ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫ ০৩:০৪ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচার বিভাগীয় কর্মচারীদের কর্মবিরতি পালন
দুই দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মবিরতি পালন করেছে বিচার বিভাগীয় কর্মচারীরা। বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারি এসোসিয়েশনের ব্যানারে সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জজ আদালতের সামনে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
অধনস্ত আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মচারীগণকে বিচার বিভাগের সহায়ক কর্মচারী হিসেবে জুডিসিয়াল সার্ভিস বেতন স্কেলের বেতন ভাতা প্রদান ও বিদ্যমান ব্লক পদ বিলুপ্ত করে যুগোপযোগী পদ সৃজনপূর্বক যোগ্যতা ও জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ রেখে স্বতন্ত্র নিয়োগ বিধি প্রণয়নের দাবিতে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালিত হয়।
বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন চট্রগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফ উদ্দিনের উপস্থিতে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সুমন ময় চৌধুরীর সঞ্চালনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘সচিবালয়ে একজন অফিস সহায়ক চাকুরিতে যোগদান করে (যোগ্যতার ভিত্তিতে) উপ- সচিব (নন ক্যাডার) পদে পদোন্নতি পেতে পারেন; বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগে অফিস সহকারী পদে যোগদান করে পদোন্নতি পেয়ে ডেপুটি রেজিষ্ট্রার পর্যন্ত হতে পারেন। পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করে (যোগ্যতার ভিত্তিতে) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নন ক্যাডার) পর্যন্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। অথচ অধস্তন আদালতের সহায়ক কর্মচারীগণের এরকম কোনো সুযোগ নেই। নির্দিষ্ট কিছু পদে পদোন্নতি সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্মকর্তা (১০ গ্রেড) পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।’
বক্তব্য রাখেন- খাইরুল ইসলাম নোমান, মোসলেম উদ্দিন, মো. উজ্জ্বল, রমজানুল ইসলাম, খালেদুজ্জামান আশেক, কাউছার আহমেদ, হালিমুর রহমান, মহিবুল হাসান, মিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, জেরিন আক্তার, সুমী আক্তার প্রমূখ। বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথক হবার পর শুধুমাত্র মাননীয় বিচারকগণের জন্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হলেও সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত করা হয়েছে সহায়ক কর্মচারীগণকে; এটি আমাদের উপর বৈষম্যমূলক আচরণ। বৈষম্য দূরীকরণে সরকারের প্রতি আহবান জানান বিচার বিভাগীয় কর্মচারী।
ভোরের আকাশ/আজাসা