ছবি : ভোরের আকাশ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের ধর্মদাসগাতী ও গোদগাতী গ্রামীণ সড়কের ওপর নির্মিত সেতুর দুই পাশের রেলিং দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে আছে। রেলিং নির্মাণের রডগুলোও চুরি হয়ে গেছে। রেলিং ছাড়া সেতুতে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। কিন্তু প্রশাসন ও স্থানীয় সরকারের কোন সংস্কারের নেই উদ্যোগ। উপজেলার ব্রহ্মগাছা ইউনিয়নের ধর্মদাসগাতী ও গোদগাতী এলাকার গ্রামীন দুই সেতু ব্যবহার করে প্রায় ২০-২৫ এলাকার মানুষ যাতায়াত করতেন।
ধর্মদাসগাতী এলাকার মো. ছাইফুল ইসলাম (৬৫) বলেন, গত প্রায় ৬ বছর হলো ব্রিজের রেলিং ভাঙতে শুরু করে। প্রথমে একপাশের রেলিং ভেঙে পড়ে। এর কয়েক মাসের মধ্যে আরেক পাশের রেলিংও ভেঙে যায়। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার কারলে রেলিংয়ের রডগুলোও চুরি হয়ে গেছে।
ভ্যান চালক আব্দুর রহিম বলেন, ব্রিজের ওপর রেলিং না থাকায় খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এই ব্রিজই রায়গঞ্জ উপজেলা সদর ও জেলা শহরে আসা যাওয়ার একমাত্র পথ হয়। যে কারণে ঝুঁকি হলেও এই ব্রিজ ব্যবহার করি।
গ্রামের আরেক বাসিন্দা রাশিদুল ইসলাম জ্যতি বলেন, রেলিং না থাকায় ভ্যান-রিকশা সেতুর ওপর উঠতে চায় না। এলাকায় কেউ বিয়ে করতে চায় না। জরুরী প্রয়োজনে এ্যাম্বুলেন্স আসতে পারে না। আরেকদিন একজন গর্ভবতী নারীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার সময় গাড়ি থেকে নামিয়ে হেটে সেতু পার হতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেতুর ওপর একটা ভ্যানগাড়ি থাকলে পাশ দিয়ে কোনো মানুষ যেতে পারে না। অথচ রেলিং থাকলে ভ্যানগাড়ি ও মানুষ পাশাপাশি যাওয়া সম্ভব।
স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক শেখ জানান, এই ভাঙা সেতুর বিষয়ে তারা উপজেলা প্রকৌশলীর দফতরে ইতিপূর্বে একাধিকবার জানিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ না হওয়ায় হতাশায় রয়েছেন তারা। সাধারণ মানুষের যানমাল রক্ষায় দ্রুত সেতুটির রেলিং মেরামত করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. রবিউল আলম জানান, সড়কটি গ্রাম্য সড়ক। বর্তমানে গ্রামীণ সড়কের সেতু সংস্কার কাজে বাজেট পাওয়া কষ্টকর। বাজেট না থাকায় মেরামত করতে সম্ভব হচ্ছে না। তবে সেতু দুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবগঠিত এডহক কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১ টায় দুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে নবগঠিত এডহক কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, এডহক কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও চরফ্যাশন আদালতের এডিশনাল জিপি মো.ছিদ্দিক মাতাব্বর, নুরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ফিরোজ কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক সরওয়ার আলম, সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল মেলেটারি ও থানা যুবদল সাধারণ সম্পাদক আশ্রাফ উদ্দিন বাবলুসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকবৃন্দ।সভায় নবনির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট মো. ছিদ্দিক মাতাব্বর বলেন, “বিদ্যালয়ের সার্বিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করবো। শিক্ষার্থীদের পাঠদানে গুণগত পরিবর্তন আনতে শিক্ষক, অভিভাবক ও স্থানীয় জনগণের সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন।”অনুষ্ঠানটি এক মিলনমেলায় রূপ নেয়, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা বিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা করেন।এর আগে দুলারহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবগঠিত এডহক কমিটির সভাপতি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও চরফ্যাশন আদালতের এডিশনাল জিপি মো. ছিদ্দিক মাতাব্বরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ।ভোরের আকাশ/জাআ
