চিতলমারীতে কোডেক’র আলোচনা সভা, পানির ট্যাকিং বিতরণ
কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার কোডেক এর স্ট্রমি ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ক্লাইমেট চেইঞ্জ এডাপ্টেশন প্রজেক্ট বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের পানির ট্যাংকি বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৯জুন) বিকাল ৩টায় উপজেলা শ্যামপাড়া কোডেক অফিস চত্বরে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মো. সাব্বির তালুকদার টেকনিক্যাল অফিসার, মো. মনির হসেন সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার আলোচনা শেষে ৫০টি পরিবারের মধ্যে এ পানির ট্যাংকি বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রজেক্ট ম্যানেজার আ.ন.ম ওয়াহিদ।
তিনি বলেন, কোডেক ১৯৮৫ সাল থেকে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে উপকূলে মানুষের কাজ করে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন প্রকল্পের মাধ্যমে আপনাদের নিরাপদ পানি চাহিদা পূরনের আমরা আপনাদের পাশে আছি।
আরও উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম কর্মী ও ক্লাইমেট চেইঞ্জ এডাপ্টেশন প্রজেক্টের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা ভোগী পরিবারের সদস্যরা এবং ক্লাইমেট চেইঞ্জ এডাপ্টেশন প্রজেক্টের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
কক্সবাজারের উখিয়ায় রাস্তা পারাপারের সময় বাসের ধাক্কায় এক মাদ্রাসাছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন একজন। রোববার (২৯ জুন) দুপুর দেড়টায় শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) উখিয়া উপজেলার পালংখালী স্টেশনের পেট্রোল পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ইফাত রিমু (১৩) উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের মেয়ে। সে স্থানীয় খাদিজাতুল কোবরা বালিকা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোছাইন।স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, দুপুরে ইফাত রিমু মাদ্রাসার এক সহপাঠীসহ বাড়ি ফিরছিল। এক পর্যায়ে রাস্তা পার হওয়ার সময় তাদের টেকনাফমুখী সীমান্ত স্পেশাল সার্ভিস পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে দুজনই গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনার পর থেকে চালক ও সহকারী গাড়িটি ফেলে রেখে পালিয়ে গেছেন বলে জানান ওসি। আরিফুল আরও বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পৌর সদরের পূর্ব দ্বীপেশ্বর এলাকায় নুর চাঁন মিয়ার ছেলে কামরুল ইসলাম ওরফে কামাল হোসেন। ১৮ বছর ধরে সৌদি আরবের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। সেখানে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। অবশেষে প্রায় তিন মাস পর (২৯ জুন) রবিবার তার মরদেহ আসলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।জানা গেছে,পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তনে ১৮ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান কামরুল। চলতি বছর মার্চে ছুটিতে বাড়ি এসে আবার এপ্রিলে সৌদি আরবে গেলে হঠাৎ কামরুল নিজ বসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাৎক্ষণিক সহকর্মীরা রিয়াদের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।কামরুলের ইসলামের দুটি সন্তান রয়েছে। সংসারে অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা মা ও স্ত্রী রয়েছে। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি ছিলেন। তার বাড়িতে লাশ বাহী এম্বুলেন্স আসার খবরে ছুটে এসেছেন বহু আত্মীয় স্বজন, সকলের কান্নায় বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।কামরুলের ভাই জানান, সংসারের সমস্ত খরচ জোগান দিত সে আজ তার মৃত্যুতে পরিবারটি চরম বিপাকে পড়েছে। সদা হাস্যজ্জল কামরুল ইসলামে ওরফে কামাল হোসেনের লাশ বাড়িতে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ভোরের আকাশ/আজাসা
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে উপকারভোগীদের মাঝে পচা ও নিম্নমানের চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৯ জুন) উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের ২৪৩ জন উপকারভোগীর মাঝে ‘ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট’ (ভিডব্লিউবি) কর্মসূচির আওতায় জনপ্রতি ৩০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও বিতরণকৃত চালের মান অত্যন্ত নিন্মমানের ও দুর্গন্ধযুক্ত বলে অভিযোগ করেন উপকারভোগীরা।বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকরা অবগত হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ইন্দুরকানী প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের সময়ের প্রতিনিধি মারুফুল ইসলাম এবং প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আরিফুল ইসলাম চালের মান যাচাই করতে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা কেএম মামুনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। সাংবাদিকদের প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ করে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘তারা কীভাবে বিনা অনুমতিতে খাদ্য গুদামে প্রবেশ করলেন?’ সাংবাদিকদের উপস্থিতির কারণে চাল বিতরণ বন্ধ করে দেয়া হয়।সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে তিনি তাদের হেনস্তা করেন এবং অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর চাল বিতরণ কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেন ।এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. জাকির হোসেন দৈনিক ভোরের আকাশ কে বলেন, যে চাল বিতরণের কথা শুনেছি সে চাল গুলো আমদানি করা চাল। তা পচা হওয়ার কথা না। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভোরের আকাশ/আজাসা
কক্সবাজারের রামুতে আবদুল মন্নান (২৬) নামে এক ডাকাতকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা৷ রোববার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের কম্বনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত আবদুল মন্নান একই এলাকার মছন আলীর ছেলে। তিনি মছন বাহিনী নামের এক ডাকাত দলের সদস্য বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, রোববার সকালে স্থানীয় এক যুবতীকে বাড়িতে ঢুকে ডাকাত আবদুল মন্নান ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ওই যুবতীকে ছুরিকাঘাত করে। যুবতীর চিৎকার শুনে আশপাশের প্রতিবেশীরা জড়ো হন। এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে মন্নানকে গণপিটুনি ও কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।রামু থানার ওসি তৈয়বুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তার বাড়িতে খুন, ডাকাতি, অপহরণের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তার পিতা ও আরও তিন ভাইও ডাকাতিতে জড়িত।স্থানীয় খুনিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এসএম ফরিদ বলেন, মছন আলী ও তার ছেলেদের একটি সশস্ত্র ডাকাত বাহিনী রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে সড়ক ও বাড়ি-ঘরে ডাকাতি করে আসছে। স্থানীয় গ্রামবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ। গত শুক্রবার ডাকাত মছন বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন স্থানীয় গ্রামবাসী। এ বিক্ষোভের দুইদিনের মাথায় গণপিটুনিতে মারা যায় আবদুল মন্নান।ভোরের আকাশ/আজাসা