মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়
দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৫ ০৫:৩৮ পিএম
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিয়ম ও বিধি লঙ্ঘন এর অভিযোগ
দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মাইনুল হাসান মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ নিয়োগে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে নতুন করে আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছান আলী।
২০১২ সালে কলেজ কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষ নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়। তৎকালীন উপাধ্যক্ষ মোহাম্মদ হাছান আলী পদত্যাগ করে বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেন এবং নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন। নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনী বোর্ড তাঁকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের সুপারিশ করে। তবে গভর্নিং বডির সভাপতি আবুল কাসেম অরু, যিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা, নিয়ম ভঙ্গ করে সুব্রত কুমার অধিকারীকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেন।
এই অনিয়মের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন মোহাম্মদ হাছান আলী। ২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর আদালত নির্দেশ দেন, মূল মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অধ্যক্ষের পদে নিয়োগ বন্ধ থাকবে। কিন্তু আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে সুব্রত কুমার অধিকারীকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ বহাল রাখা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিষয়টি তদন্ত করে অনিয়মের সত্যতা নিশ্চিত করে সুব্রত কুমার অধিকারীর নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেন। তবুও গভর্নিং বডির সভাপতির প্রভাবের কারণে সুব্রত কুমার অধিকারী এখনও দায়িত্ব পালন করছেন।
মহাবিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেছেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি স্বৈরাচারে পরিণত করেছেন। অনিয়মের প্রতিবাদ করলে শিক্ষকরা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হন।
মোহাম্মদ হাছান আলী বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আমাকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে না। আমাকে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। গভর্নিং বডির সভাপতির ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি ন্যায়বিচার চাই।
ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রশাসনিক অদক্ষতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি তার মূল উদ্দেশ্য থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে শিক্ষা ও ন্যায়বিচারের পরিবেশ চিরতরে বিনষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।
ভোররে আকাশ/এসআই