ভাঙ্গন রয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসআই
খুলনার রূপসায় স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী মনি শেখ তার প্রতিবেশী আবদার শেখকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) গভীর রাতে উপজেলার শ্রীফলতলা ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রূপসা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের মনি শেখ এর স্ত্রী তানজিলা বেগম (৩৫) এর সহিত আবদার শেখের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় পরকীয়ার জের হিসাবে মনি শেখ তার বাড়িতে আবদার শেখকে ঘরের বিছানায় স্ত্রীর সাথে দেখে ধারালো দা দিয়া এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার লাশ টেনে হিচরে বাথরুমের পাশে গর্তে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেয়। সে সময় তার স্ত্রী তানজিলাকেও কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় মনি শেখ পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তানজিলাকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।রূপসা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, ঘটনার সময় মনি শেখ তার ঘরে স্ত্রী তানজিলার সাথে ভিকটিমকে দেখে দু’জনকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে আবদার শেখের মৃত্যু হয়। তার সুরহতাল রিপোর্ট শেষে লাশ ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো দা উদ্ধার করা হয়েছে। আসামী মনি শেখকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ভোরের আকাশ/এসআই
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ৭৩৬ বোতল বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদসহ মাদক ব্যবসায়ী নাছির মিয়া (৪২) কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪। শুক্রবার (২৩ মে) ভোরে অভিযান চালিয়ে নালিতাবাড়ীর গারো পাহাড় সীমান্তবর্তী বাতকুচি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-১৪, জামালপুরের পক্ষ থেকে একটি প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিশ্চিত করে।গ্রেফতারকৃত নাছির মিয়া উপজেলার মানিকচাঁদপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।র্যাব সূত্র জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি এলাকার বুলবুল মিয়া পাহাড়ের পশ্চিম পার্শ্বে মাদকদ্রব্য বিক্রয়ের জন্য পরিবহনের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। গোপন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ এর আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশলে পালানোর চেষ্টাকালে মাদক ব্যবসায়ী নাছির মিয়াকে আটক করে তার হেফাজত থেকে ৭৩৬ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত বিদেশি মদের আনুমানিক বাজার মূল্য ২৩,৮৬,০০০০/- (তেইশ লক্ষ ছিয়াশি হাজার) টাকা।এ ব্যাপারে সিপিসি-১, র্যাব-১৪, জামালপুর ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম আমিনুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নালিতাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। র্যাবের মাধকসহ অপরাধ নির্মূলে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে। ভোরের আকাশ/এসআই
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর এলাকায় লাউ বিক্রিকে কেন্দ্র করে নাতির সাথে অভিমান করে বৃদ্ধা দাদি তানজিলা বেগম (৭৫) আত্নহত্যা করেছে।বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার বেলপুকুর থানার চক জামিরা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।তানজিলা বেগম বেলপুকুর থানার চক জামিরা গ্রামের মৃত আঃ সালামের স্ত্রী বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে দুইটি লাউ বিক্রিকে কেন্দ্র করে নাতির সাথে কথাকাটা কাটি হয় এর জের ধরে রাতের কোনো একসময় খড়ির ঘরে বাঁশের সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে তানজিলা আত্মহত্যা করেন। রাতের খাবার খেয়ে সবাই নিজ নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে তানজিলাকে ঘরে দেখতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে বাইরে এসে পাশে খড়ির ঘরের বাঁশের সাথে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে খবর দেওয়া হয় থানায়। এরপর পুলিশ গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।বেলপুকুর থানার ওসি সুমন কাদেরি বলেন, মৃত বৃদ্ধা তানজিলার ছেলে রফিকুল ইসলাম থানায় এসে আমাদেরকে আত্মহত্যার খবরটি জানায়। এরপর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই বৃদ্ধার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। পরে জানতে পারি, তানজিলা তার নাতির সাথে পারিবারিক কলহের জেরেই অভিমান করে রাতের কোনো এক সময় আত্মহত্যা করেছেন। পরিবারের কেউ বাদি না হওয়ায় তার লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছি। ভোরের আকাশ/এসআই