লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৫ ০৩:১২ পিএম
লালপুরে পদ্মার চরে চাষ করা পুষ্টিকর চিনাবাদাম
নাটোরের লালপুরে পদ্মার চরে চাষ করা পুষ্টিকর চিনাবাদাম যেন এখন কৃষকদের ‘গোপন রত্ন’। বাদাম ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে স্বপ্ন বুনছেন পদ্মার চরাঞ্চলের কৃষকরা, পদ্মার বালুচরে দিগন্তজোড়া সারিবদ্ধ সবুজ বাদাম ক্ষেত দেখে যেন নয়ন জুড়িয়ে যায়। এবছর ফলন ভালো হওয়ার কৃষকদের চোখে মুখে ফুটে উঠছে আশার প্রদীপ।
কৃষি বিশভাগের তথ্যমতে এবছর লালপুর উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে ৪৬০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদামের আবাদ হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য জাত বিনা চিনাবাদাম ৬, বিনা চিনা বাদাম ৮, এবং বারি চিনাবাদাম ৮ আবাদ বেশি হয়েছে। চিনাবাদামের আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে রবি ২০২৪-২৫ মৌসুমে প্রণোদনার আওতায় কৃষি বিভাগ হতে ২০০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ প্রীতম কুমার হোড় বলেন, এবছর অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ফলন ভালো হয়েছে যা হেক্টর প্রতি প্রায় ১.৯ মেট্রিক টন। এবছর ভালো ফলন হওয়ায় আগামী মৌসুমে চিনাবাদামের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে প্রত্যাশা করছি।
সরেজমিনে উপজেলার বিলমাড়ীয়া, লালপুর ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পদ্মার চর ঘুরে দেখা যায় তীব্র রোদ ও গরম উপেক্ষা করে বাদম তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। বিশাল অঞ্চল জুড়ে সারি সারি চিনাবাদাম ক্ষেত দেখে মন জুড়িয়ে যায়।
কথা হয় বিলমাড়িয়া মোহরকয়া গ্রামের বাদাম চাষী আফজাল হোসেনের সাথে, তিনি বলেন বাদাম চাষে বাড়তি কোন কীটনাষক বা যত্নের প্রয়োজন হয়না, আমি এবার ৩বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি ফলনও ভালো হয়েছে আাশা করি এবার বাজার দর ভালো পাবো।
একই এলাকার বাদাম চাষি মতিউর রহমান বলেন, আমাদের পদ্মার চরের বেলে মাটিতে রবি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামের ফলন ভালো হয়। অন্যান্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষে খরচ ও পরিশ্রম কম। তাছাড়া বাদাম এমন একটি ফসল যার চাহিদা থাকে প্রায় সারা বছরই।
ভোরের আকাশ/আজাসা