মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ মে ২০২৫ ০৪:০৭ পিএম
মৌলভীবাজারে গোয়েন্দা অভিযানে জাল টাকা ভারতীয় রূপিসহ আটক এক
মৌলভীবাজারে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযানে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার জাল টাকা ও ভারতীয় জাল রুপিসহ যুগেন্দ্র মল্লিক (৪১) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা এ তথ্য জানান। প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজমল হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার শাকিল, ডিবির অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান মোল্লা।
যুগেন্দ্র মল্লিক (৪১) শ্রীমঙ্গল থানাধীন ২ নম্বর ভুনবীর ইউনিয়নের রুস্তমপুর এলাকার মৃত দেবেন্দ্র মল্লিকের ছেলে।
পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা জানান, অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, এসআই এ.এইচ.এম মাহমুদুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্যমতে তার গোয়াল ঘরের খড়ের নিচে লুকানো অবস্থায় বিভিন্ন মানের জাল বাংলাদেশি টাকা ও ভারতীয় জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, অভিযানে দুই লক্ষ ৭৭ হাজার ২০০ জাল টাকা, তিন হাজার ৯০০ ভারতীয় জাল রুপি, মোবাইল ফোন একটি বাটন মোবাইল, ২২টি কাগজের খাকি খাম উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১০০০ টাকার নোট ১৫৫টি, ৫০০ টাকার ২০০টি, ২০০ টাকার ১১১টি এবং ভারতীয় ৫০০ রুপির ৫টি, ২০০ রুপির ৭টি নোট পাওয়া যায়।
আটক ব্যক্তি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি জাল টাকার কারবারের সঙ্গে যুক্ত উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নোবেল চাকমা জানান, তিনি দেশের বিভিন্ন উৎস থেকে জাল নোট সংগ্রহ করে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে আসছেন।
মূলত আসন্ন কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর হাটে ছাড়ার লক্ষ্যে তিনি জাল টাকাগুলো নিয়ে এসেছিলেন। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও জাল টাকার মামলা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি আরো জানান, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রীমঙ্গল থেকে তাকে প্রায় ৭০ লাখ টাকার জাল বাংলাদেশি নোট এবং ১৪ লাখ টাকার ভারতীয় জাল রূপীসহ র্যাব কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
আমরা তার সহযোগী অন্য আসামিদের গ্রেফতারে কাজ করছি। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কেউ যাতে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা না করতে পারে সেজন্য মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
ভোরের আকাশ/এসআই