ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনে জামায়েত প্রার্থী কুরবানির গোশত বিতরণ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান সরকার শনিবার (৭ জুন) সকাল ৮টায় স্থানীয় কসবা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা ঈদগাহে সালাত আদায় করেন।
এসময় সমবেত মুসুল্লিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি। নামাজ শেষে সর্বস্তরের মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করেন। পরে আতাউর রহমান সরকারের পক্ষ থেকে তার সংসদীয় আসনের সহস্রাধিক সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের মাঝে স্থানীয় উপজেলা কার্যালয় চত্বরে কুরবানির গোশত বিতরণ করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা শিবলী নোমানীর সভাপতিত্বে এবং পৌর আমীর হারুন অর রশিদের সঞ্চালনায় আনুষ্ঠানিকভাবে গোশত উপহার প্রদান করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন; বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন কসবা পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, কসবা উপজেলা সেক্রেটারি গোলাম সারওয়ার, আখাউড়া উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. সানাউল্লাহ, কসবা উপজেলা শিবির সভাপতি সাইফুল্লাহ আল আরিফ, পশ্চিম থানা সভাপতি তুহিন রেজা, জামায়াত নেতা মাসুদুর রহমান, জামাল উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও কসবা উপজেলা জামায়াত আমীর অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, আখাউড়া উপজেলা জামায়াতের আমীর ইকবাল হোসেন ভুঁইয়া, সেক্রেটারি বুরহান উদ্দিন খানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে জামায়াতের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অসহায় পরিবারের কাছে গোশত উপহার পৌঁছে দেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বার্তা গ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ দুই কিশোরকে আটক করলেও পুলিশ তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে আটিগ্রাম ইউনিয়নের বার্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আলমগীর হোসেন (৪২) ওই গ্রামের আবুল ফকিরের ছেলে। হামলায় তাঁর ডান হাতের একটি আঙুল কেটে যায়। পাশে থাকা ছোট ভাই জাহাঙ্গীর হোসেন মোবাইল হাতে থাকায় কোপ থেকে বাঁচেন, তবে তাঁর মোবাইল ফোনটি ভেঙে যায়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলার মূল সূত্রপাত হয় বিয়ের যাত্রীবাহী একটি বাসকে কেন্দ্র করে। বৃহস্পতিবার রাতে বার্তা গ্রামের আলমগীরের মেয়ের বিয়ের বাসটি সিংগাইরের ইরতা কাশিমপুর গ্রাম দিয়ে যাওয়ার সময় বাসে থাকা এক কিশোরীর থুতু এক মোটরসাইকেল আরোহীর গায়ে পড়ে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।পরে শুক্রবার সকালে তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন কিশোর এসে আলমগীরের বাড়ির সামনে সাউন্ড দিয়ে উসকানিমূলক আচরণ করে। বাধা দিতে গেলে তারা আলমগীর ও তাঁর ভাইয়ের ওপর চাপাতি নিয়ে হামলা চালায়।স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে হামলাকারীদের মধ্যে দুই কিশোর—সিংগাইর উপজেলার ইরতা কাশিমপুর গ্রামের নীরব ও আপনকে ধরে ফেলে। তাঁদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।তবে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাকিবুল ইসলাম বলেন, “আমরা কাউকে আটক করিনি, স্থানীয়রা আমাদের খবর দিলে আমরা তাদের থানায় নিয়ে আসি।” অস্ত্র জব্দের বিষয়েও তিনি কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি।এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল নামে এক বাসিন্দা বলেন, “আমার সামনেই ছেলেদের কাছ থেকে দুটি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। স্থানীয়রা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”ভোরের আকাশ/এসএইচ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন। একই দুর্ঘটনায় আরও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের রংপুরসহ বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।শনিবার (১৪ জুন) ভোররাত ৩টার দিকে উপজেলার নূরজাহানপুর এলাকায় দিনাজপুর-ঢাকা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও দুইজন।নিহতদের দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাদের একজন তামান্না আক্তার (২২), পিতা হাসেম আলী। অপরজন আমিনুল ইসলাম (৩৫)।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে আমবোঝাই কয়েকটি ট্রাক দাঁড়িয়েছিল। ভোর ৩টার দিকে পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পেছন থেকে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে ৫ জন নিহত হন।খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। এ সময় আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
পদ্মা সেতুর ওপর ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন যাত্রীবাহী বাসের চালকসহ দুজন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৩ জুন) রাত আনুমানিক ১০টা ৪০ মিনিটে।নিহতদের একজন খুলনা সদর উপজেলার বাসিন্দা রকিব সমাদ্দার। অন্যজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।আহতদের মধ্যে রয়েছেন:গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির মিল্টন (২৫), নিহত রকিব সমাদ্দারের মেয়ে আয়শা সিদ্দিক (১০), খুলনা সদরের শেখ খালিদুর জামান, ফুলতলার মো. মামুন, আজাদ গাজী, মো. হাবিব শেখ, আরিফুল শেখ, হাবিব মৃধা, কামরুন্নাহার, ফরিয়াদ ইসলাম ।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পদ্মা সেতুর ২ নম্বর পিলারের কাছে যাত্রীবাহী বাস, একটি প্রাইভেটকার ও একটি ট্রাকের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটে। ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের বাসটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে চালকের কেবিনের অংশটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাসচালক এবং এক যাত্রীর মৃত্যু হয়।আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ভোরের আকাশ/হ.র
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন এক ইউপি সদস্য।শুক্রবার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের ধোবপুকুর বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি হলেন মোবারকপুর ইউনিয়নের উপরটোলা গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম (৫৮)। আহত ইউপি সদস্য সবুজ আলী সুজন (৩২) একই গ্রামের বাসিন্দা এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য।প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম ও তার ভাই আরফাজুল বিশ্বাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে ধোবপুকুর বাজারে কাজলের হোটেলের সামনে দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক-বিতর্কের একপর্যায়ে আরফাজুলের ছেলে আনাস বিশ্বাস (১৮) ধারালো ছুরি দিয়ে চাচা নজরুল ইসলামকে পেটে একাধিকবার আঘাত করেন।চাচাকে রক্ষা করতে গেলে ইউপি সদস্য সবুজ আলী সুজনও ছুরিকাঘাতে আহত হন। স্থানীয়রা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউপি সদস্য সুজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।ভোরের আকাশ/হ.র