কক্সবাজারের টেকনাফে অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট, ৩ হাজার ৭৫০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছসহ ১৬ জেলেকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। পরে নৌকার মালিককে ৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।বুধবার বিকেলে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এসব তথ্য জানিয়েছেন।সিয়াম-উল-হক জানান, গত রোববার বিকেলে কোস্ট গার্ড টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকায় সমুদ্রে অভিযান চালায়। এ সময় একটি অবৈধ আর্টিসানাল ট্রলিং বোট জব্দ করা হয়। বোটে তল্লাশি করে ৩ হাজার ৭৫০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ পাওয়া যায়। এসব মাছের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ টাকা। এ ঘটনায় বোটে থাকা ১৬ জন জেলেকে আটক করা হয়।পরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে জব্দ করা আর্টিসানাল ট্রলিং বোট থেকে ট্রলিং সরঞ্জামাদি অপসারণ করা হয় এবং মালিকপক্ষ থেকে ৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে বোট ও জেলেদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দ করা মাছ মোট ২ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ টাকায় নিলামে বিক্রি করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়।তিনি আরও বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।ভোরের আকাশ/জাআ
কক্সবাজারের মহেশখালীর অদূরে গভীর সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে চার দিন ভেসে থাকা ‘হাবিবা’ নামক একটি মাছ ধরার ট্রলার ও বিপদগ্রস্ত ১৮ জেলেকে উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এক সপ্তাহ আগে ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা থেকে মাছ শিকার করতে এই ট্রলার সাগরে গিয়েছিল।বুধবার (২৩ জুলাই) বিকেলে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে নৌবাহিনী যুদ্ধ জাহাজ ‘শহীদ ফরিদ’ সাগরে নিয়মিত টহলে থাকা অবস্থায় মহেশখালী দ্বীপ থেকে ২৫ মাইল পশ্চিমে একটি মাছ ধরার ট্রলার ভাসমান অবস্থায় খুজে পায়।এ সময় ট্রলারে অবস্থানরত জেলেরা নৌবাহিনীর জাহাজটিকে দেখতে পেয়ে বিপদ সংকেত প্রদর্শন করতে থাকে যা নৌবাহিনী এই ট্রলারটিকে সন্দেহজনক পরিলক্ষিত হওয়ায় জাহাজটি ভাসতে থাকা ট্রলারের কাছে ছুটে যায়। ট্রলারটির কাছে পৌঁছানোর পর নৌ সদস্যরা মাঝিদের কাছ থেকে অবগত হন যে, তাদের ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় চার দিন ধরে তারা গভীর সাগরে ভাসমান অবস্থায় রয়েছে। তাদের কাছে অবশিষ্ট খাবার ও বিশুদ্ধ পানি শেষ হয়ে যাওয়ায় তাদের করুণ অবস্থা পরিলক্ষিত হলে নৌ সদস্যরা জরুরিভিত্তিতে তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেন। পরবর্তীতে নৌবাহিনীর সদস্যরা জেলেসহ ট্রলারটিকে আজ দুপুরে নিরাপদে কুতুবদিয়া দ্বীপ এলাকায় নিয়ে আসে। এ সময় তাদের প্রয়োজনীয় পানি ও খাবার ছাড়াও জরুরি প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ট্রলারে থাকা ১৮ জন জেলেই বর্তমানে সুস্থ আছেন। অসহায় জেলেরা তাদের জীবন রক্ষা করার জন্য এবং তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নৌবাহিনীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। নৌ সদস্যরা জানতে পারেন যে, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি ভোলা জেলার মনপুরা এলাকা হতে মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সপ্তাহ আগে সাগরে যায়। এতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা, ব্লু-ইকোনমি সংরক্ষণ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত একাধিক যুদ্ধজাহাজ নিয়োজিতকরণের মাধ্যমে সমগ্র বঙ্গোপসাগরে ও উপকূলীয় এলাকায় দিনরাত টহল পরিচালনা করছে যা ভবিষ্যতেও অব্যহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
পুতনিকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় নানিকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায়। নিহতের নাম আলেয়া বেগম আনুর (৭৫)। বুধবার (২৩ জুলাই) বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে পুলিশ জানায়।নিহতের ছেলে ফেরদৌস হাওলাদার সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের কালিগঞ্জ বাজারের নিকটস্থ উমাজুড়ি পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত. সুলতান হাওলাদারের স্ত্রী আলেয়া বেগম আনু (৭৫) কে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার পুতনিকে একই গ্রামের হাসমত বাবনার দুই ছেলে কাওসার এবং আনসার উত্যক্ত করে আসছিল।এক পর্যায়ে আলেয়া বেগম ওই উত্যক্তের প্রতিবাদ করে। ফলে কাওসার ও আনসার বুধবার দুপুর ১১টা ৩০মিনিটে দিকে ইট দিয়ে বৃদ্ধা আলেয়ার মাথায় আঘাত করে। প্রতিবেশিরা তাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।চিতলমারী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শাহাদাৎ হোসেন জানান, বৃদ্ধ আলেয়াকে হত্যার অভিযোগে উমাজুড়ি গ্রামের হাসমত বাবনার দুই ছেলে আনসার বাবনা (২৭), কাওসার বাবনা (৩০) কে আটক করা হয়েছে। নিহতের ছেলে ফেরদৌস বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন।ভোরের আকাশ/জাআ