নদীবন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
রাজধানীর আকাশ আজ ভোর থেকেই মেঘলা। মুহুর্তেই বৃষ্টি হতে পারে এমন প্রস্তুতি নিয়েই বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে নগরবাসীকে।
পাশাপাশি দেশের তিন অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এ জন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/আজাসা
সংশ্লিষ্ট
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ তৈরি হওয়ার আভাস দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। চলতি মে মাসের ২৬ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে এ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা তার। ভারতের উড়িষ্যা ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘শক্তি’, যা শ্রীলঙ্কার প্রস্তাবিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড়টি অতিপ্রবল না হলেও ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এটি স্থলভাগে আঘাত হানার সময় ভারী বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মোস্তফা কামাল পলাশ মনে করেন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পড়তে পারে।বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে। এই সার্কুলেশন ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘জাগরণ’ জানিয়েছে, ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এখনো ঘূর্ণিঝড়টি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা বলছে—এটি আদৌ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়।বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি। তবে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং প্রয়োজনে সময়মতো নির্দেশনা দেবে।আবহাওয়াবিদরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকি থাকে বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন ঝড়ের আচরণ আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে।এর আগে, গত বছর অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ভারতের উপকূলে আঘাত হেনেছিল। আঘাতের আগে সেখানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয় এবং উপকূলীয় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে আসে।চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যেই সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’ নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।দেশের অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়েছে, সেই সঙ্গে সাগরে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা জনমনে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করেছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
রাজধানীর আকাশ আজ ভোর থেকেই মেঘলা। মুহুর্তেই বৃষ্টি হতে পারে এমন প্রস্তুতি নিয়েই বাইরে বের হতে দেখা যাচ্ছে নগরবাসীকে। পাশাপাশি দেশের তিন অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন পরিস্থিতিতে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টির দেখা মিললেও তাপপ্রবাহ থেকে এখনও মুক্তি মিলছে না। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে আবহাওয়া অধিদফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, দেশের ১৩টি জেলা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ আগামী ২৪ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকবে।আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর প্রভাবে ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু–একটি স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।তবে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, ঢাকা, টাঙ্গাইল, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পটুয়াখালী ও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী ৫ দিনে বৃষ্টিপাত ও বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে বলেও আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।এদিকে, চলমান এই তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে। চিকিৎসকরা শিশু ও বয়স্কদের প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ভোরের আকাশ/হ.র
টানা ছয় দিন তীব্র তাপপ্রবাহের পর সোমবারের বৃষ্টিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে। শীতল বাতাস ও মেঘলা আকাশে স্বস্তি ফিরেছে জনজীবনে। তবে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমলেও, বজ্রপাতের আশঙ্কায় ২১ জেলার বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়াবিদ বজলুর রহমান জানান, সোমবার দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে তাপমাত্রা দ্রুত কমে এসেছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) আরও কিছু এলাকায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, খুলনা বিভাগ ব্যতীত দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমেছে। রাজশাহীতে একদিনেই তাপমাত্রা কমেছে ৮.৪ ডিগ্রি, আর ঢাকায় কমেছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে পরবর্তী চার ঘণ্টায় ২১টি জেলায় ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় ঘরের ভেতর থাকা, ভ্রমণ এড়িয়ে চলা এবং গাছের নিচে আশ্রয় না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।বজ্রপাতের আশঙ্কাপূর্ণ জেলাগুলো হলো: রাজশাহী, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, নরসিংদী, রংপুর, গাইবান্ধা, শেরপুর, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, রাঙামাটি ও বান্দরবান। ভোরের আকাশ/হ.র