গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২৫ ০৩:৩৯ পিএম
গাইবান্ধায় মানববন্ধন
কুমিল্লার মুরাদনগরে গৃহবধূকে ধর্ষণ এবং এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১২টার দিকে শহরের আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট গাইবান্ধা জেলা শাখার সভাপতি পরমানন্দ দাসের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নারীমুক্তি কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, মাসুদা আক্তার, গাসক ছাত্রফ্রন্টের জেলা সভাপতি কলি রানী বর্মন,কামরুল হাসান বসুনিয়া, জয়নুল ইসলাম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে এক হিন্দু নারীকে যেভাবে গণধর্ষণ, নির্যাতন এবং ভিডিও ধারণ করে প্রচার করা হয়েছে তা কোন সভ্য সমাজে চলতে পারে না। নারীকে সমাজে নিকৃষ্টভাবে উপস্থাপন করে বাস্তবে মানব সভ্যতাকেই অপমান করা হয়েছে। একটা সমাজের গনতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা কতটুকু ভঙ্গুর তা এই ঘটনায় বুঝা যায়।
অতীতে আমরা দেখেছি ধর্ষণ, গণধর্ষণের ঘটনাগুলোর বিচার হয়নি। ধর্ষকরা ক্ষমতার ছত্রছায়ায় নিরাপদে থেকেছে। গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শত সহস্র রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তার ব্যতিক্রম হবে এটাই সবার চাওয়া ছিল।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নারীদের বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা অনস্বীকার্য। কিন্তু গত ১১ মাস ধরে আমরা দেখছি নারীকে নানাভাবে নিপীড়ন করা হচ্ছে। সাইবার বুলিং, মব, ধর্ষণ-গণধর্ষণ, নারীকে নানাভাবে আক্রমণ, অশ্লীল গালিগালাজ, হেনস্থা, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে নারী নির্যাতন নিপীড়নের প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় কোন দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ আমরা দেখছি না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেদের নারীবান্ধব ঘোষণা করেছেন, কিন্তু এই সময়ে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর বিচার না হওয়ায় সরকারের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ঘরে- বাইরে নারীসহ সকল মানুষের নিরাপত্তা দিতে এবং আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে রাষ্ট্রকে আরও কার্যকর ভুমিকা নিতে হবে বলে জানান তারা।
ভোরের আকাশ/আজাসা