মাজাহারুল ইসলাম
প্রকাশ : ১৭ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৪৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদ বিদায়ের মধ্যদিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তরুণদের মধ্যেই ভবিষ্যৎ দেখছে বিএনপি। কারণ গণতন্ত্র ও জনগনের অধিকারের এ লড়াইয়ে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিয়েছে তরুণরা। হামলা-মামলাসহ লড়াই সংগ্রাম ও নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ দেড় দশকের আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকা ছাত্রনেতা রেজওয়ানুল হক সবুজ।
ত্যাগ ও জনগনের ভালোবাসায় নিজ নির্বাচনী এলাকা বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনের মানুষের কাছে ইতিমধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। এলাবাসী তাঁর কর্মকাণ্ডে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেই তাকে এমপি হিসেবে আরো কাছে পেতে চান। বর্তমান বাস্তবতা ও বিশ্ব রাজনীতিতে তরুণদের নেতৃত্বে পুনর্জাগরণের দর্পণ হিসেবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে তাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে তিনি হতে পারেন জনপ্রতিনিধি-এমনটাই মনে করছেন এলাকার সাধারণ জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীরা। ছাত্রনেতা রেজওয়ানুল হক সবুজ পড়াশুনার সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র রাজনীতিতে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি নিজ এলাকার সকল মানুষের সুখ-দু:খের পাশে ছিলেন। সময়ের সাহসী, আপোষহীন এবং সংগ্রামী তরুণ ছাত্রনেতা রেজওয়ানুল হক সবুজ এখন রাজনৈতিক মহলে আলোচনায়।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারির জরুরি অবস্থার পর বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে যুক্ত থেকে তিনি রাজনৈতিক জীবনের শুরুতেই ত্যাগ ও সংগ্রামের নজির স্থাপন করেন। ছাত্র রাজনীতিতে তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি ছিলেন এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতির দায়িত্বে আছেন।
২০০৯ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে বিএনপির ডাকা আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি ছিলেন সামনের কাতারে। মহাখালী, বনানী, গুলশানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে প্রায় ২ বছরের বেশি সময় কারাবরণ করেছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় মাস্টার্স পরীক্ষাও দিতে হয়েছিল, যা তার অধ্যবসায় ও প্রতিজ্ঞার দৃষ্টান্ত।
২০১৩ সালের সর্বাত্মক অবরোধে গুলশান থেকে মশাল মিছিলের সময় গ্রেফতার হয়ে এক বছরের সাজা ভোগ করেন। রাজনৈতিক জীবনে তার বিরুদ্ধে ২০টিরও বেশি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার প্রতিটিতে তিনি আদালতে হাজিরা দিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের আগেই বিএনপির পরিবারের প্রথম সদস্য হিসেবে তার বিরুদ্ধে দুই বছরের সাজা ঘোষণা করা হয়, এরপর থেকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগপর্যন্ত তিনি নিরাপত্তা হুমকি সত্ত্বেও সাধারণ জনতার পাশে থেকে গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশ নেন।
চারবার পুলিশের হাতে গুরুতর আহত হয়েছেন, ২০১৪ সালে পল্টনে বোমার আঘাতে আহত হয়ে এক মাসের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলার আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করেছেন, কারাগারে থাকা কর্মীদের খোঁজখবর রেখেছেন এবং গুলিবিদ্ধ ছাত্র-জনতার পাশে থেকে নিরলসভাবে করছেন সবসময়।
এ প্রসঙ্গে ছাত্রনেতা রেজওয়ানুল হক সবুজ বলেন, রাজনৈতিক মাঠের পরিক্ষীত তরুণ নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রয়েছে দলের হাইকমান্ডের। তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও দলের নীতি নির্ধারকরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেন, আমার বিশ্বাস, জনগনের ভালোবাসা ও আস্থায় নিয়ে আমি দলকে আমার আসনটি উপহার দিতে সক্ষম হবো।
ভোরের আকাশ/এসএইচ