আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫ ০৮:৩৯ পিএম
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
বগুড়ার আদমদীঘির সাঁওইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের প্রচন্ড গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরন, শিক্ষকদের একছুটি ১শ’ টাকা নেয়ার অভিযোগে অভিভাবক ও এলকাবাসীর দায়ের করা অভিযোগ তদন্তের সত্যতা মিলেছে।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুর রহিম প্রধান জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে অতিসত্বর একটি সিদ্ধান্ত আসবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর উপজেলার নসরতপুর ইউপির সাঁওইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী নুরুজ্জামান, জিয়াউর রহমান ও আবু বক্কর সিদ্দিক নামের তিন ব্যক্তি নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগটির তদন্তে নামেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, নাজিম উদ্দিন সোহেল ও সুবাস চন্দ্র পাল। তাঁরা তদন্তে ওই প্রধান শিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান। সে অনুয়াযী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক ২০২৪ সালের মহান বিজয় দিবস পালন করেননি। তিনি প্রতিদিনই ১০টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন, সরকারি বরাদ্দের অর্থ ইচ্ছামত খরচ করেন। নিয়মিত মিটিং করেন না, শিক্ষকদের প্রচন্ড গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। তিনি শিক্ষকদের প্রতি ছুটির (সি.এল) জন্য ১০০ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে ছুটি মঞ্জুর করেন না। এছাড়া শিক্ষিকিারা তাদের শিশুকে ব্রেষ্ট ফিডিং করাতে গেলে খারাপ ব্যবহার করেন। সহকারী শিক্ষক এস, এম রহমত আলী, জয়নব, রোমানা, ফরহাদ, মোহসিন ও ইউনুস আলীসহ অনেকেই তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত টিমকে একই রকম লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন। এতেই প্রমাণীত হয় যে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সত্য। এদিকে তাঁর (প্রধান শিকের) লিখিত বক্তব্য উপস্থপন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন বক্তব্য পেশ করেন নি।
এদিকে তাঁর (প্রধান শিক্ষকের) লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন বক্তব্য পেশ করেন নি।
অভিযোক্ত প্রধান শিক্ষক আল মামুনুর রশীদ জানান, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সবই মিথ্যা।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুর রহিম প্রধান বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। ব্যপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপ সীদ্ধান্ত দিবেন।
ভোরের আকাশ/এসআই