পদ্মা সেতুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, চালকসহ নিহত ২
পদ্মা সেতুর ওপর ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন যাত্রীবাহী বাসের চালকসহ দুজন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৩ জুন) রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে।
নিহতদের একজন খুলনা সদর উপজেলার বাসিন্দা রকিব সমাদ্দার। অন্যজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন:গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির মিল্টন (২৫), নিহত রকিব সমাদ্দারের মেয়ে আয়শা সিদ্দিক (১০), খুলনা সদরের শেখ খালিদুর জামান, ফুলতলার মো. মামুন, আজাদ গাজী, মো. হাবিব শেখ, আরিফুল শেখ, হাবিব মৃধা, কামরুন্নাহার, ফরিয়াদ ইসলাম ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর ২ নম্বর পিলারের কাছে যাত্রীবাহী বাস, একটি প্রাইভেটকার ও একটি ট্রাকের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে চালকের কেবিনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসচালক এবং এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।
আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ভোরের আকাশ/হ.র
সংশ্লিষ্ট
মাগুরার মহম্মদপুর থানায় কর্মরত পুলিশের উপপরিদর্শক পিএসআই মোঃ বোরহান উদ্দিন মোটরসাইকেল সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১২টার সময় পাশ্ববর্তী বোয়ালমারী উপজেলার সোতাসী ব্রিজ এলাকায় মোটরসাইকেল দূর্ঘটনার নিহত হন। বোরহান উদ্দিন যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার পায়রা গ্রামের কোবাদ আলীর ছেলে।পুলিশ সূত্রে জানা, শনিবার সকালে থানা থেকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি উপজেলায় একজন ওয়ারেন্টভূক্ত আসামিকে গ্রেফতারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। বোয়ালমারী উপজেলার সোতাসী এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ সড়কের পাশে থাকা গাছে গিয়ে ধাক্কা খায়।এ সময় সে মাথায় এবং ডান কানে ব্যাপক আকারে আঘাত পায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহমান জানান, বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে উধ্বতন কতৃপক্ষে অবগত করেছি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিয়েতে দাওয়াত না দেওয়ার জের ধরে বরগুনার আমতলীর শাখারিয়া গ্রামে বর আবু বকর আকনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে নববধূর পরিহিত দুই ভরি স্বর্ণালংকার লুটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসময় চারজনকে পিটিয়ে আহত করা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বর আবু বকর বাদী হয়ে শনিবার আমতলী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৯টার দিকে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমতলী উপজেলার শাখারিয়া গ্রামের মোতালেব আকনের ছেলে ও রিগাল ফার্নিচারের সুপারভাইজার মো. আবু বকর বিয়ের পর নববধুকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফেরেন। এ সময় তিনি মেহমানদের আপ্যায়নে ব্যস্ত ছিলেন।এমন সময় আউয়াল মাদবর, কদম আলী মাদবর ও বশির ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন তার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা নববধুর গায়ে থাকা দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে বর আবু বকর আকনের বাবা মোতালেব আকন (৬০), ভগ্নিপতি ইউসুফ আকন (৪৬), বোন রিপা আক্তার (২৫) ও জুলেখা আক্তার (৩৬) কে মারধর করে আহত করা হয়। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।বর আবু বকর বলেন, ‘নববধুকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পরপরই ওই সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমার স্ত্রীর গহনা লুট করে নেয় এবং আমার পরিবারের সদস্যদের পিটিয়ে জখম করে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”ঘটনার পরদিন বর আবু বকর ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।অভিযোগের বিষয়ে কদম আলী মাদবর বলেন, “আবু বকর আমার ভাগ্নে। বিয়েতে আমার অপর তিন ভাগ্নেকে দাওয়াত না দেওয়ায় ক্ষোভ থেকেই বশির ফকির ও সবুজ হাওলাদার তার বাড়িতে যায়। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে স্বর্ণালংকার লুটের অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।”এ বিষয়ে আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’’।ভোরের আকাশ/আজাসা
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে ঈদুল আযহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং কর্মীদেরকে ঈদ উপহার প্রদান করেন।ছবি-ভোরের আকাশশনিবার (১৪ জুন) দুপুরে ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু’র প্রসাদপুরস্থ বাসভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মান্দা উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বাবুল চৌধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক মুকুল।অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতৃবৃন্দকে একটি করে ছাতা উপহার দেন ডাঃ ইকরামুল বারী টিপু। পরে সবাই মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণ করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে বহুল প্রতিক্ষীত সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার-জেইউসি'র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। এতে পেশাদার সাংবাদিকদের প্যানেল হেলালী-মাহবুব-জাফর প্যানেলের সব প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য মতে, ৫৩ ভোটের মধ্যে ২৯ ভোট কাস্ট হয়েছে। এতে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক দিনকাল এর স্টাফ রিপোর্টার নুরুল ইসলাম হেলালী, সহ-সভাপতি দৈনিক কালবেলার জেলা প্রতিনিধি এম আর মাহবুব, সাধারণ সম্পাদক দৈনিক রুপালী সৈকত পত্রিকার বার্তা সম্পাদক এস এম জাফর, যুগ্ম-সম্পাদক দৈনিক বণিক বার্তার জেলা প্রতিনিধি ছৈয়দ আলম, কোষাধ্যক্ষ এনটিভির স্টাফ রিপোর্টার ইকরাম চৌধুরী টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক আজাদীর জেলা প্রতিনিধি শাহেদ মিজান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক দৈনিক কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার বেদারুল আলম, সদস্য দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা শামসুল হক শারেক ও দৈনিক সংবাদ এর স্টাফ রিপোর্টার এম, জসিম উদ্দিন ছিদ্দিকী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।অন্যদিকে আশেক-হাসিম-আনছার প্যানেলের ৭জন প্রার্থী একটি করে এবং সহ-সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ হাসিম ২ ভোট ও যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী হুমায়ুন সিকদার ৩ ভোট পেয়েছেন। ১৪ জুন (শনিবার) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কক্সবাজার প্রেসক্লাবের হল রুমে একটানা ভোটার গণ তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট প্রদান করেন।নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এস এম আমিনুল হক চৌধুরী জানান, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার (জেইউসি) এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৫৩ ভোটারদের মধ্যে ২৯ জন ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রদান করেন। ভোটগ্রহণে দায়িত্ব পালন করেন নির্বাচন কমিশনের অপর দুই সদস্য মাহবুবর রহমান ও এএইচ সেলিম উল্লাহ। নির্বাচন কমিশন সদস্য মাহবুবর রহমান বলেন, সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ সংগঠন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার এর এই নির্বাচন বহু কাঠখড় পুড়িয়েছে। তাই এই নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিক মহল ছাড়াও সচেতন মহলের ব্যাপক আগ্রহ ছিলো। এ কারণে ভোটগ্রহণে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা। মোতায়েন করা পুলিশ ফোর্স। প্রেসক্লাব আঙিনায় স্থাপন করা হয় সিসি ক্যামেরা।ভোরের আকাশ/আজাসা