রায়গঞ্জে চাষীদের মাঝে মৎস উপকরণ বিতরণ
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে পুকুরের সুফলভোগী দলের মাঝে কীটবক্স ও প্লাস্টিকের ক্রেট বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলার ৮টি পুকুরের সুফলভোগীদের মাঝে এসব উপকরণ বিতরণ করা হয়।
উপকরণের মধ্যে ছিল প্লাস্টিকের ক্রেট, ব্যাগ, পুকুরের পানি পরীক্ষার কীট বক্সসহ ৬টি আইটেম।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে নিমগাছি সমাজ ভিত্তিক মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় পুকুরের সুফলভোগী দলের মাঝে উপকরণ বিতরণ উদ্বোধন করেন, রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।
এ সময় সুফলভোগী পুকুরের সদস্যরাসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর থেকে ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক। বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঝামেলা রয়েই যাচ্ছে। এরই মধ্যে ভারত সরকারের নতুন নিষেধাজ্ঞায় সীমান্ত বাণিজ্যে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। বাংলাদেশ থেকে কিছু পণ্য প্রবেশে ভারত সীমিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরে রপ্তানি কার্যক্রমে সাময়িক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) গত শনিবার এক নির্দেশনায় জানায়, বাংলাদেশ থেকে প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসহ কয়েকটি পণ্য ভারতের নির্দিষ্ট কিছু স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।নির্দেশনায় বলা হয়েছে আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে এসব পণ্যের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। তবে এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ভোমরা বন্দর সরাসরি কতটা প্রভাবিত হবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।ভোমরা বন্দরের রপ্তানিকারক মোহসিন উদ্দিন বলেন, আমরা চাই দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। কোনোরকম নিষেধাজ্ঞা এলে আগে থেকেই যেন আমরা অবগত হই। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত ব্যবসায়ীদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে। এ ব্যাপারে ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, এই বন্দর দিয়ে খুবই সীমিত পরিমাণে প্রক্রিয়াজাত শিশুখাদ্য রপ্তানি হয়। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পণ্য কাপড় ভোমরা দিয়ে খুব কম পরিমাণে রপ্তানি হয়। ফলে রপ্তানিতে সামান্য প্রভাব পড়লেও বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া দেশের অন্য বন্দর দিয়ে প্রক্রিয়াজাত খাবার রপ্তানি বন্ধ হলে ভোমরা বন্দর দিয়ে এসব সামগ্রী ভারতে রপ্তানি হলে বন্দরের রপ্তানি আয় বাড়তেও পারে।তিনি আরও বলেন, ভারতের কাস্টমস বা ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কাছ থেকেও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো বার্তা আসেনি। ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. রাসেল আহম্মেদ জানান, গত রোববার ভোমরা বন্দর দিয়ে ২৮টি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাভেল ব্যাগ ১২ ট্রাক, জুট ইয়ান ১২ ট্রাক, ইয়ান ওয়েস্ট ৩ ট্রাক, রি-প্রসেস প্লাস্টিক ২ ট্রাক ও কটন নিকেট ফেব্রিক্স ৩ ট্রাক।তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পণ্যের মধ্যে থাকা কাপড় এই বন্দর দিয়ে খুব কম পরিমাণ রপ্তানি হয়। এজন্য ভোমরা বন্দরের রাজস্ব আয়ে সমস্যা হবে না।সংশ্লিষ্টদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় এবং অন্যান্য পণ্যে বিস্তৃত হয়, তাহলে ভবিষ্যতে সীমান্ত বাণিজ্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।বাংলাদেশে স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে ভোমরা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর এ বন্দর দিয়ে কয়েক হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়। এরকম পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী মহল সতর্কতা ও বিকল্প প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
"জীবাশ্ম জ্বালানি নয়, একমাত্র নবায়নযোগ্য জ্বালানিই রুখতে পারে জলবায়ু পরিবর্তন" প্রতিপাদ্যে বরগুনার পাথরঘাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিতর্ক প্রতিযোগিতা।মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল দশটায় পাথরঘাটা কলেজ মিলনায়তনে 'ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)' ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের আয়োজনে পাথরঘাটা কলেজের একাদশ শ্রেণি অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা পক্ষ ও বিপক্ষ দলে ভাগ হয়ে অংশগ্রহণ করেন।বিষয়ের বিপক্ষ দল বিজয়ী হয় এবং দলের নেতা আফরিন জাহান তন্নী শ্রেষ্ঠ বক্তার সম্মাননা অর্জন করেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাথরঘাটা কলেজের উপাধ্যক্ষ চন্দ্র শেখর স্বর্ণকার, প্রধান অতিথি ছিলেন পাথরঘাটা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মহসিন কবীর, প্রভাষক আহসান হাবীব লাকি, আল মামুন, মো. সাব্বির, জামাল হোসেন, সমাজসেবক মেহেদী শিকদার প্রমুখ। প্রধান অতিথি মহসিন কবীর বলেন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হওয়া দরকার। পাথরঘাটা কলেজে এই প্রথম কোন প্রতিযোগিতা হলো তাও আবার জীবাশ্ম জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে। যা এখন পর্যন্ত মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। ধরার এ আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ রকমের প্রতিযোগিতা বেশি বেশি করা দরকার, নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়া দরকার। এ সময় ধরার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) পাথরঘাটার সমন্বয়ক উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন। বিচারক প্যানেল ছিলেন, চন্দ্র শেখর স্বর্ণকার, এরফান আহমেদ সোয়েন, আমিন সোহেল।বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, নবায়নযোগ্য জ্বালানির গুরুত্ব এবং পরিবেশ সচেতনতার বিষয়ে আলোকপাত করেন।প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী উভয় দলের শিক্ষার্থীদের হাতে মূল্যবান বই উপহার হিসেবে তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রভাষক আল মামুন।ভোরের আকাশ/জাআ
