× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নাজিরপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু সাইমুন বাচঁতে চায়

নাজিরপুর (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ০৯:৪১ পিএম

নাজিরপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু সাইমুন বাচঁতে চায়

নাজিরপুরে বিরল রোগে আক্রান্ত শিশু সাইমুন বাচঁতে চায়

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ী গ্রামের দিনমজুর  সাইদুল মিয়া ও মোসাঃ লাখি দম্পতির বড় সন্তান সাইমুন বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর থেকেই হঠাৎ করে তার হাত-পা শুকিয়ে যাচ্ছে।তবে কি কারণে এমনটা হচ্ছে, এই রোগের চিকিৎসাই বা কী তাও বলতে পারছেনা চিকিৎসকরা।

নয় বছর বয়সী শিশু সাইমুনের দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছে হাত-পা।এই বয়সে সে স্কুলের সবুজ প্রান্ত‌রে  নিজের জীবন‌কে গড়বে সেখানে সে বিগত ১ বছ‌রের অ‌ধিক সময় মৃত্যুর সা‌থে পাঞ্জা  লড়ছে।এত দিন চি‌কিৎসাধীন থে‌কে তার বাবা মা আজ নি:স্ব হ‌য়ে প‌ড়েছে। এই বিরল ও মারাত্বক রো‌গে  তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে পারছে না। তাকে বাঁচা‌তে তার বাবা মায়ের আকুল আ‌বেদন।

দিনমজুর সাইদুল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়,  মো. সাইমুন সম্পূর্ণ পঙ্গু অবস্থায় বাড়ির  চৌকিতে ঘুমিয়ে আছে।

সাইদুল মিয়া জানান, তার বড় ছেলে সাইমুনের গত বছর থেকে  হাত-পা শুকিয়ে যায়। তখন বরিশাল ও খুলনাতে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তার দেখানো হয়েছে ডাক্তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ দিয়েছে, কিন্তু কী কারণে এই রোগ তা ডাক্তার নির্ণয় করতে পারেননি।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে  সন্তানের চিকিৎসার খরচ মেটানো আমাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। যদি সঠিকভাবে রোগটা নির্ণয় করা যেত তাহলে জীবনের শেষ সম্বল দিয়ে হলেও  চিকিৎসা করাতে পারতাম। বর্তমানে পরিবারের এমন একটি পরিবেশ একদিকে সন্তানের চিকিৎসা খরচ অন্যদিকে মুখের আহার এবং সংসারের বোঝা, কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। এখন একমাত্র ভরসা সমাজের বিত্তবান, দানশীল মানুষ এবং সরকারি সহয়তা।

সাইদুলের স্ত্রী লাখি বেগম বলেন, আমি বিরল রোগে আক্রান্ত  সন্তানের হতভাগা মা। দীর্ঘ ১ বছর ধরে সন্তানের চিকিৎসা করাতে করাতে সংসারে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে তাদের মুখে খাবার দেব, না চিকিৎসা করাব। অনেক ডাক্তারের কাছে গেছি, ডাক্তার রোগ নির্ণয়ের জন্য যে পরীক্ষা দিয়েছে সেই পরীক্ষাই করা হয়েছে, কিন্তু কোনো রোগ নির্ণয় হয়নি। তারপরও আমরা হাল ছাড়িনি।

ছেলেটা যদি চিকিৎসার মাধ্যমে একটু ভালো হতো তাহলেও উপকৃত হতাম। বর্তমানে পরিবারের খরচ চালিয়ে বাচ্চার উন্নত চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। তবে যদি কেউ সহযোগিতা করে, অথবা সরকারিভাবে তাদের চিকিৎসা করা হয়, তাহলে ভালোভাবে চিকিৎসা করাতে পারতাম।

তাই তিনি সন্তানের চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ও দানশীলদের সহযোগিতা কামনা করছেন।সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুন- (০১৩২৭৬৮৭২৫৬ ) সাইদুল মিয়া।

ভোরের আকাশ/এসএইচ

  • শেয়ার করুন-
নাজিরপুরে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নাজিরপুরে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

নাজিরপুরে ভাসমান সবজি চাষে সাফল্য, পেয়েছে বিশ্ব স্বীকৃতি

নাজিরপুরে ভাসমান সবজি চাষে সাফল্য, পেয়েছে বিশ্ব স্বীকৃতি

নাজিরপুরে কেঁচো সার ব্যবহারে বাড়ছে আগ্রহ

নাজিরপুরে কেঁচো সার ব্যবহারে বাড়ছে আগ্রহ

নাজিরপুরে দুস্থ অসহায়দের মাঝে শুকনো ও গোখাদ্য বিতরণ

নাজিরপুরে দুস্থ অসহায়দের মাঝে শুকনো ও গোখাদ্য বিতরণ

চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

চার দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

 হার্ট ভালো রাখতে লাল রঙের যেসব খাবার খেতে হবে

হার্ট ভালো রাখতে লাল রঙের যেসব খাবার খেতে হবে

 চুলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করেন? জেনে নিন কী উপকার হয়

চুলে অ্যালোভেরা ব্যবহার করেন? জেনে নিন কী উপকার হয়

 "নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়" — মন্তব্য জয়া আহসানের

"নারীকেই কামনা-বাসনার বস্তু হিসেবে তুলে ধরা হয়" — মন্তব্য জয়া আহসানের

 বিপিএলে তামিমের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা, সতর্ক করলেন ট্রেইনার ডালিম

বিপিএলে তামিমের খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা, সতর্ক করলেন ট্রেইনার ডালিম

 কারিনা-প্রিয়াঙ্কার চেয়ে সেরা: নিজের প্রশংসায় কী করলেন কঙ্গনা?

কারিনা-প্রিয়াঙ্কার চেয়ে সেরা: নিজের প্রশংসায় কী করলেন কঙ্গনা?

সংশ্লিষ্ট

গাইবান্ধায় ‘ইউথ ফর বাংলাদেশ’ আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান

গাইবান্ধায় ‘ইউথ ফর বাংলাদেশ’ আয়োজনে দুই দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান

কুড়িগ্রামে সাঁপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে চিবিয়ে খেলো আরেক সাঁপুড়ে

কুড়িগ্রামে সাঁপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে চিবিয়ে খেলো আরেক সাঁপুড়ে

গাজীপুর বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

গাজীপুর বিএনপির প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আর্থিক সহায়তা পেলো মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা

জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আর্থিক সহায়তা পেলো মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীরা