যৌথ বাহিনীর অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ‘মজনু গ্রুপের’ ৫ সক্রিয় সদস্য গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সাওরাইল এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও ডাকাতির সরঞ্জামসহ ‘মজনু গ্রুপ’ নামে পরিচিত চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রাজবাড়ী আর্মি ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল ও কালুখালী থানা পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মজিবুর রহমান, সাজেদা বেগম, আবু সায়েম, মো. সুলতান আলী মোল্লা এবং জসিম মণ্ডল। অভিযানে মজিবুর রহমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ৯ মি.মি. পিস্তল (মেড ইন ইউএসএ), একটি ম্যাগাজিন, ১৫ রাউন্ড তাজা গুলি, তিনটি ওয়ান শুটার বন্দুক, একটি ব্যাটন, দুটি ছুরি, একটি হকি স্টিক, কয়েকটি মোবাইল ফোন, জাতীয় পরিচয়পত্র, চেক বই, মদের বোতল, এটিএম কার্ড, পাসপোর্ট, লেজার পয়েন্টার ও একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স।
সেনাবাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, তারা দীর্ঘদিন ধরে পাংশা ও কালুখালী এলাকায় ‘মজনু গ্রুপ’-এর হয়ে সশস্ত্র ডাকাতি ও চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত। অভিযান শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের ও উদ্ধারকৃত আলামতগুলো কালুখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কালুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
ভোরের আকাশ/এসএইজ
সংশ্লিষ্ট
লাল, কালো আর সবুজ রঙের আঙুরে ভরে উঠেছে ময়মনসিংহের একটি ছোট্ট বাগান। লেখাপড়ার পাশাপাশি স্থানীয় কৃষিতে নতুন চমক আঙুর চাষে সফল হয়েছেন ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের কৈয়াদী গ্রামের কলেজ পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র সুমন মিয়া। মাত্র সাত শতাংশ জমিতে ১৩ জাতের বাহারি আঙুর চাষ করে নজর কেড়েছেন।ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার কৈয়াদী গ্রামের কৃষক পরিবারের সন্তান তিনি। টাঙ্গাইলের সখীপুর সরকারি মুজিব কলেজে তিনি সমাজকর্ম বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষে পড়ছেন। পড়ালেখার পাশাপাশি আঙুর চাষে মন দিয়েছেন তিনি।সুমন মিয়া বলেন, ছোটবেলা থেকেই কৃষির প্রতি আগ্রহ। বাবার কৃষিকাজ ও স্থানীয় বাজারে পরিবারের কীটনাশকের দোকান আমাকে কৃষিতে যুক্ত হতে উদ্বুদ্ধ করে। এলাকাজুড়ে ড্রাগন ফল, পেয়ারা, কলাসহ বিদেশি ফলের ভালো ফলন দেখে আঙুর চাষের ভাবনা আসে মাথায়। ইউটিউব ও ফেসবুকে বিভিন্ন দেশের চাষপদ্ধতি দেখে ২০২২ সালে যশোর থেকে ভারতীয় জাতের ২৭টি আঙুরের চারা এনে নিজ বাড়ির পাশে রোপণ করি।তিনি আরও বলেন, প্রথম বছর ফলনে আশানুরূপ মিষ্টতা না থাকায় হতাশ হই। এরপর দুই বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে চলতি বছর নতুনভাবে বাগান সাজাই। নাটোর,ঢাকা সাভার রাজশাহী, ফরিদপুর, জামালপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩ জাতের ৬০টি চারা সংগ্রহ করি। এর মধ্যে আছে বাইকুনর, একেলো, ভেলেজ, ডিক্সন, জয় সিডলেজ, অস্ট্রেলিয়ান কিং, ব্ল্যাক রুবি, ব্ল্যাক ম্যাজিক, থার্টি ওয়ান, মাসকাট হোয়াইট, আমেরিকান রিলায়েন্স, মার্সেল ফোর্স, ভেলক ও গ্রিন লং।সুমন মিয়া বলেন, ইউটিউবে দেখে দেখে চাষপদ্ধতি শিখেছি। লতানো গাছের জন্য উঁচু মাচা করে দিয়েছি। ২৫টি গাছ নষ্ট হয়ে গেলেও বাকি ৩৫টি গাছে এবার ফলন ভালো হয়েছে। আঙুর বাগানে শুধু ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হয়। এ ছাড়া অন্য রাসায়নিকের প্রয়োজন হয় না। এ মাসের শুরু থেকে পাকতে শুরু করেছে আঙুর। আগামী মাসের শেষে পুরো বাগানের ফল বিক্রি শেষ হবে।তিনি বলেন, স্থানীয়রা আঙুর কিনে নিয়ে যান। সবুজ আঙুর ৪০০ টাকা এবং লাল-কালো আঙুর ৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করি। প্রতিটি গাছে ধরেছে ১৫ থেকে ২০ কেজি ফল। এখন পর্যন্ত বাগানে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে এ তরুণ বলেন, এ বছরই সব খরচ উঠে যাবে আশা করছি। অনেকে আমার কাছ থেকে চারা নিয়ে চাষ শুরু করেছেন। আমি চাই বাংলাদেশে ঘরে ঘরে আঙুরের চাষ হোক। বিদেশ থেকে যেন আর আঙুর আনতে না হয়।এ কৃষি উদ্যোক্তা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর সুমনের আঙুর চাষে উল্লেখযোগ্য ফলন হয়েছে। আগামীতেও ফলনের পরিমাণ আরও বাড়বে। দেশজুড়ে যদি এইভাবে উন্নত জাতের আঙুর চাষ বিস্তৃত করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে বিদেশ থেকে আঙুর আমদানির প্রয়োজন নাও হতে পারে।ভালুকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান বলেন, ভালুকা উপজেলার মাটি যে কোনো ফল চাষের জন্য উপযোগী। সুমন পরীক্ষামূলকভাবে তার বাড়ির আঙিনায় আঙুর চাষ করেছে। সব দিক বিবেচনা করে দেখা যাচ্ছে ভালুকার মাটি ও আবহাওয়া আঙুর চাষের জন্য উপযুক্ত। ভোরের আকাশ/এসআই
যশোরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক পুলিশ সদস্যসহ দুই জন নিহত হয়েছেন।শনিবার (২৪ মে) সকালে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের চুড়ামনকাটি- ছাতিয়ানতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত পুলিশ কনস্টেবল ফজলুল হক খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) আটন্ডা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তিনি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার ক্ষুদ্র রয়রা গ্রামের বাসিন্দা।স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে পুলিশ কনস্টেবল ফজলুল হক মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার যশোর-ঝিনাইদহ সড়কের ছাতিয়ানতলায় এলাকায় পৌঁছলে ওপর একটি মোটরসাইকেলের সাথে তার মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ফজলুল গুরুতর আহত হয়। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহত তিন জনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক শাকিরুল ইসলাম পুলিশ সদস্য ফজলুল হককে মৃত ঘোষণা করেন পরে চিকিৎসাধীণ আবস্থায় রিয়েল মারা যায়।যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভোরের আকাশ/এসআই
জেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।শনিবার (২৪ মে) অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সৈয়দ মোঃ মোজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার ও বিশেষ অতিথি ছিলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আমিনুল ইসলাম।বক্তব্য রাখেন আদিনা ফজলুল হক সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ ইমানুল হক, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ আসগার হোসেন, ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক মোঃ আব্দুর রহিম প্রমুখ।কবিতা আবৃত্তি করে ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ইফফাত আরা, বাংলা বিভাগের প্রভাষক মাহবুর রহমানসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শেষপর্বে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক ইউসুফ আলী।ভোরের আকাশ/এসআই
ভূমি মেলা-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে।শনিবার (২৪ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি সংস্কার বোর্ড ও ভূমি ব্যবস্থাপণা অটোমেশন প্রকল্পের সহযোগিতায়’ নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’ এ স্লোগানে এতে ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী এই মেলার বিস্তারিত কর্মসূচি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সামাদ।প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ ইকতেখারুল ইসলাম, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আঞ্জুমান সুলতানা। আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।ভূমি মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ২৫ মে রোববার সকাল ১১টায় সদর উপজেলা ভূমি অফিস চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় থাকছে ভূমিসেবা স্টল, অডিও-ভিডিও উপস্থাপনা, তথ্যবহুল বুকলেট বিতরণ, কুইজ প্রতিযোগিতা, গণশুনানি, মতামত ও পরামর্শ গ্রহণ, ভূমি আড্ডা ও সেমিনারের আয়োজন। মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হিসেবে থাকছে উপজেলা ভূমি অফিস চত্ত্বরে জেলা প্রশাসনের এবং উপজেলা ভূমি অফিসের যৌথ আয়োজনে ৬টি স্টল। যেখানে জেলা ও উপজেলা ভূমি অফিসের ভূমিসেবা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখা ও রেকর্ড রুম, জরিপ এবং রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।এছাড়াও দেশের যে কোনো প্রান্তের নাগরিকরা এই মেলা থেকে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান, ই-নামজারির আবেদনসহ অন্যান্য ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। ভূমি ব্যবস্থাপনায় জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ ও সেবাপ্রাপ্তির অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও ডিজিটাল করার লক্ষ্যেই এ মেলার আয়োজন-এমনটাই প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুস সামাদ। ভোরের আকাশ/এসআই