শিশুদের সর্বোত্তম সুরক্ষায় জামালপুরে দুইদিনব্যপী শিশু কল্যাণ বিষয়ক পরিকল্পনা ও পর্যালোচনা সভা শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার (২০ মে) শহরের চালাপাড়ায় সুইড ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জামালপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিন্নাত শহীদ পিংকী।উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথি বলেন, শিশুকে ভালো রাখার দায়িত্ব আমাদের সকলকেই নিতে হবে। তাকে শিক্ষার পাশাপাশি বিনোদন, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলার মাঠেও সময় ব্যয় করার সুযোগ দিতে হবে।তিনি বলেন, শিশুর প্রতি নেতিবাচক আচরণ ও নির্যাতন তার স্বাভাবিক বিকাশ ও উন্নয়নে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। শিশুর ভালোলাগা, কষ্ট পাওয়ার বিষয়গুলো আমাদের কাছে যেনো মন খুলে বলতে পারে, সে পরিবেশ তৈরি করতে হবে।পরিকল্পনা সভায় বাল্যবিয়ে, মাদক, অপুষ্টি, বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া, নির্যাতনসহ শিশুর বিকাশকে বাধাগ্রস্থ করে এমন নেতিবাচক দিকগুলো প্রতিরোধে কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করার কথা বলেন।উন্নয়ন সংঘের জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের ম্যানেজার মিনারা পারভীনরে সঞ্চালনায়।সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, ওয়ার্ল্ড ভিশন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার সেবাস্টিয়ান পিউরিফিকেশন, জামালপুর এপির এরিয়া ম্যানেজার বিমল জেমস কস্তা প্রমুখ। পরিকল্পনা পর্যালোচনা সভায় সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুক্তগাছা এপি ম্যানেজার রোলেন্ড গোমেজ ও জামালপুর এসিও এর ফিল্ড টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট দীপা রোজারিও। এতে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।সভায় বাল্যবিয়ে, শিশুশ্রম, নারী, শিশু নির্যাতন, ঝরে পড়া শিশু, অপুষ্ট শিশু, স্যানিটেশন, ওয়াস, স্বাস্থ্য, শিক্ষার অভাব, অনিরাপদ খাদ্যসহ শিশু সুরক্ষায় বাধাগ্রস্থ করে এমন সব নেতিবাচক বিষয়গুলো উত্তরণে কারণ বিশ্লেষণসহ অগ্রাধীকার বিষয়গুলো নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়নে অংশগ্রহণমূখী আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
সাংবাদিকদের কঠোর আন্দোলনে নামাতে বাধ্য করবেন না বলে হুশিয়ারি করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের নেতৃবৃন্দ।মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে বরগুনা প্রেস ক্লাব চত্ত্বরে দেশব্যাপী কলম বিরতি কর্মসূচি পালনকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।নেতৃবৃন্দ বলেন, রাষ্ট্রের পক্ষে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মামলা-নির্যাতন-হয়রানিতে সাংবাদিকদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দেশে মব জাস্টিসের মাধ্যমে সর্বকালের সাংবাদিক নির্যাতনের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে।বক্তারা বলেন, নির্যাতন, হামলা, মামলার নামে সাংবাদিকদের হয়রানি করছে। এ সকল অপতৎপরতা রুখে দিতে সাংবাদিক সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তারা। রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যে বলা হয়, আপনারা সাংবাদিক নির্যাতনকারী দল হিসেবে নিজেদের দলকে কলঙ্কিত করবেন না। সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন, বিপদে তাদের পাশে থাকুন।কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে রাষ্ট্র কর্তৃক সাংবাদিক সুরক্ষা আইন, সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়ন এবং সাংবাদিক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নসহ ১৪ দফা দাবি মেনে নিতে আহ্বান করা হয়েছে।সংগঠনের বরগুনা জেলা শাখার আয়োজনে কলম বিরতি চলাকালে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বরগুনা জেলা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর কবীর মৃধা, জেলা প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বরগুনা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান তাপস, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বরগুনা জেলা কমিটির নেতা শফিকুল ইসলাম স্বপন, ইত্তিজা হাসান মনির, কাশেম হাওলাদার, জয়নাল আবেদীন রাজু, রাসেল সিকদার, সোহাগ হাওলাদার, আব্দুল আলিম, মেজবাহ উদ্দিন মাসুম প্রমূখ।এর আগে, গত ৭ মে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণমাধ্যম সপ্তাহ ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০ মে সারাদেশে কলম বিরতির ঘোষণা দেওয়া হয়। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুর ১১-১টা পর্যন্ত বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ডাকে সারাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কলম বিরতি পালন করা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