ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:০৩ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, আমরা পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচটি দাবিতে যে আন্দোলন করছি, সেই দাবিগুলো আন্দোলনের মাধ্যমেই সরকারকে মানতে বাধ্য করা হবে। দেশের মানুষ আওয়ামী স্টাইলের কোন নির্বাচন আর হতে দেবে না।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকালে জয়পুরহাট আব্বাস আলী খান মিলনায়তনে জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারি মাসেই নির্বাচন চাই। তার আগে অবশ্যই জুলাই সনদের আইনিভিত্তি দিয়ে সেই সনদের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আগামী সংসদ নির্বাচন উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ পিআর পদ্ধতিতে দিতে হবে। এটি দেশের অধিকাংশ মানুষের দাবি। কিন্তু দেশের মানুষ আওয়ামী স্টাইলের কোন নির্বাচন আর হতে দেবে না। পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। এই হত্যার সঙ্গে জড়িত বিচারক, আইনজীবী, সাক্ষীসহ সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন সংস্থার তথ্যের জরিপে দেশের ৭২ শতাংশ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান। দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান কি না তা যাচাইয়ে গণভোটের দাবি জানাচ্ছি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসে এখন একটি দলের পকেটে ঢোকার চেষ্টা করছে। তারা জুলাই সনদের আইনিভিত্তি, গণহত্যার বিচার এবং সংবিধানের মৌলিক সংস্কার না করেই যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু দেশের মানুষ আওয়ামী স্টাইলের কোনও নির্বাচন আর হতে দেবে না।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী, দুর্নীতিমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, মানিবক বাংলাদেশ গড়তে চায়। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে এগিয়ে আসার জন্য দেশবাসীকে একসাথে কাজ করতে হবে। ব্যালট বাক্স ছিনতাই প্রতিরোধ এবং সবার ভোটের মূল্যায়নের জন্য পিআর পদ্ধতির বিকল্প নাই।
শহর সেক্রেটারি অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেকের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হক সরকার, শহর নায়েবে আমির মাওলানা আলমগীর হুসাইন, মাওলানা আব্দুল হালিম বেগ, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, অধ্যাপক রফিকুল আলম, মো. আল-আমিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শহর সভাপতি আজগর আলী, ইসলামী ছাত্রশিবির বগুড়া শহর শাখার সভাপতি হাবিবুল্লাহ খন্দকার। সম্মেলনে প্রায় দেড় হাজার পুরুষ ও নারী রুকন অংশগ্রহণ করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