দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৫ জুন ২০২৫ ০৭:১২ পিএম
দিরাইয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা
সুনামগঞ্জের হাওরবেষ্ঠিত দিরাই উপজেলার হাতিয়া গ্রামসহ একাধিক গ্রামে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের তান্ডবে আতংকগ্রস্ত সাধারণ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় একাধিক বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। হতাহতের শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। মুল হোতারা থাকছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। সম্প্রতি সন্ত্রাসী অস্ত্রধারীদের ধরতে যৌথবাহিনী অভিযান চালালে অস্ত্রধারীদের সাথে সেনাবাহিনীর গুলাগুলি হয়। এসময় তারাপাশা গ্রামের আবু সাঈদ নামে একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও তাদের হোতাদের গ্রেফতার ও আবু সাইদ হত্যার সাথে জড়িতদের অভিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবী জানানো হয়। বু
ধবার সকল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সনজিব সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, সহকারী কমিশনার ভুমি অভিজিৎ সুত্রধর, দিরাই সরকারি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক সন্দীপন দাস, দিরাই প্রেসক্লাবের আহবায়ক সোয়েব হাসান, বিএনপি নেতা আমিরুল ইসলাম,মিজানুর রহমান মিজান, জামায়াত নেতা আবদুল কুদ্দুস, সাংবাদিক জিয়াউর রহমান লিটন, জমিয়ত নেতা মুক্তার হোসেন চৌধুরী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্যবৃন্দ।
ইউএনও সনজিব সরকার বলেন, ইতিমধ্যে যৌথবাহিনীসহ র্যাব ও পুলিশের অভিযানে একাধিক অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে, দুর্গোম যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে সন্ত্রাসী অস্ত্রধারীদের ধরতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এই এলাকায় পুলিশ পাড়ি স্থাপনের কথা উল্লেখ করে ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, এলাকাবাসীর সহযোগীতায় পুলিশ একাধিক বিরোধ নিস্পত্তি করলেও বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারনে এসব এলকার সন্ত্রাসী ও অপরাধ দমনে দিরাই থানা পুলিশের অনেক বেগ পেতে হয়। গ্রামে কোন রাজনৈতিক বিরোধ নেই কিন্তু স্কুল, মাদ্রাসা ও গ্রাম উন্নয়ন ফান্ড নিয়ে একাধিক গ্রুপ ও উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে দ্বন্দ্ব লেগেই থাকে। তবে অপরাধী অস্ত্রধারীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা